বন্ধ ভবঘুরে আবাস, প্রশ্নে পুর প্রশাসক
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, কোনও ভাবেই সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা যাবে না 'শেল্টার ইউনিট ফর হোমলেস' (এসইউএইচ) ইউনিট। তবুও দু'বছর ধরে অসহায়দের আবাসস্থল পুরোপুরি বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে শি…
বন্ধ ভবঘুরে আবাস, প্রশ্নে পুর প্রশাসক
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, কোনও ভাবেই সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা যাবে না 'শেল্টার ইউনিট ফর হোমলেস' (এসইউএইচ) ইউনিট। তবুও দু'বছর ধরে অসহায়দের আবাসস্থল পুরোপুরি বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে শিল্প শহর হলদিয়ায়। মানবিক এই প্রকল্প চালু করার ক্ষেত্রে হলদিয়া পুরসভার বর্তমান পুর প্রশাসক তথা মহকুমাশাসকের অনীহ্য নিয়ে 'স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি' (সুভা) ডিরেক্টর-সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রশাসনের তরফে অবগত করা হয়েছে।
হলদিয়া পুরসভা সূত্রের খবর, ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে এক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল 'শহিদ মাতঙ্গিনী আবাস'। পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বন বিষ্ণুপুরে চারতলা ওই আবাস গড়ে ওঠে। সেখানে ৫০ জন অসহায়ের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। ২০২২ সালের অগস্ট থেকে ওই ভবনটি বন্ধ হয়ে যায়। ৪২ জন আবাসিককে তমলুক পুরসভার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয় সে সময়। তৎকালীন 'বোর্ড অফ কাউন্সিলর্সে'র পক্ষ থেকে ভবনটি সংস্কারের জন্য ছ'মাস সময় চাওয়া হয়েছিল। ওই বছর সেপ্টেম্বরে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়। পুর প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত হন হলদিয়ার মহকুমাশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায়। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত আবাসটি চালু হওয়া দূরে থাক, সংস্কার পর্যন্ত করা হয়নি। অন্যদিকে, ওই ভবনের সামনে মাথা তুলেছে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার রেস্তরাঁ।
আগামী দিনের তমলুক পুরসভার ভবঘুরে আবাসটি সংস্কার হতে পারে। তার আগে হলদিয়া পুরসভায় এলাকায় 'এসইউএইচ' চালু না হলে অসহায়েরা কোথায় যাবেন, তা নিয়ে রীতিমত সংশয় প্রকাশ করেছেন পুর আধিকারিকরাই। তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি আনন্দময় অধিকারী বলছেন, "অসহায়দের পাশে থাকার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্প চালু করেছে। হলদিয়ার মত পুরসভা, যাদের যথেষ্ট আর্থিক তহবিল রয়েছে, তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে অসহায়দের আশ্রয়স্থল চালু করছে না। বরং সেটাকে ধীরে ধীরে শাসক দলকে দখল পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের একাংশ।"
No comments