শিল্পের জন্য জমি নিয়ে ফেলে রাখা যাবে না নির্দেশ - এইচ ডিএ
শিল্পের জন্য জমি নিয়ে ফেলে রাখা যাবে না। রাজ্যের নির্দেশ মেনে এবার শিল্প সংস্থাগুলিকে এই বার্তা দিতে চলেছে হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এইচডিএ)। এইচডিএকে রাজ্যের স্পষ্ট নির্দে…
শিল্পের জন্য জমি নিয়ে ফেলে রাখা যাবে না নির্দেশ - এইচ ডিএ
শিল্পের জন্য জমি নিয়ে ফেলে রাখা যাবে না। রাজ্যের নির্দেশ মেনে এবার শিল্প সংস্থাগুলিকে এই বার্তা দিতে চলেছে হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এইচডিএ)। এইচডিএকে রাজ্যের স্পষ্ট নির্দেশ, ল্যান্ড ব্যাঙ্ক থেকে যে শিল্প সংস্থাগুলিকে ইতিমধ্যেই জমি দেওয়া হয়েছে, তার স্ট্যাটাস রিপোর্ট আগে পাঠাতে হবে। শিল্পের অগ্রগতি দেখেই অন্য শিল্প সংস্থাকে জমি হস্তান্তরের অনুমোদন দেবে রাজ্য। বুধবার বোর্ড মিটিংয়ের পর প্রেস মিটে একথা বলেন এইচডিএর চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর। তিনি বলেন, এইচডিএ-র থেকে রাজ্যের কাছে হস্তান্তরের অনুমতি চেয়ে ২৪টি বড় এবং ১৯টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থার জমির প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় শিল্প সংস্থা হল আইওসি রিফাইনারি। ওই সংস্থাই ১০০ একর জমি চেয়েছে পেট্রকেম শিল্প গড়ার জন্য। প্রথম দফায় ৮৪ একর এবং পরে আরও ২০ একর জমি দেওয়ার কথা। ওদের প্রথম দফার ৮৪ একর জমির প্রস্তাব রাজ্যে ক্যাবিনেটে পাঠিয়েছিলাম। ক্যাবিনেট ওই জমি হস্তান্তরের অনুমোদন দিয়েছে এবং এজন্য জমির নির্দিষ্ট মূল্যও ধার্য করে দিয়েছে।
এইচডিএর চেয়ারম্যান জানান, আইওসি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ৮৪ একর জমির জন্য ধার্য টাকা এইচডিএতে জমা দেয়নি। ওরা টাকা মেটানোর জন্য আরও ৬ মাস সময় চেয়েছে। এদিনের বোর্ড মিটিংয়ে এইচডিএ আইওসির আবেদন মেনে ৬ মাসের বদলে ৩ মাস বাড়তি সময় দিয়েছে টাকা মেটানোর জন্য। তিনি বলেন, রাজ্যের শিল্পদপ্তরের অভিমত হল, যে স্কিম বা শিল্পের জমি দেওয়া হয়েছে আগে বাস্তবে তা রূপ পেতে হবে। না হলে জমি দেওয়া হবে কিন্তু কাজ হবে না, তাহলে অনুমোদন দিয়ে কী লাভ? সেজন্য যে প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে আগে তার বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে। প্রসঙ্গত, হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের অভিজ্ঞতা হল, এইচডিএ এর আগে একাধিক শিল্প সংস্থাকে জমি দিয়েছে, কিন্তু কোনও শিল্প গড়ে ওঠেনি। সেই জমিতে শিল্পও হয়নি, এইচডিএও জমি ফেরত পায়নি। বড় উদাহরণ উরাল ইন্ডিয়ার গাড়ি কারখানা বা ক্যালস রিফাইনারি। শিল্প গড়ার জন্য জমি নিয়ে দশকের বেশি সময় ফেলে রেখেছে। ওই জমি ফেরত পেতে এইচডিএর কালঘাম ছুটছে। সেজন্য এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে এইচডিএ ও রাজ্য সরকার।
এদিন বোর্ড মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, পুলিস সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য, এইচডিএর চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার কোন্থাম সুধীর, হলদিয়ার মহকুমা শাসক তথা পুর প্রশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায়, এসডিপিও অরিন্দম অধিকারী, আইওসির এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর অতনু সান্যাল দুই ভাইস চেয়ারম্যান সহ বোর্ডের সদস্যরা। শহরের গরিব ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের জন্য এদিন আলোচনা হয়েছে। পুনর্বাসনের জন্য দপ্তর থেকে যে জমি চিহ্নিত হয়েছে ভূমিহীনরা সেখানে যেতে রাজি নয়। সেজন্য নতুন করে রাজ্যের কাছে প্রস্তাব পাঠাচ্ছে এইচডিএ। এছাড়া গেঁওখালি ওয়াটার প্রজেক্ট থেকে যে জল আসে সেখানে ঘাটতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ বিষয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে এইচডিএ আলোচনায় বসবে বলে জানান জ্যোতির্ময়বাবু। এদিন বৈঠকে ১৭৪ জন গ্রিন পুলিসকে জেলা পুলিসের অন্তর্গত করার জন্য পুলিস সুপারকে প্রস্তাব দিয়েছে এইচডিএ। ওই গ্রিন পুলিস এইচডিএর অধীনে থাকলেও জেলা পুলিস দ্বারা পরিচালিত হয়। এদের মাইনে দিত এইচডিএ। এদের ডিপার্টমেন্টাল ট্রান্সফারের ব্যবস্থা করা হবে। এদিন হলদিয়া শহর সহ এইচডিএ প্ল্যানিং এরিয়ায় উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন স্কিমের প্রস্তাবও পাশ হয়েছে।
No comments