আইনজীবীর ব্যাংক একাউন্ট থেকে উধাও টাকা?"মাটি টাকা টাকা মাটি" বলেছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব তাই কি সত্য হতে চলছে। টাকা কোথায় রাখবেন বাড়িতে থাকলে চুরি ডাকাতি হতে পারে। নিজের কাছে নিয়ে ঘুরলে ছিনতাই হতে পারে। তাহলে সকলের …
আইনজীবীর ব্যাংক একাউন্ট থেকে উধাও টাকা?
"মাটি টাকা টাকা মাটি" বলেছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব তাই কি সত্য হতে চলছে। টাকা কোথায় রাখবেন বাড়িতে থাকলে চুরি ডাকাতি হতে পারে। নিজের কাছে নিয়ে ঘুরলে ছিনতাই হতে পারে। তাহলে সকলের ভরসা ব্যাংক। সেই ব্যাংকে টাকা রাখার পর যদি টাকার হদিস না পাওয়া যায় তাহলে কোথায় রাখবেন টাকা? জানা যায় ব্যাংক একাউন্টে গচ্ছিত টাকা ছিল এবং তার জন্য এসএমএসের জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে টাকাও দিতে হয়। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক মাস তার একাউন্ট থেকে অন্য কেউ টাকা তুলে নিচ্ছে কিন্তু তার মোবাইলে কোন এসএমএস আসেনি প্রায় ৭ কিস্তির টাকা নয় হাজার টাকা করে তুলে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ অষ্টম কিস্তির টাকা তুলতে গিয়ে হঠাতে মেসেজ ঢুকে জানতে পারে যে তার একাউন্ট থেকে কেউ বা কারা টাকা তুলে নিচ্ছে এটিএম থেকে। কি অবাক কান্ড? এটিএম কার্ড তার কাছে তাহলে কিভাবে টাকা উঠলো তার মেসেজ এ দেখা দিচ্ছে এটিএম থেকে টাকা তুলে নেওয়া হল ৯ হাজার টাকা। তৎক্ষণা ছুটে যায় ব্যাংকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে এটিএম সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে তা পরীক্ষাও করানো হয় কিন্তু কোন কিছু পাওয়া গেল না। তৎক্ষণাৎ তার প্রোফাইল ক্লোজ করার সময় সঙ্গে সঙ্গে তার অ্যাকাউন্টটি শেষ অষ্টম কিস্তির টাকা পুনরায় ফিরে পেল কিভাবে হয় এই ধরনের। বর্তমানে গুগল বা ফোন পে তে মানুষ লেনদেন করছে। এখন আর চেক এটিএম কার্ড নিয়ে বেশি নাড়াচাড়া হয় না। তাহলে এটিএম থেকে টাকা উঠিয়ে নিচ্ছে। এটিএমে রয়েছে সিসি ক্যামেরা তাতেও কোন কিছু তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না ।তাহলে কি "সর্ষের মধ্যে ভূত" ব্যাংকের মধ্যে কি কেউ রয়েছে এই ধরনের কাজ করছে? আতঙ্কে রয়েছেন ওই ব্যাংকের অন্যান্য গ্রাহকরা।
হলদিয়া চক গ্রামীণ এলাকায় ভারতীয় স্টেট ব্যাংক সংস্থা সেই ব্যাংকের বহু গ্রাহক সংখ্যা রয়েছে বিশেষ করে প্রবীনদের জন্য পেনশন এবং ওই এলাকার স্কুল গুলির বেতন ওই ব্যাংক থেকে উঠে এছাড়াও বহু গ্রাহক রয়েছেন ।ওই ব্যাংকে সকালে গেলে সন্ধ্যের পরও কাজ শেষ হবে কিনা তাও ঠিক নেই হয়তো তার পরের দিনও যেতে হয়। স্টাফ খুব কম রয়েছে সাধারণ মানুষকে নাজেহাল হতে হয়।
আইনজীবীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কাউন্ট থেকে ৭২ হাজার টাকা লোপাট মাএ দু'দিনে। হলদিয়া মহকুমা আদালতের আইনজীবী সামিম আখতার অ্যাকাউন্ট থেকে এমন মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে । হলদিয়ার ব্রজলালচকের বাসিন্দা আইনজীবীর এটিএম কার্ড তাঁর নিজের কাছে ছিল । কোনরকম ওটিপি নম্বরও তাকে কেউ জানতে চাননি । অনলাইনে টাকা লেনদেন সংক্রান্ত কোনো মেসেজও তার মোবাইলে ঢোকেনি । ওটিপি ছাড়াই এহেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন আইনজীবী । চাঞ্চল্য ব্রজলালচক এলাকায় । সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন পেশাগত কারণে হলদিয়া আদালতে এসেছিলেন আইনজীবী । সেই সময় তাঁর মোবাইলে একটি মেসেজ ঢোঁকে । তাতে তিনি জানতে পারেন, তাঁর স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ব্রজলালচক ব্রাঞ্চের অধীনে থাকা অ্যাকাউন্ট থেকে ৯০০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে ।
মেসেজ দেখে হতবাক হন তিনি । বিষয়টি তিনি ব্যাংকের ম্যানেজারকে জানান । ব্যাংকের তরফে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হয় তৎক্ষণাৎ । ব্যাংকের ম্যানেজার ঐশিক মন্ডল জানান," আইনজীবীর এটিএম থেকে ৮ বার ৯০০০ করে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে । এটিএম থেকে ১০০০০ টাকা তুললে ওটিপি প্রয়োজন হয় । কিন্তু এটিএম কার্ড ছাড়াও কি করে টাকা তোলার সম্ভব হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।" অনলাইন প্রতারণা চক্রের এই ঘটনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চেয়ে ইতিমধ্যে স্থানীয় ভবানীপুর থানায় আইনজীবীর অভিযোগ দায়ের করেছেন । ভবানীপুর থানা ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১৮(৪) ধারাতে মামলা রুজু করেছে । ইতিমধ্যে পুলিশের তরফে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া কাছে এটিএম এর সিসিটিভি ফুটেছে চাওয়া হয়েছে ।
আইনজীবী সামিম আক্তার জানিয়েছেন," এটিএম কার্ড আমার কাছে ছিল । তা সত্ত্বেও আমার অ্যাকাউন্ট থেকে কি করে ৮ বার টাকা তুলে নেওয়া হল বোঝা মুশকিল । ব্যাংকে টাকা রাখাও নিরাপদ নয় মনে করছি । আমি আমার টাকা ফেরতের আবেদন জানিয়েছি থানা এবং ব্যাংকের কাছে ।" এসবিআইয়ের ব্রজলালচক ব্রাঞ্চ বিষয়টি তাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে । এখন কত দিনে টাকা ফেরত পান আইনজীবী সেটাই দেখার বিষয় ।
No comments