Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সারদীয়া উৎসব পর্ব মিটলেই মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভাগুলির ভোট!

উৎসব পর্ব মিটলেই মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভাগুলির ভোট! এমনই সম্ভাবনা দানা বেঁধেছে রাজ্য প্রশাসনের অন্দর থেকে আসা খবরে। দীর্ঘদিন ধরে যে পুরসভাগুলির ভোট বকেয়া কিংবা প্রশাসকের মাধ্যমে পুরবোর্ড পরিচালিত হচ্ছে, সেখানে চলতি বছরই ভোট করান…

 




উৎসব পর্ব মিটলেই মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভাগুলির ভোট! এমনই সম্ভাবনা দানা বেঁধেছে রাজ্য প্রশাসনের অন্দর থেকে আসা খবরে। দীর্ঘদিন ধরে যে পুরসভাগুলির ভোট বকেয়া কিংবা প্রশাসকের মাধ্যমে পুরবোর্ড পরিচালিত হচ্ছে, সেখানে চলতি বছরই ভোট করানোর ভাবনাচিন্তা করছে নবান্ন। এবিষয়ে আলাপ-আলোচনাও শুরু হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। সেক্ষেত্রে হাওড়া সহ ১৫টি পুরসভার নির্বাচন এবছরই হয়ে যেতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।


২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মেয়াদ শেষ হয়েছে নদীয়া জেলার কুপার্স ক্যাম্প পুর বোর্ডের। বর্তমানে সেখানে এসডিও প্রশাসকের ভূমিকায় থেকে পুরসভা চালাচ্ছেন। আবার দুর্গাপুর কর্পোরেশনে মেয়রের চেয়ার দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা। পুরসভার বোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে তা চালাচ্ছে পাঁচজনের পুর প্রশাসক মণ্ডলী। হলদিয়া পৌরসভার ২০২২ সেপ্টেম্বর মাস থেকে এসডিও পৌর প্রশাসকের  ভুমিকায় পৌর বোর্ড। আর হাওড়া পুরসভা তো রাজ্য-রাজভবন সংঘাত থেকে আইনি জটিলতায় জর্জরিত সেই ২০১৮ সাল থেকে। সব মিলিয়ে রাজ্যের ১৫টি পুরসভার হাল একইরকম। সেগুলিতে এবছরই ভোট করিয়ে নেওয়ার ভাবনা এদিন ব্যক্ত করেছেন রাজ্যের এক মন্ত্রী। তবে এটাও উল্লেখ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। যদিও কোন সময় নির্বাচন হলে সকলের সুবিধা, সেটাই এখন প্রশাসনিক কর্তাদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সামনে পুজো। তাই অনেকের মত, কালীপুজো ও ভাইফোঁটার পরই ভোটের আদর্শ সময়।

শাসকদল তৃণমূলের একটি বড় অংশ অবশ্য চাইছে, দ্রুত এই পুর নির্বাচন হোক। লোকসভা ভোটের সাফল্যের রেশ থাকতে থাকতে পুরভোট হলে ফল ভালো হবে। তাতে এলাকাবাসীর কাছে নাগরিক পরিষেবা যেমন আরও ভালোভাবে পৌঁছে দেওয়া যাবে, তেমনই বিরোধীদের মুখও বন্ধ হবে। কারণ ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ভোট করিয়ে পুরসভাগুলির হাতে বছর খানেক সময় দেওয়া হলে তারাও কাজ করার সুযোগ পাবে। তাতে ফল মিলতে পারে হাতেনাতে। লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে রাজ্যের ৬৯টি পুরসভায় পিছিয়ে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তাই তাদের নজর এখন বকেয়া পুরভোট করানোর দিকে। ’২৬-এর ভোটের দামামা বাজার আগেই এই পুরসভাগুলির অধিকাংশ শাসকদলের অধীনে এসে গেলে পরিষেবা নিয়ে যে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া দেখা যাচ্ছে, তার বাধা হেলায় এড়িয়ে যেতে পারবেন মমতা।

হাওড়া কর্পোরেশনের ৫০টি ওয়ার্ড (ওয়ার্ড ভাঙার পর ৬৬) এবং বালি পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডে ভোট করানোর ক্ষেত্রে আইনগত কোনও জটিলতা আছে কি না, তা যাচাই করছে প্রশাসন। তৃণমূলের পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া করোনাকাল ও পরবর্তীতে শারীরিক অসুস্থতার কারণে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রয়াণে দীর্ঘদিন ধরে বহু ওয়ার্ডে কাউন্সিলারের পদ ফাঁকা। সেখানে ভোট করানোর ভাবনাচিন্তা রয়েছে প্রশাসনের। এই তালিকায় মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২টি, দমদম পুরসভার ১টি, কামারহাটি পুরসভার ২টি ওয়ার্ড। ধূপগুড়ি বিধানসভার উপ নির্বাচনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলের দাবি, ওই পুরসভায় ভোট হলে ঘাসফুল ফোটা অবশ্যম্ভাবী। সব মিলিয়ে বকেয়া পুরভোট করিয়ে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কোমর বেঁধে ঝাঁপাতে চলেছে তৃণমূল। অন্যদিকে পুর-এলাকায় সাংগঠনিক সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে মেয়র, চেয়ারম্যানের অনেকেরই পদ কাঁটছাট হওয়ার ইঙ্গিত গত একুশে জুলাই মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে পাওয়া গিয়েছে।

No comments