মহিষাদলের শতাব্দী প্রাচীন রথযাত্রায় ভিড় উপচে পড়ল
রবিবার মহিষাদলের শতাব্দী প্রাচীন রথযাত্রায় ভিড় উপচে পড়ল। রীতি ও প্রথা মেনেই এদিন পুরীর রথটানা শুরুর পর মহিষাদলের রথের রশিতে টান পড়ে। হাজার হাজার পুণ্যার্থীর সমাগমে জমে ওঠে রথের মেলা…
মহিষাদলের শতাব্দী প্রাচীন রথযাত্রায় ভিড় উপচে পড়ল
রবিবার মহিষাদলের শতাব্দী প্রাচীন রথযাত্রায় ভিড় উপচে পড়ল। রীতি ও প্রথা মেনেই এদিন পুরীর রথটানা শুরুর পর মহিষাদলের রথের রশিতে টান পড়ে। হাজার হাজার পুণ্যার্থীর সমাগমে জমে ওঠে রথের মেলা।
নিয়ম অনুযায়ী, সকালেই স্নান ও ভোগ নিবেদনের পর মহিষাদল রাজবাড়ির কুলদেবতা মদনগোপালজিউ প্রথমে রথে চাপেন। এরপর একে একে জগন্নাথ ও বলরাম ওঠেন রথে। দেবতাদের রথে স্থাপনের সেই মনোরম দৃশ্য দেখতে বহু মানুষ দূরদূরান্ত থেকে মহিষাদলের রথতলায় এসে ভিড় করেন। রথে দুপুর অবধি দেবতারা বিশ্রাম নেন। এরপর বিকেল নাগাদ রাজবাড়ি থেকে পালকি চেপে রথতলায় আসেন রাজা। এদিন মহিষাদলের রাজা হরপ্রসাদ গর্গ রথের রশিতে টান দিয়ে শুরু করেন রথযাত্রা। এরপর হাজার হাজার মানুষ রশিতে টান দেন। এদিন রথযাত্রার সূচনায় উপস্থিত ছিলেন পুলিস সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য এবং বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী।
এদিন সকাল থেকে দর্শানার্থী ও ভক্তদের পোলাও ভোগ বিতরণ করা হয়েছে। ২০০কেজি চালের পোলাও প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে বিতরণ করা হয়।
বিধায়ক বলেন, গুণ্ডিচাবাটিতে আগামী কয়েকদিন ভাঁড়ে পোলাও ভোগপ্রসাদ দেওয়া হবে। তবে তা আগে থেকে অর্ডার দিতে হবে। মহিষাদলে গুণ্ডিচাবাটি মাসির বাড়িতে রাজভোগ খেয়ে আগামী কয়েকদিন কাটাবেন জগন্নাথদেব ও রাজবাড়ির কুলদেবতা মদনগোপালজিউ। প্রতিদিন পোলাও, ফ্রায়েড রাইস, পনির, সন্দেশ, গোবিন্দভোগ চালের পায়েস দিয়ে রাজকীয় ভোগ দেওয়া হবে জগন্নাথদেবকে। জগন্নাথদেবের ভোগ খেতে দূরদূরান্ত থেকে মহিষাদলে উপচে পড়ে পর্যটকদের ভিড়। প্রতিদিন দুপুরে ও সন্ধ্যায় দর্শনার্থী এবং পর্যটকদের জগন্নাথদেবের প্রসাদ বিতরণ করা হবে। এছাড়া যাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
মহিষাদলের পাশাপাশি হলদিয়ায় ইসকনের রথ জমে উঠেছে। এদিন বালুঘাটায় রথের রশিতে টান দিয়ে ইসকনের রথের সূচনা করেন প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ। ইসকনের রথ উপলক্ষ্যে এবার রথের মেলা বসেছে ক্ষুদিরামনগরে হলদিয়া দুর্গোৎসব কমিটির মাঠে। এদিন টাউনশিপ, গিরিশ মোড়, চকদ্বীপা গ্রামের রথে বহু মানুষের সমাগম হয়।
No comments