Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বালি তোলা কিংবা মাটি কাটা হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিডিও, থানার ওসি ও ব্লক ভূমি অফিসারকে শোকজ করবে জেলা প্রশাসন

বালি তোলা কিংবা মাটি কাটা হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিডিও, থানার ওসি ও ব্লক ভূমি অফিসারকে শোকজ করবে জেলা প্রশাসন
ফি-বছর বর্ষায় বন্যার কবলে পড়ে পূর্ব মেদিনীপুর। কেলেঘাই, কংসাবতী, রূপনারায়ণ নিয়ে উদ্বেগের শেষ থাকে না। প্রশাসন থেকে সেচদপ্ত…

 



বালি তোলা কিংবা মাটি কাটা হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিডিও, থানার ওসি ও ব্লক ভূমি অফিসারকে শোকজ করবে জেলা প্রশাসন


ফি-বছর বর্ষায় বন্যার কবলে পড়ে পূর্ব মেদিনীপুর। কেলেঘাই, কংসাবতী, রূপনারায়ণ নিয়ে উদ্বেগের শেষ থাকে না। প্রশাসন থেকে সেচদপ্তরের অফিসার-কর্মীদের দিন রাত কাবার হয়ে যায় নদীর পাড়ে অস্থায়ী ক্যাম্পে। প্লাবিত এলাকার মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। এই যন্ত্রণা থেকে রেহাই দিতে এবার প্রাক-বর্ষাতেই কাজ শুরু করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। বর্ষায় নদীপাড় এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বালি ও মাটি কাটার উপর কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কোনও এলাকা থেকে বালি তোলা কিংবা মাটি কাটা হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিডিও, থানার ওসি ও ব্লক ভূমি অফিসারকে শোকজ করবে জেলা প্রশাসন। কেলেঘাই নদী তীরবর্তী এলাকার ভগবানপুর, পটাশপুরে অবৈধ ভেড়ি ও ইটভাটা মালিকদের চিহ্নিত করে নোটিস পাঠানো হচ্ছে। নদীপাড় এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানও জোরকদমে চালানো হবে।

জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী বলেন, বর্ষায় বালি তোলার উপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এই অবস্থায় কোনও এলাকা থেকে বালি তোলা কিংবা নদীপাড় থেকে মাটি কাটা হলে সেখানকার বিডিও, ব্লক ভূমি অফিসার ও থানার ওসিকে শোকজ করা হবে।

গত ১০ জুলাই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সকল বিডিও, ব্লক ভূমি অফিসার ও থানার আইসি, ওসিদের নিয়ে মিটিং করে প্রশাসন। সেখানে জেলাশাসক ও পুলিস সুপার সৌম্য‌দীপ ভট্টাচার্য ছিলেন। পরিষ্কারভাবে জানানো হয়েছে, বর্ষার সময় কোনও নদী থেকে বালি তোলা যাবে না। কোনও এলাকা থেকে বালি তোলা হলে সেখানকার প্রশাসন ও পুলিস সম্পূর্ণ দায়ী থাকবে। এজন্য শোকজ করা হবে। তার জবাবদিহি করতে হবে। বর্ষার মধ্যেও কোলাঘাটে রূপনারায়ণ, ময়না ও নন্দকুমারে কংসাবতী, কেলেঘাই ও নরঘাটে হলদি নদী থেকে বালি তোলা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। গত ৫জুলাই ময়নায় অবৈধভাবে বালি তোলার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ অভয়া দাস ও পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপন জানার নেতৃত্বে অভিযান হয়। তাতে চারটি বালিভর্তি গাড়ি আটক করা হয়। দুই জনপ্রতিনিধি সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ঘটনায় পুলিসের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হয়। তারপর ৬জুলাই ময়না থানার ওসি বদলি হন। বালি তোলার সঙ্গে বদলির ঘটনা সম্পর্কিত কি না সেটা অবশ্য পরিষ্কার নয়। গত বছরও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ায় কংসাবতী নদীর স্লুইসগেট ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। দুর্গত মানুষজনকে শিবিরে আনতে হয়েছিল। পটাশপুরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তালছিটকিনি এলাকায় কেলেঘাই নদীর দুর্বল নদীবাঁধ পাহারায় আমগেছিয়ায় অস্থায়ী ক্যাম্পে রাত জাগতে হয় সেচদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের। ২০২১সালে ভয়ঙ্কর বন্যার মুখোমুখি হয় পটাশপুর, ভগবানপুর। এক মাসের বেশি সময় জল জমে থাকায় মানুষের দুর্ভোগের শেষ ছিল না। তাই এবার প্রাক-বর্ষায় একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেয় জেলা প্রশাসন। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য নদীবাঁধ মেরামত। সেচদপ্তরের তরফে দুর্বল নদীবাঁধ চিহ্নিত করে মেরামত করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, বর্ষার সময় নদী থেকে বালি ও মাটিকাটা পুরোপুরি বন্ধ করা। ব্লক প্রশাসন ও থানার পুলিসকে সম্পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কোনও জায়গায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য হলে দায়ী থাকবে সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিস প্রশাসন। বিডিও, ব্লক ভূমি অফিসার ও থানার ওসি শোকজের মুখে পড়বেন।

No comments