Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধের বিজ্ঞপ্তি, লংঙ্ঘনে কড়া পদক্ষেপ

প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধের বিজ্ঞপ্তি, লংঙ্ঘনে কড়া পদক্ষেপ
পূর্ব মেদিনীপুরের ৩২৬৪ বিদ্যালয়ের ১২০০০ শিক্ষক-শিক্ষিকাকে সতর্ক রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনেই প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধ করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি কর…

 




প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধের বিজ্ঞপ্তি, লংঙ্ঘনে কড়া পদক্ষেপ


পূর্ব মেদিনীপুরের ৩২৬৪ বিদ্যালয়ের ১২০০০ শিক্ষক-শিক্ষিকাকে সতর্ক

 রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনেই প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধ করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের স্বাক্ষর সম্বলিত সেই চিঠি জেলার ৪৬টি চক্রের স্কুল পরিদর্শকদের কাছে শুক্রবার পৌঁছেছে। তাদের কাছ থেকে জেলার ৩২৬৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১২০০০ প্রাথমিক শিক্ষক- শিক্ষিকাকে এ বিষয়ে সতর্ক করার কাজ চলবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের এই পদক্ষেপকে ডান বাম বিভিন্ন সংগঠন সমর্থন জানিয়েছে।

শিক্ষক রাজ্যে প্রাইভেট টিউটর অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে সরকারি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের টিউশন বন্ধ করার জোরালো প্রতিবাদ ছিল। তার প্রেক্ষিতেই রাজ্য সরকার সরকারি স্কুলগুলোতে শিক্ষক- শিক্ষিকাদের টিউশন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারি স্কুলগুলির শিক্ষক শিক্ষিকা কোনওভাবেই প্রাইভেট টিউশন করতে পারবেন না। প্রাথমিক কিংবা মাধ্যমিক কোনও স্তরের শিক্ষক- শিক্ষিকা টিউশন করলে সেটা অন্যায়ধরা হবে। প্রয়োজনে তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষা দপ্তর আইনি পদক্ষেপ করতে পারে বলে সাবধান করা হয়েছিল। সেই মর্মে জেলায় মাধ্যমিক স্তরে আগেই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। জেলায় মাধ্যমিক স্তরে এই জেলায় ১৯টি মাদ্রাসা এবং মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক মিলিয়ে ৯৬৯টি স্কুলে ১৪৫০০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে ২১৪-জিও অনুযায়ী এই বিষয়ে অবগত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মাধ্যমিক স্কুল পরিদর্শক শুভাশিস মিত্র। শুক্রবার প্রাথমিক স্তরে সেই বিজ্ঞপ্তি জারি করলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার সংসদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, "রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় প্রাথমিক স্তরের পঠনপাঠনের মান আরও ভালো হবে। আর সেটি লঙ্ঘন করলে শোকজ, সাসপেন্ড, এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হতে পারে। অতএব সরকারি স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রাইভেট টিউশনকরা কোনওভাবে বরদাস্ত করা হবে না।" এ বিষয়ে বাম সমর্থিত নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক অসীম গোস্বামী জানান, "এটা খুব ভালো উদ্যোগ। অনেক আগে দরকার ছিল এই পদক্ষেপ। শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলে পঠনপাঠনে মনোযোগ দিলে ছাত্রছাত্রীদের আর প্রাইভেট টিউশন পড়ার দরকার হয় না। প্রাইভেট টিউশন করলে স্কুলে পঠনপাঠনের বিষয়টি গৌণ হয়ে যায়। তাই কড়া হাতে এই বিষয়টি দেখা দরকার।" পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক গঙ্গা নারায়ণ জানা বলেন, "অনেকদিন ধরে শুনছি এই নিয়ম চালু হবে। বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে জানলাম। বাস্তবে কার্যকরী হলে ভালো হবে শিক্ষাক্ষেত্র। সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক হওয়া দরকার।" সরকারি এই পদক্ষেপকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল তৃণমূল প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য যুগ্ম সম্পাদক দেবদুলাল আচার্য। শিক্ষার মানোন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষিত বেকারদের আয়ের পথ খুলে যাবে বলেছেন মনে করছেন। তিনি জানান, "অনেক আগেই আমরা দাবি তুলেছিলাম সরকারি স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধ করা হোক। কেনইবা প্রাইভেট টিউশন করব সেই প্রশ্ন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিবেকের কাছে। স্কুলের পঠনপাঠনে মনোযোগ দেওয়া বাঞ্ছনীয়। সেই সুবাদে শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীরা প্রাইভেট টিউশনের সুযোগ পাবেন। তাঁদের সুযোগ দেওয়া হোক।"

একজন শিক্ষক কিংবা শিক্ষিকা স্কুলে মোটা অংকের মাইনে পাওয়ার পরে কেনইবা প্রাইভেট টিউশন করবেন। প্রাইভেট টিউশনে আয়ের সুযোগ বেশি, সেই সুযোগকে কি কাজে লাগাতে চান বহু সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা। এটাও একরকম প্রতারণা বলে মনে করছেন বহু মানুষ। সেক্ষেত্রে অভিভাবক, অভিভাবিকাদের সতর্ক থাকা দরকার মনে করছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষামহল। গোপনে অনেক শিক্ষক নিজের বাড়িতে কিংবা ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে প্রাইভেট টিউশন করছেন। তা প্রমাণিত হলে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলেও প্রশাসনের তরফের জানানো হয়েছে।

No comments