Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

হলদিয়ার নাবালিকাকে বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লীতে পতিতাপল্লীতে বিক্রী, শাস্তি পেল ৬ অপরাধী, মূল অভিযুক্তের আমৃত্যু কারাবাস !

হলদিয়ার নাবালিকাকে বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লীতে পতিতাপল্লীতে বিক্রী, শাস্তি পেল ৬ অপরাধী, মূল অভিযুক্তের আমৃত্যু কারাবাস !
বিয়ের মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে এক নাবালিকাকে হলদিয়া থেকে নিয়ে গিয়ে দিল্লীতে দেহ ব্যবসার উদ্দেশ্যে বি…

 




হলদিয়ার নাবালিকাকে বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লীতে পতিতাপল্লীতে বিক্রী, শাস্তি পেল ৬ অপরাধী, মূল অভিযুক্তের আমৃত্যু কারাবাস !


বিয়ের মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে এক নাবালিকাকে হলদিয়া থেকে নিয়ে গিয়ে দিল্লীতে দেহ ব্যবসার উদ্দেশ্যে বিক্রী করে দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এই চক্রের মূল পান্ডা সহ ৬ জনকে পাকড়াও করে পুলিশ। দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে চলা মামলাটির নিষ্পত্তি হল শুক্রবার। হলদিয়ার পকসো আদালতে এই মামলায় মূল চক্রীকে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা শোনান হয়েছে। 


সেই সঙ্গে এই চক্রের আরও ৫ অপরাধীকেও কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এই মামলার সরকারী আইনজীবি দেবরঞ্জন ব্যানার্জী জানিয়েছেন, “একটি কন্যাকে ফুসলিয়ে দেহ ব্যবসার কাজে বিক্রী করে দেওয়ার মতো ঘৃণ্য অপরাধের জন্য অভিযুক্তদের কঠোর সাজা শুনিয়েছে হলদিয়ার বিশেষ পকসো আদালত”। তিনি জানান, “এই মামলায় আরও দুই অভিযুক্ত পলাতক। তাঁরা ধরা পড়লে কঠোরতম শাস্তির মুখে পড়তে হবে” বলে জানিয়েছেন তিনি।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সূত্রপাত ২০১৭ সালে। সেই সময় দক্ষিণ ২৪ পরগণার জয়নগরের বাসিন্দা সাহাজামাল মোল্লা নামের এক যুবক সামাজিক মাধ্যমে হলদিয়ার একটি ১৬ বছরের নাবালিকাকে প্রেমের জালে জড়ায়। এরপর ওই বছরের ২৫ অক্টোবর নাবালিকাকে বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে পালায় অভিযুক্ত। হলদিয়া থেকে দিল্লী নিয়ে গিয়ে ওই নাবালিকাকে দেহ ব্যবসার কাজে বিক্রী করে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে মেয়েকে না পেয়ে ঘটনার পরের দিন হলদিয়া থানায় মামলা দায়ের করে নাবালিকার পরিবার (কেস নং ১০৯/২০১৭)। 

এই ঘটনার তদন্তে নেমে নাবালিকার ফোন কলের সূত্র ধরে হলদিয়া থানার পুলিশ দিল্লী থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে এই ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্ত সহ আরও একাধিক ব্যক্তিকে পাকড়াও করে পুলিশ। পরে এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন জামিনে ছাড়াও পেয়ে যায়। একাধিক সাক্ষীর বয়ান ও বিভিন্ন তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অবশেষে এই ঘটনায় ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। শুক্রবার ধৃতদের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করেছেন হলদিয়ার পকসো আদালতের বিচারক।

মামলার সরকারী আইনজীবি দেবরঞ্জন ব্যানার্জী জানান, “মূল অভিযুক্ত সাহাজামাল মোল্লা ওরফে রাকেশ’কে আজীবন (আমৃত্যু) কারাবাসের সাজা শোনান হয়েছে। এছাড়াও আর এক অভিযুক্ত শালু সিং এর বিরুদ্ধে ২০ বছরের সাজা ঘোষণা হয়েছে। বাকী চার অভিযুক্ত প্রভীন কুমার (ওরফে রিঙ্কু), মনীষা, মেরী এবং সেহেনওয়াজ বেগক (ওরফে ইন্দু)কে ১২ বছরের কারাবাসের সাজা শোনানো হয়েছে। সেই সঙ্গে পীড়িত নাবালিকাকে ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে”। তিনি জানান, “এই মামলার অপর দুই অভিযুক্ত মেরীর পুত্র রাজকিশোর এবং রাধা এখনও বেপত্তা। এরাও মামলার মূল অভিযুক্ত। ধরা পড়লে এদের কমপক্ষ্যে ১২ বছরের সাজা হবে”।


(ছবিগুলি ফেসবুক থেকে  পাওয়া)

No comments