তছরূপে অভিযুক্ত পঞ্চায়েতের দুই আধিকারিক, তদন্ত শুরুপঞ্চায়েতের দুই সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ আনলেন উপপ্রধান-সহ একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য। লিখিত সেই অভিযোগ পেয়ে বিডিওকে তদন্তের নির্দেশ দিলেন মহকুমাশাসক। হলদিয়া মহ…
তছরূপে অভিযুক্ত পঞ্চায়েতের দুই আধিকারিক, তদন্ত শুরু
পঞ্চায়েতের দুই সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ আনলেন উপপ্রধান-সহ একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য। লিখিত সেই অভিযোগ পেয়ে বিডিওকে তদন্তের নির্দেশ দিলেন মহকুমাশাসক। হলদিয়া মহকুমা সুতাহাটা ব্লকের কুকড়াহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ঘটনা ।কুকড়াহাটি পঞ্চায়েতের এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট শিপ্রা মাইতি আমেদ এবং নির্মাণ সহায়ক বিবেক দণ্ডপাটের বিরুদ্ধে হলদিয়ার মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ হয়েছিল। দাবি করা হয়েছিল, সরকারি নির্দেশিকা না মেনে ঠিকাদারদের কাজের বিল পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। একটি সাবমার্সিবল পাম্প দেখিয়ে দুবার টাকা তোল তদন্ত চলছে। শীঘ্রই রিপোর্ট দেওয়া হবে।"
পঞ্চায়েতের তহবিল থেকে। পঞ্চায়েত অফিসে শৌচালয় তৈরিতেও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশ। এই দুই সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীরও।
স্থানীয়দের একাংশ জানালেন, দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রাম পঞ্চায়েতে অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কাজ করছেন শিপ্রা। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিকবার আর্থিক তছরূপের অভিযোগ উঠেছে। তবে কিছুই হয়নি। ঠিকাদারদের সঙ্গে শিপ্রা এবং বিবেকের আঁতাতের অভিযোগ রয়েছে। এই দুই সরকারি আধিকারিক ঠিকাদারদের থেকে কাটমানি নেন বলেও অভিযোগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, "সরকারি নির্দেশিকাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই দুই সরকারি আধিকারিক লুট করছেন। বৈঠক করছেন না। ঠিকাদারদের থেকে সরাসরি টাকা নিয়ে কাজের বরাত দিয়ে দিচ্ছেন। কাজ শেষের আগেই ঠিকাদারকে টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে।।" শিপ্রার বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে।
শিপ্রা ম্যাডামকে এ দিন ফোনকরলে ফোন কেটে দেন। আর বিবেক ফোন ধরেননি। অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে হলদিয়ার মহকুমাশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, "সুতাহাটা ব্লকের বিডিওকে তদন্ত করে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তার রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।" বিডিও দেবলীনা দাসের বক্তব্য, "তদন্ত চলছে। শীঘ্রই রিপোর্ট দেওয়া হবে।"
No comments