বেআইনি বাড়ি ভাঙ্গার জন্য সোচ্চার হলেন হলদিয়া পৌর এলাকার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের পৌষালী ব্লকের বাসিন্দারা
বেআইনি বাড়ি ভাঙ্গার জন্য সোচ্চার হলেন হলদিয়া পৌর এলাকার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের পৌষালী ব্লকের বাসিন্দারা । সরকারি আইনকে বুড়ো আঙ্গু…
বেআইনি বাড়ি ভাঙ্গার জন্য সোচ্চার হলেন হলদিয়া পৌর এলাকার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের পৌষালী ব্লকের বাসিন্দারা
বেআইনি বাড়ি ভাঙ্গার জন্য সোচ্চার হলেন হলদিয়া পৌর এলাকার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের পৌষালী ব্লকের বাসিন্দারা । সরকারি আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা উত্তম মাজি পাকা বাড়ি নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ । ইতিমধ্যে একতলা সমান উচ্চতার বাড়িটি নির্মিত হয়েছে । এলাকাবাসীর বাধা সত্ত্বেও সেই বাড়ি নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন তিনি । ইতিমধ্যে এলাকার মানুষের গণস্বাক্ষর সম্বলিত অভিযোগ পত্র স্থানীয় হলদিয়া পুরসভা অফিসে জমা পড়েছে ।
সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে বাড়ি নির্মাণের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি তৎপর হন । সেই সময় স্থানীয় ২৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্রাবন্তী শাসমল এই অবৈধ নির্মাণের প্রতিবাদ জানিয়ে পৌরসভা দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন । কিছুদিনের জন্য নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকলেও ফের সেই বাড়ি নির্মাণ শুরু করেছেন উত্তম মাজি । এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ফোনে পাওয়া যায় নি। তবে বিশেষ সূত্রে জানা যায় তিনি বলছেন"আমি যেখানে যা বলার বলেছি । এই জায়গায় বাড়ি নির্মাণের কাজে যখন টাকা খরচ করে শুরু করেছি । এখনো পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়নি । যদি বাধা আসে, তারপর ভাববো ।
" এলাকার মানুষ থেকে প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রত্যেকেই ঐ বেআইনি নির্মাণে বাধা হয়েছেন প্রত্যেকেই । কিন্তু স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির মদতে তিনি সরকারি বিধিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে অবৈধ নির্মাণ করে চলেছেন বলে অভিযোগ । তবে তাঁর পাশে প্রভাবশালী কে বা কারা রয়েছেন তা জানার প্রশ্নই উঠে। সরকারি নিয়মে যা বৈধ, তা খতিয়ে দেখা হবে । এমন সাফ জানিয়েছেন হলদিয়া পুরসভার প্রশাসক, তথা হলদিয়া মহকুমা শাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় । তিনি বলেন,"হলদিয়া পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি জায়গায় ২০ লাখ টাকা খরচ করে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র করা হয়েছিল । কিন্তু সেখানে দখল নিয়ে চলে একটি ক্লাব । দিন কয়েক আগে তাদেরকে হঠিয়ে আমরা সেই জায়গা দখল নিয়েছি । সেখানে শিশু এবং মায়েদের জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি চালু করা হয়েছে । হলদিয়া পৌরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে যদি বেআইনি নির্মাণ প্রমাণিত হলে কোনভাবেই আমরা বরদাস্ত করব না । প্রথমে ভূমি দপ্তর কে দিয়ে জায়গার পরিচয় নির্ধারণ করব । সরকারি জায়গা প্রমাণিত হলে, আমরা ওই বাড়ি নির্মাণকারী ব্যক্তিকে বাড়ি ভেঙে নেওয়ার জন্য চিঠি দেবো । তিনি সেই নির্দেশ অমান্য করলে, পুরসভার তরফে আমরা নিজেরাই সেই বাড়িটি ভেঙ্গে দেব ।"শেষমেশ নির্মাণকারী ব্যক্তি, নাকি এলাকার জনগণের দাবি জয় হয় , এখন সেটাই দেখার বিষয় ।
No comments