Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বাংলাদেশে দ্রুত শান্তি ফিরে আসুক, বার্তা দিলেন শীর্ষেন্দু

বাংলাদেশে দ্রুত শান্তি ফিরে আসুক, বার্তা দিলেন শীর্ষেন্দু
 বাংলাদেশে দ্রুত শান্তি ফিরে আসুক এবং অরাজকতা বন্ধ হোক। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের এটাই প্রার্থনা। মঙ্গলবার হলদিয়ায় এক অনুষ্ঠানে এই বার্তা দেন বরেণ্য কথা সাহিত্যিক শীর্ষেন্দ…

 






বাংলাদেশে দ্রুত শান্তি ফিরে আসুক, বার্তা দিলেন শীর্ষেন্দু


 বাংলাদেশে দ্রুত শান্তি ফিরে আসুক এবং অরাজকতা বন্ধ হোক। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের এটাই প্রার্থনা। মঙ্গলবার হলদিয়ায় এক অনুষ্ঠানে এই বার্তা দেন বরেণ্য কথা সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চাই সব সম্প্রদায় সেখানে শান্তিতে বাস করুক। এখনও রক্তক্ষয় চলছে। এটি খুবই উদ্বেগের বিষয়। ওখানে আমাদের অনেক আপনজন রয়েছেন। বাংলাদেশের জীবনযাত্রা আবার আগের মতো পুরনো ছন্দে ফিরুক। অরাজকতা বন্ধ না হলে সবারই জীবন বিপন্ন হবে। তাই এই বিষয়টি আগে নিয়ন্ত্রণে আনা দরকার।

হাসিনাকে নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়ে আমরা সাধারণ মানুষ মাথা গলাতে পারি না। বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙা ও ইন্দিরা গান্ধীর নামাঙ্কিত সংস্থায় ভাঙচুরের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বর্ষীয়ান সাহিত্যিক। তিনি বলেন, কিছু ভ্যাগাবন্ড যাদের কোনও কাজকর্ম নেই, যা কিছু পারে ভাঙচুর করে, তারাই রাগের মাথায় এসব করেছে। এরা মূল জনস্রোতের অংশ নয়। একটা দিশাহীন কাজ। 

এদিন হলদিয়ায় কবি তমালিকা পণ্ডাশেঠের ৬৮ তম জন্মদিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। স্মৃতিচারণায় তিনি বলেন, অল্পসময়ের জন্য তমালিকার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। তিনি আমাকে আপ্যায়ন করেছিলেন খুবই ঘরোয়া এবং আন্তরিকভাবে। তিনি লক্ষ্মণ শেঠের মতো মস্ত মানুষের সহধর্মিণী ছিলেন। লক্ষ্মণবাবু শুধু হলদিয়ার রূপকার নন, তিনি হলদিয়াকে ভালোবাসেন। তমালিকা রাজনীতিতে যোগ দেন এবং সফল প্রশাসক হয়ে উঠেছিলেন। এদিন হলদিয়ার আইকেয়ার নলেজ সিটির আর্যভট্ট লাইব্রেরির সামনে তমালিকা পণ্ডাশেঠের পূর্ণাবয়ব মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানো হয়। জন্মদিবস উদযাপনের মূল অনুষ্ঠান হয় হলদিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সত্যেন্দ্রনাথ বসু অডিটোরিয়ামে। বটগাছে জলসিঞ্চন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন প্রাক্তন সাংসদ ও আইকেয়ারের চেয়ারম্যান লক্ষ্মণ শেঠ। তিনি বলেন, সাহিত্য নিয়ে চর্চা করা কঠিন। এজন্য প্রতিভার দরকার। তমালিকার মধ্যে এই গুণাবলী ছিল। মানুষের সঙ্গে মানুষের বন্ধন তৈরির চেষ্টা করেছেন কবিতা চর্চার মধ্য দিয়ে। তাই আজও তাঁর স্মৃতিতে অনুষ্ঠান হলেই ভালোবাসার টানে বহু মানুষ উপস্থিত হন। এদিন অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি ছিলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, তমালিকা পণ্ডাশেঠের কবিতার মধ্যে যে গুণগ্রাহীতা, শব্দচয়ন, ভাষার অনুভব আমাকে বিস্মিত করেছে। প্রশাসক হিসেবে তিনি পুরসভার বাগানগুলিকে সুন্দর করে সাজিয়েছিলেন। বহু অপরিচিত এবং বিদেশি গাছ খুঁজে এনে লাগিয়েছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলদিয়া পুরসভার দুই প্রাক্তন চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ মণ্ডল এবং সুধাংশু মণ্ডল পুর চেয়ারপার্সন হিসেবে তমালিকার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। 

তমালিকা পণ্ডাশেঠের বিধায়ক জীবনের স্মৃতিচারণা করেন প্রখ্যাত সাঁতারু বুলা চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক নলিনী বেরা, কবি শ্যামলকান্তি দাশ, বাম রাজনীতিক সমীর পুততুণ্ড ও অনুরাধা দেব, স্বামী বিবেকাত্মানন্দজি মহারাজ, তমালিকা পণ্ডাশেঠের দুই পুত্র সায়ন্তন শেঠ ও সুদীপ্তন শেঠ, আইকেয়ারের সম্পাদক আশিস লাহিড়ি প্রমুখ। এদিন অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে সুরজিতের ব্যান্ডের গান পরিবেশিত হয়। জেলার বহু কবি সাহিত্যিক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

No comments