বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে মাছের উৎপাদন বাড়াতে জোর দিচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মৎস্য দপ্তর
মাছের উৎপাদন বাড়াতে এবার অত্যাআধুনিক বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি প্রয়োগে বিশেষ জোর দিচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মৎস্য দপ্তর । সেই উদ্দেশ্যে পূর্ব মেদি…
বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে মাছের উৎপাদন বাড়াতে জোর দিচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মৎস্য দপ্তর
মাছের উৎপাদন বাড়াতে এবার অত্যাআধুনিক বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি প্রয়োগে বিশেষ জোর দিচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মৎস্য দপ্তর । সেই উদ্দেশ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ২৫ টি ব্লক এলাকা জুড়ে ৬৭২০ জন মৎস্যজীবীকে সরকারি উদ্যোগে অত্যাআধুনিক মৎস্য চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে । জেলায় মিষ্টি জল এবং নোনা জলে মাছ চাষের বিভিন্ন কায়দা কানুন বিনা খরচে শিখবেন মাছ চাষিরা । শিক্ষান্তে পাবেন সরকারের দেওয়া সার্টিফিকেট এবং প্রশিক্ষণ ভাতা ।
মিষ্টি জলে মাছ চাষের জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৩০ হাজার হেক্টর জলাশয় ব্যবহার করা হয় । এই পরিমাণ জলাশয়ে বছরে ২ লাখ,১৫ হাজার মেট্রিক টন রুই, কাতলা, মৃগেল সহ অন্যান্য মিষ্টি জলের মাছ উৎপাদিত হয়ে থাকে । আগামী দিনে আরো ৩ ০০০ হেক্টর জলাশয় মিষ্টি জলের মাছ চাষের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । বছরে মিষ্টি জলের মাছ ২ লাখ , ৫০ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে । অন্যদিকে জেলায় ৮০০০ হেক্টর নোনা জলের জলাশয়ে ভেনামি চাষ হয় । সেই জায়গায় বর্তমান ৪০ হাজার মেট্রিক টন ভেনামি উৎপাদিত হয়ে থাকে । আগামী দিনে আরো ৫০০ হেক্টর নোনা জলের জলাশয় বাড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে । ভেনামি উৎপাদনের পরিমাণ ৪০ হাজার মেট্রিক টন থেকে ৬০ হাজার মেট্রিক টন করবার টার্গেট রয়েছে ।
মাস থেকে সহজপাচ্য প্রোটিন পাওয়া যায় । প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ক্যালসিয়াম ফসফরাস আইরন খনিজ পদার্থ সহ পাওয়া যায় অ্যামাইনো অ্যাসিড । স্বাভাবিকভাবে মাছের গুরুত্ব দিনের পর দিন বেড়েছে । তাই এই উপকূলীয় জেলায় অত্যাধুনিক বিজ্ঞানসম্মত মাছ চাষের মাধ্যমে সেই চাহিদা পূরণের পরিকল্পনা স্থির করা হয়েছে । জেলার সহ-মৎস্য অধিকর্তা সৌরিন্দ্রনাথ জানা বলেন,"মাছের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে । সেই চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে মিষ্টি জল এবং নোনা জলে মাছ চাষে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে । জেলায় উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে সেই চাষ করা হবে । সেজন্য জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ৬৭২০ জন মৎস্যজীবীকে চাষের বিজ্ঞানসম্মত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে সরকারি উদ্যোগে । ইতিমধ্যে জুনপুটে সেই কাজ শুরু হয়েছে । আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলবে ।" কেবলমাত্র প্রশিক্ষণ নয়, সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা সহজে পাবেন এই সমস্ত প্রশিক্ষিত চাষিরা । ভেনামির পাশাপাশি নোনা জলের ভেটকি, পারসে, ভাঙ্গন, ট্যাংরা, কাঁকড়া ইত্যাদি চাষ করা হবে । চীনে প্রচুর পরিমাণ কাঁকড়ার চাহিদা রয়েছে । এই জেলায় কাঁকড়ার চাষ বাড়িয়ে সেই চাহিদা পূরণেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে ।
No comments