Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

তৃতীয়বারের জন্য সরকার গড়তে ঝাঁপিয়ে পড়লেন নরেন্দ্র মোদি

তৃতীয়বারের জন্য সরকার গড়তে ঝাঁপিয়ে পড়লেন নরেন্দ্র মোদি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৃতীয়বারের জন্য সরকার গড়তে ঝাঁপিয়ে পড়লেন নরেন্দ্র মোদি। এবং জোটের জ্বালা গায়ে নিয়ে। ফলপ্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, বুধবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে ইস্তফা…

 


তৃতীয়বারের জন্য সরকার গড়তে ঝাঁপিয়ে পড়লেন নরেন্দ্র মোদি

 যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৃতীয়বারের জন্য সরকার গড়তে ঝাঁপিয়ে পড়লেন নরেন্দ্র মোদি। এবং জোটের জ্বালা গায়ে নিয়ে। ফলপ্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, বুধবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে ইস্তফা দিলেন। আর বিকেলেই নিজের বাসভবনে বৈঠক করলেন এনডিএ’র ১৫ সহযোগী দলের সুপ্রিমোদের সঙ্গে। আর তারপর রাষ্ট্রপতি ভবনে আবার পৌঁছে গেলেন ‘নৈশভোজে’র অনুষ্ঠানে। সরকার গড়ার দাবি? সে নিয়েও ঢিলেমি চাইছেন না তিনি। শোনা যাচ্ছে, আগামী শনি বা রবিবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চাইছেন মোদি। তাই বুধবার সকালে জোট বৈঠকে দ্রুত অনুমোদিত হয়েছে লিখিত প্রস্তাব—এনডিএ’র নেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদিকে মনোনীত করা হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়। প্রস্তাবে একঝাঁক শপথও গ্রহণ করানো হয়েছে। বলা হয়েছে, নারী, যুব এবং কৃষকদের জন্য এই সরকার কাজ করবে। উন্নয়নই হবে প্রধান এজেন্ডা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, একটিও হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা স্থান পেল না প্রস্তাবে। এনডিএ’র শরিক নেতা সকলেই তাতে সই করলেন। পাশাপাশি ১৫ দলই বিজেপিকে সমর্থনের চিঠিও দিয়েছে। কোনওভাবেই মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’ যাতে সরকার গড়ার ন্যূনতম সুযোগ ও সময় না পায়, সেই লক্ষ্যেই এই ঝোড়ো কর্মসূচি। কারণ মোদি জানেন, এরপর মন্ত্রিত্ব বণ্টনের চ্যালেঞ্জ তাঁর জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে। 

তৃতীয় মোদি সরকার নয়, বাস্তবিকই এনডিএ সরকার। মঙ্গলবার ফলপ্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে মোদি ফোন করেন নীতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নাইডুকে এবং তাঁদের দিল্লিতে এনডিএ’র বৈঠকে আসার অনুরোধ জানান। বুধবার দিল্লিতে এসে পৌঁছন দুজনেই। জল্পনা তুঙ্গে ওঠে, যখন দেখা যায় পাটনা থেকে একই বিমানে পাশাপাশি আসনে এসেছেন তেজস্বী যাদব এবং নীতীশ। চাচা-ভাতিজার মধ্যে কী কথা হল? কেউ উচ্চবাচ্য করেননি। তেজস্বী এসেছিলেন ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে যোগ দিতে। তবে নীতীশ কুমার যে আগে এনডিএতেই জাঁকিয়ে বসার চেষ্টা চালাবেন, সে ব্যাপারে সংশয় নেই দিল্লির দরবারে। তাঁর প্রথম দাবি ছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কিন্তু সেদিকে জল গড়াবে না বুঝে কৃষি, গ্রামোন্নয়ন ও রেলমন্ত্রক চেয়ে রেখেছেন বলে জল্পনা। চন্দ্রবাবু নাইডুর দাবি অর্থমন্ত্রক এবং অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য স্পেশাল প্যাকেজ। চিরাগ পাসোয়ান পর্যন্ত পূর্ণ ও রাষ্ট্রমন্ত্রক মিলিয়ে খান তিনেক দাবি জানিয়ে রেখেছেন। একনাথ সিন্ধের ইচ্ছে, দু’টি পূর্ণমন্ত্রক। তবে রাত পর্যন্ত যা খবর, অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দলের বাইরে যেতে দিতে চাইছে না বিজেপি। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন, নির্মলা সীতারামন এবং অমিত শাহ কি তাঁদের জায়গা ধরে রাখবেন? দলের মধ্যেই এর বিরোধিতা রয়েছে। তবে বিরুদ্ধবাদীরা এই সমীকরণটা শরিকদের দিয়েই পাশ করাতে চাইছে বলে খবর। অর্থাৎ, সেই জোটের জ্বালা।

একক গরিষ্ঠতা না থাকা কাকে বলে, সেই আভাস প্রথম দিনেই পেয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। গত ১০ বছরের ছবি ছিল, একদিকে জগৎপ্রকাশ নাড্ডা, আর অন্যদিকে অমিত শাহ। মাঝখানের চেয়ারে নরেন্দ্র মোদি। বাকিদের বসার ব্যবস্থা গোল টেবিলের দূরে দূরে। বুধবার ব্যতিক্রম ঘটল। ৭ নম্বর লোককল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হওয়া এনডিএ’র ভোট পরবর্তী প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঠিক পাশে চন্দ্রবাবু নাইডু। তাঁর পাশে নীতীশ কুমার। তারপর একনাথ সিন্ধে। আর অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর পাশে জগৎপ্রকাশ নাড্ডা, তারপর রাজনাথ সিং এবং তারও পরে অমিত শাহ। এতকাল এমন বৈঠকে দেখা গিয়েছে, মোদি গম্ভীর। তাঁর দিকে ঝুঁকে অন্যরা দু’-একটা কথা বলছেন ভয়ে ভয়ে। এদিন বৈঠকের আগে ফোটোসেশনে দেখা গেল, আগাগোড়া হেসে হেসে মোদিই উদ্যোগী হয়ে নাইডু ও নীতীশ কুমারদের সঙ্গে কথা বলছেন। এই নতুন ছবিই স্পষ্ট করে দিয়েছে, আগামী সরকারের সমীকরণ। ১২ আসনের নীতীশ কুমার এবং ১৬ আসনের চন্দ্রবাবু নাইডু হতে চলেছেন তৃতীয় মোদি সরকারের প্রাণভোমরা। সুতরাং রাজধর্ম তো পরে, তৃতীয়বারে মোদিকে আগে সামলাতে হবে জোটধর্ম। 

No comments