মিড ডে মিলের দুর্নীতির দায়ে প্রধান শিক্ষিকাকে স্কুলে ঢুকতে বাধা গ্রামবাসীদের, বৈঠকেও হলো না সমাধান
তমলুকের শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের অন্তর্গত ডুমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিশু শ্রেণী থেকে শুরু করে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এই স্কুলের ছাত্র-ছ…
মিড ডে মিলের দুর্নীতির দায়ে প্রধান শিক্ষিকাকে স্কুলে ঢুকতে বাধা গ্রামবাসীদের, বৈঠকেও হলো না সমাধান
তমলুকের শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের অন্তর্গত ডুমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিশু শ্রেণী থেকে শুরু করে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ১৭৮জন। এবং শিক্ষক শিক্ষিকা সংখ্যাও প্রায় ৬ জন। প্রায় বছর খানেক ধরেই এই স্কুলের মিড ডে মিলে ব্যাপকভাবে দুর্নীতি চলছে বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগের আঙুল উঠেছে খোদ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। রীতিমতো তথ্য সহ ওই স্কুলের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জেলা শাসকের দপ্তরে গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। ব্যাপক হারে দুর্নীতি নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে সহ স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও মতবিরোধ চরম আকার ধারণ করে। প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গুরুতর এমন অভিযোগ পেয়েই নড়ে চড়ে বসেছে প্রশাসনও। ইতিমধ্যেই স্কুলে গিয়ে একাধিকবার মিড ডে মিল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সারপ্রাইজ ভিজিটও শুরু হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বিষয়টি রীতিমতো সংবাদের শিরোনামে চলে আসায় আরো ক্ষোভ হয় অভিভাবকদের মধ্যে। এর জেরে বিগত প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে গ্রামবাসীদের বাধায় ওই স্কুলে এসেও ফিরে যেতে বাধ্য হন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা।
সমস্যার সমাধানে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবক অভিভাবকদের নিয়ে প্রধান শিক্ষিকার উপস্থিতিতে একটি বৈঠকের আয়োজন করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বুধবার স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি অর্ধেন্দু শেখর মাইতির নেতৃত্বে এই বৈঠক শুরু হলেও তা কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেস্তে যায়। গ্রামবাসী এবং অভিভাবকদের তীব্র বাধায় উত্তেজনা আরো চরম আকার ধারণ করে। ওই প্রধান শিক্ষিকাকে মিড ডে মিলের যাবতীয় হিসেব চেয়ে দরবার শুরু করেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। যদিও এ বিষয়ে পরিচালন কমিটির সভাপতি অর্ধেন্দুশেখর মাইতি বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে খবর পেয়েই অভিভাবক-অভিভাবকদের নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে এদিন একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। বৈঠক থেকেই ওই অভিযুক্ত প্রধান স্কুল শিক্ষিকাকে মিড ডে মিলের দায়িত্ব থেকে প্রাথমিকভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মিড ডে মিল এবং ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন পাঠনের বিষয়টি সামগ্রিকভাবে নজরদারি চালাতে আরো বেশ কিছু সংখ্যক অভিভাবককে পরিচালন কমিটির মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে।
বিমল মাইতি অভিযোগ করে বলেন, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা দুর্নীতির বিষয়টি এখনো নিজের মুখে স্বীকার করেননি। আর এক বাসিন্দা মধুসূদন বেরা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিড ডে মিলের নামে যেভাবে প্রধান শিক্ষিকা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন তাতে আমরা কোনোভাবেই ওই প্রধান শিক্ষিকাকে এই স্কুলে আর চাইনা। মিড ডে মিলের খাবারের মানও খুবই খারাপ। তবে কবে মিটবে এই সমস্যার সমাধান সেটিইএখন দেখার বিষয়।
No comments