Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

Birthday of Haldia Municipality: জন প্রতিনিধি না থাকায় অভিভাবকহীন হলদিয়া পৌরসভা?

জন প্রতিনিধি না থাকায় অভিভাবকহীন হলদিয়া পৌরসভা?রাজ্যের অন্যতম পৌরসভা হলদিয়া। ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত হলদিয়া নোটিফাইড এরিয়া ছিল। ১৯৯৭ সালে ৯ জুন হলদিয়া নোটিফায়েড থেকে হলদিয়া পৌরসভায় রূপান্তরিত হয় ।সেই ৯ জুনকে কেন্দ্র করে প্রত্য…

 


জন প্রতিনিধি না থাকায় অভিভাবকহীন হলদিয়া পৌরসভা?

রাজ্যের অন্যতম পৌরসভা হলদিয়া। ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত হলদিয়া নোটিফাইড এরিয়া ছিল। ১৯৯৭ সালে ৯ জুন হলদিয়া নোটিফায়েড থেকে হলদিয়া পৌরসভায় রূপান্তরিত হয় ।সেই ৯ জুনকে কেন্দ্র করে প্রত্যেক বছর হলদিয়া পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগে তিন দিন ধরে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতো। হলদিয়া পৌরসভার এই বিল্ডিং উদ্বোধন করতে আসছিলেন তৎকালীন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু এবং মূল্যায়ন সিং যাদব এবং ১৯ ৯৭ সালের ৯ জুন হলদিয়া পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান হয়েছিলেন বামফ্রন্টের নির্বাচিত প্রার্থী তমালিকা পন্ডা শেঠ। প্রত্যেক বছর ৯ই জুন মানে হলদিয়া মানুষের কাছে একটা বাড়তি পাওয়া। প্রথম দিন স্কুল কলেজ বিভিন্ন ক্লাব প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের নিয়ে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সূচনা হতো হলদিয়া পৌরসভার জন্মদিন। দ্বিতীয় দিন ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর এবং ওয়ার্ড কমিটির সদস্য ধরে নয়ে পরিকল্পনা সভা। তৃতীয় দিন যেগুলি পরিকল্পনা সভায় গৃহীত হতো সেই গুলো সাধারণ মানুষের সামনে উন্মুক্ত করে ঘোষণা করা। এই তিন দিনের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে হলদিয়া পৌরসভায় যেন সাজো সাজো রব উঠে উঠতো। জন্মদিন কে কেন্দ্র করে একটি পুস্তিকা প্রতিবর্ত প্রকাশিত হতো। কিন্তু সেগুলো এখন ইতিহাস ।১৯৯৭ সালের থেকে নির্বাচনের পরবর্তী পর পর প্রায় ২০১১ সালের পর্যন্ত নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন একটানা ও চেয়ারম্যান তমালিকা  পণ্ডা শেঠ । ২০১৫ সালে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। সেই অনাস্থা প্রস্তাবে বামফ্রন্টের কয়েকজন কাউন্সিলর তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করায় তমালিকা পণ্ডা শেঠ অনাস্থা ভোট হেরে যান। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন দেবপ্রসাদ মন্ডল। ২০১৭ সালে পুনরায় নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে হলদিয়া পৌরসভার বোর্ড গঠন করেন তার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন শাসকদলেরই দ্বিতীয় চেয়ারম্যান শ্যামল কুমার আদক। কিন্তু ২০২১ এ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই শাসকদলের চেয়ারম্যান শ্যামল আদক পদত্যাগ করেন।  চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন সুধাংশু মন্ডল। 2022সালে  ৫ই সেপ্টেম্বর হলদিয়া পৌরসভার মেয়াদ শেষ হয় ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ হলদিয়া পৌরসভা নির্বাচন না হয়ে পৌর প্রশাসক হিসেবে হলদিয়া এসডিও সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় এর দায়িত্ব দিলেন । দেখতে দেখতে প্রায় দুটি বছর অতিক্রান্ত হতে চলল আগামী সেপ্টেম্বর মাস এলেই। পৌরসভার নির্বাচন হয়নি। জনপ্রতিনিধি শূন্য হলদিয়া পৌরসভা। ৯ই জুন ছিল হলদিয়া পৌরসভার জন্মদিন এবার কি হলো সেই জন্মদিনে সকলেই দেখে অবাক হয়ে গেলেন। পৌরসভার ঢোকার পরেই একদম সামনে ভারতের সংবিধান রচয়িতা ডক্টর বি আর আম্বেদকরের মূর্তি রয়েছে। সারা পৌরসভার বিল্ডিংয়ে আলোকিত করা হয়েছে রংবাহারি আলোতে কিন্তু ডঃ বি আর আম্বেদকরের মূর্তি রইল অন্ধকারে। হলদিয়া পৌরসভার নিচে যে সকল সিকিউরিটিরা অবস্থান সেই সকল রুমগুলো রইলো অন্ধকার বাগানে সুসজ্জিত আলো সাজানো থাকতো সেগুলো রইল অন্ধকার শুধু বিল্ডিংয়ে কিছু আলোতে আলোকিত।  এছাড়া ভাষা উদ্যানে রয়েছিল নজরুল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি যে মূর্তিগুলো উন্মোচন করতে এসেছিলেন তৎকালীন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পরবর্তীকালে 2022 সালে বিদ্যাসাগরের মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। হলদিয়া পৌরসভার ২৮ তম বর্ষে জন্মদিনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অবিভক্ত বর্ণ পরিচয় এর স্রষ্টা বিদ্যাসাগরের মূর্তি এবং ভারতের সংবিধানে রচয়িতা বি আর আম্বেদকরের মূর্তি রইলো অন্ধকারে তবে এক কর্মচারী বললেন দেখভাল করার কেউ নেই এজেন্সি দিয়েই কাজ চলছে। জনপতিনিধি থাকলে এমন হতো না আগের মতই উৎসব আকারে অনুষ্ঠান হতো।

 সূত্রে জানা যায় সদ্য অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন সমাপ্ত হয়েছে নির্বাচনের বিধি গত ৭-৮ তারিখ উঠেছে এই কম সময়ের মধ্যে কোন অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। তাই এবারে হলদিয়া পৌরসভার জন্মদিন কেবলমাত্র বিল্ডিংয়ে আলোকিত করেই তা শেষ করা হয়েছে। হলদিয়া পৌর এলাকার মানুষ চাইছে নির্বাচন চাই জনপ্রতিনিধি। যদিও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বারে বারে নির্বাচনের জন্য ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে কিন্তু শাসক দল নির্বাচন করতে নারাজ। কেন হলদিয়া বিধানসভা বা পৌর এলাকায় ভোটের মার্জিন এ এগিয়ে রয়েছে বিরোধী দল সে কারণেই কি হলদিয়া পৌরসভা নির্বাচন করতে রাজি হচ্ছে না শাসক দল তৃণমূল। দীর্ঘদিন নির্বাচন না করার জন্য গুরুত্বহীন ভুগছেন সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারা এখন নেতাদের কাছে কেউ যায় না কোন জিনিসের প্রয়োজন হলে চলে যান ওয়ার্ড অফিসে ওয়ার্ড সহায়িকাদের কাছে। পৌরসভার পৌর পরিষেবা পেয়ে যান ওয়ার্ড সহায়িকাদের কাছ থেকে। কেনই নেতাদের কাছে যাবে পৌর নাগরিকবৃন্দ। পৌরসভার নাগরিক পরিষেবা যদি তারা পেয়ে যায় ওয়ার্ড সহায়িকাদের কাছ থেকে? ধীরে ধীরে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছে রাজনৈতিক দলের নেতারা। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কটাক্ষ করেছেন ভারতীয় মজদুর সংঘ রাজ্য সভাপতি প্রদীপ বিজলী তিনি বলেন ভারতের সংবিধান রচয়িতা ডঃ বি আর আম্বেদকর এবং বর্ণপরিচয় স্রষ্টা বিদ্যাসাগরের মূর্তির কাছে আলো নেই অন্ধকারে রয়েছে এই ঘটনা সত্যি আমাদের কাছে লজ্জার বিষয়। শুধু হলদিয়া পৌরসভা কয়েকজন কর্মচারীর কাছে নয়। হলদিয়ার মানুষের কাছে আমাদের লজ্জা হওয়া উচিত। এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আবেদন করলেন পৌর প্রশাসক তথা হলদিয়া এসডিও সুপ্রভাত চ্যাটার্জির নিকট।


No comments