Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

প্রার্থী নেই বিরোধীদের, সুতাহাটা- হলদিয়ার সমবায় তৃণমূলের দখলে

প্রার্থী নেই বিরোধীদের, সুতাহাটা- হলদিয়ার সমবায় তৃণমূলের দখলে
নির্ঘণ্ট অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর এই সমবায়ের পরিচালন বোর্ড প্রতিনিধি নির্বাচন। মোট ভোটার ১৪০০ জন। মোট আসন ৫২টি। ২৫ এবং ২৬ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা। ২৬ নভেম্বর …

 



প্রার্থী নেই বিরোধীদের, সুতাহাটা- হলদিয়ার সমবায় তৃণমূলের দখলে


নির্ঘণ্ট অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর এই সমবায়ের পরিচালন বোর্ড প্রতিনিধি নির্বাচন। মোট ভোটার ১৪০০ জন। মোট আসন ৫২টি। ২৫ এবং ২৬ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা। ২৬ নভেম্বর বিকেল ৩টা পর্যন্ত ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়সীমা ছিল। শেষ দিন পর্যন্ত কোন পক্ষের, কত প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তা স্পষ্ট হয়ে যায়। জানা যায়, বিজেপি, কংগ্রেস কিংবা সিপিএম সমর্থিত সরকারী কর্মচারী ইউনিয়নের তরফে একটিও নাম জমা পড়েনি। কেবলমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের তরফে ৫২টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এই সমবায় নির্বাচন কমিশনের তরফে ঘোষণার আগেই স্বাভাবিকভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলেন তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা। রাজ্য সরকারি কর্মচারি ফেডারেশনের জয়ী প্রার্থীরা ৫২-০ ফলের ভিত্তিতে বিরোধী শূন্য বোর্ড গড়বেন। সমবায় নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে আজ জয়ী প্রার্থীদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। নেওয়ার পর সবুজ আবির মেখে জয়ের উল্লাসে মেতে উল্লেখ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন জয়ী প্রার্থী গন। ২০১৪ সাল থেকে টানা দশ বছর এই সমবায় দখল করে রয়েছে তৃণমূলকংগ্রেস। তাঁরা এবারও সেই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখলেন। এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শ্যামল পট্টনায়ক জানিয়েছেন, "পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন পাশে রয়েছে। আপদে বিপদে তারা আমাদের সাহায্য সহযোগিতা পেয়ে থাকেন। এই ভরসার জায়গা তৈরি হয়েছে বলেই সুতাহাটা-হলদিয়া স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ কো-অপারেটিভ ক্রেডিট কাম কনজিউমার সোসাইটি লিমিটেড ভোটে আমরা জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছি। আগামী দিনে এই সমবায়কে আরও সুন্দরভাবে পরিচালিত করা হবে।" বিজয়ী প্রার্থীরা আজ সার্টিফিকেট গ্রহণ করলেন এবং সুতাহাটা ভিডিও অফিস থেকে সুতাহাটা থানা এবং বাজার এলাকায় সবুজ আবির খেলে বিজয়ে উল্লাসে মেতে উঠলেন।

যদিও কর্মচারী ফেডারেশনের এই সাফল্যকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি আনন্দময় অধিকারী জানিয়েছেন, "প্রশাসনের ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। সেই জায়গায় কোনও সরকারি কর্মচারীর ফেডারেশনের বিরুদ্ধে যাওয়ার সাহস হয়নি। স্বাভাবিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত ফেডারেশন তো নিরঙ্কুশ জয় পাবেই তবে বিজেপি নেতার এই যুক্তিকে অন্তঃসারশূন্য বলে মনে করেছেন ফেডারেশন নেতৃত্ব। সংগঠনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শ্যামল পট্টনায়ক বলেন, "সরকারি কর্মচারীদের মন পায়নি বিজেপি। তাই সংগঠন গড়া দূরঅস্ত। বাস্তবে সংগঠন করবার ক্ষমতা। নেই বলেই এমন ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়ে। বাজার গরম করার চেষ্টা করছেন। এর বেশি কিছু আর করতে পারবেন না। 

এই সমবায়ে প্রায় ৭০ শতাংশ সদস্য লোন নিয়ে থাকেন। বছরে প্রায় ৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এর পাশাপাশি সংস্থার তরফে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী, কৃতি ছাত্রছাত্রীদের সাফলোই। নিরিখে উৎসাহ দিতে সংবর্ধনা প্রদান, স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির, রক্তদান শিবির, হাসপাতালের রোগীদের ফল বিতরণ ইত্যাদি কর্মসূচি হয়ে থাকে।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সমবায়ে নিরঙ্কুশ জয়ে সুতাহাটা বিডিও অফিসে তৃণমূল সমর্থিত রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সদস্যদের সবুজ আবির মেখে উচ্ছ্বাস। 

No comments