সুজন পাত্র
নাবালিকাকে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল
পাবলিক প্রসিকিউটর সৌমেন কুমার দত্ত আরজিকর ঘটনায় সারা দেশ এখন উত্তাল! এখনো বিচার প্রার্থীর জন্য আন্দোলন চ…
সুজন পাত্র
নাবালিকাকে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল
পাবলিক প্রসিকিউটর সৌমেন কুমার দত্ত
আরজিকর ঘটনায় সারা দেশ এখন উত্তাল! এখনো বিচার প্রার্থীর জন্য আন্দোলন চলছে সারাদেশ জুড়ে । তারই মধ্যে হলদিয়ায় নাবালিকা খুন ও ধর্ষণের অভিযোগে রায় ঘোষণা ?
নাবালিকাকে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল । সেই সঙ্গে ৩০,০০০ টাকা জরিমানা এবং নাবালিকার পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত । শুক্রবার ২৭ শে সেপ্টেম্বর হলদিয়া মহকুমা আদালত এই সাজা ঘোষণা করেছে ।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
https://youtu.be/uTjBvv6vhNw
১৪ বছরের নাবালিকাকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ । তারপর তাকে খুন করে মেরে ফেলা হয় । ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর হলদিয়ার হাতিবেড়িয়ায় রেলের কোচ ফ্যাক্টরির বিপরীতে মাতঙ্গিনী বস্তির ঘটনা । সেই ঘটনায় ধৃত ব্যক্তি সুজন পাত্র এতদিন ছিলেন জেল হেফাজতে । এলাকার ২১ জন ব্যক্তির সাক্ষী, প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছু তথ্য প্রমান দেখে বৃহস্পতিবার আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে । শুক্রবার ছিল সাজা ঘোষনার দিন । ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২, ৩৭৬ ধারা এবং পকসো আইনে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে ।
সরকারি আইনজীবী সৌমেন কুমার দত্ত বলেন, ওইদিন বাবা ও মা বাড়ি না থাকায় নাবালিকা প্রতিবেশীর বাড়িতে টিভি দেখতে গিয়েছিল। ওই সময় নাবালিকাকে ফুঁসলিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। তারপর ওই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ক্লাবের ছেলেরা কান্নার শব্দ পেয়ে ওই যুবককে ধরে ফেলে। ৩৯বছরের যুবক কীর্তন দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাকে ওই নাবালিকা জেঠু বলে ডাকত। সেই সুযোগ নিয়েই জঘন্য ঘটনা ঘটায় এবং বস্তায় ভরে দেহ লোপাটের চেষ্টা করে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুন ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ দায়ের হয় হলদিয়া থানায়। সৌমেন কুমার দত্ত আরও জানিয়েছেন,"এটা ছিল রেয়ারেস্ট অফ দা রেয়ারেস্ট কেস । মৃত্যুদন্ড বাঞ্ছনীয় ছিল । আজ আদালতে সমস্ত কিছু তথ্য প্রমাণ সাক্ষ্য গ্রহণের ভিত্তিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করেছে । সেই সঙ্গে জরিমানা এবং মৃত নাবালিকার পরিবার যাতে ক্ষতিপূরণ পায়, সেই নির্দেশ দিয়েছে ।"এই রায়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় । নাবালিকার বাবা ও মা বলেন, আমার মেয়ে বিচার পেল। আদালত এই মামলায় কঠোরতম শাস্তি দেওয়ায় সমাজে এক উদাহরণ তৈরি হল।
No comments