Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

নিকাশি ব্যবস্থা না থাকার কারণেই জল যন্ত্রণায় ভুগছে চৈতন্যপুর এলাকার মানুষ!

নিকাশি ব্যবস্থা না থাকার কারণেই জল যন্ত্রণায় ভুগছে চৈতন্যপুর এলাকার মানুষ!
জমা জলে জেরবার পথচারি থেকে দোকানদার । বাজারে ঢোকাও দায় হয়ে পড়ে । জমার জলে ঘেঁটে যানবাহন চলাচল করাও এক সময় দুষ্কর হয় । নিকাশি ব্যবস্থা না থাকার কারণে …

 

নিকাশি ব্যবস্থা না থাকার কারণেই জল যন্ত্রণায় ভুগছে চৈতন্যপুর এলাকার মানুষ!


জমা জলে জেরবার পথচারি থেকে দোকানদার । বাজারে ঢোকাও দায় হয়ে পড়ে । জমার জলে ঘেঁটে যানবাহন চলাচল করাও এক সময় দুষ্কর হয় । নিকাশি ব্যবস্থা না থাকার কারণে হলদিয়ার চৈতন্যপুর মোড়ে এমনই বেহাল দশা হয়েছে এই বর্ষায় । দুর্ভোগ পেতে হচ্ছে এলাকার মানুষজনকে । স্থানীয় বেশ কিছু দোকানদারদের অসহযোগিতার কারণে এমনই পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে বলে প্রশাসনের সাফাই । 

            কুকড়াহাটি থেকে ব্রজলালচক , বালুঘাটা ছুঁয়ে হলদিয়া টাউনশিপ রাজ্য সড়ক এবং হলদিয়া টাউনশিপ থেকে দুর্গাচক হয়ে মেচেদা পর্যন্ত রাজ্য সড়ক চৈতন্যপুর মোড় ছুঁয়ে প্রসারিত । চৈতন্যপুর চৌমাথা মোড়ের সঙ্গে জুড়ে থাকা হলদিয়া টাউনশিপ, দুর্গাচক কিংবা মেচাদা অভিমুখে থাকা সড়ক পথে জমা জলের এমন সমস্যা নেই । যেটুকু সমস্যা রয়েছে কুকড়াহাটি অভিভুকে থাকা রাজ্য সড়কের চৈতন্যপুর চৌমাথা মোড় সংলগ্ন সড়ক পথ নিয়ে । রাজ্য সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় কুকড়াহাটি থেকে চৈতন্যপুরগামী ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক পথটি পেভার ব্লক বসিয়ে বেশ সুন্দর করা উদ্যোগ রয়েছে । ইতিমধ্যে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটারের কিছু বেশি অংশে পেভার ব্লক বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে । পথ চলার আনন্দ পান এলাকার মানুষজন । এই সড়ক পথের বাকি দেড় কিলোমিটার এর কিছু কম অংশে স্থানীয় কিছু দোকানদার বাধা সৃষ্টি করেছেন । রাস্তা সম্প্রসারণ কিংবা উন্নয়ন কাজ করতে হলে তাদেরকে উঠে যেতে হবে । প্রশাসনের বিভিন্ন মহল থেকে তাদেরকে বোঝানো হলেও তারা উঠতে নারাজ । প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে এক পোষাক দোকানদার এবং এক চা দোকানদার দু'জনে হাইকোর্টে মামলা করেছেন । তাদেরকে পাশাপাশি আরো কয়েকজন দোকানদার সমর্থন করেছেন । আর তাদের জন্যই রাস্তার উন্নয়ন কাজ থমকে গিয়েছে বলে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ । রাজ্য সড়কের পাশে থাকা সরকারি জায়গায় দোকান করে, সরকারের বিরুদ্ধে এই দোকানদাররা এত বড় সাহস ধরতে পারে কি করে সেই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় মানুষজন । সড়ক উন্নয়ন কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য তাদেরকে যেকোন মূল্যে সরিয়ে দেওয়ার দাবী তুলেছেন অনেকেই । কেউ কেউ তাদেরকে সমাজের শত্রু বলতেও ছাড়লেন না । স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ, বিশ্বজিৎ মাইতি, পরিমল দাস, শেখ আতিয়ার জানিয়েছেন এই দোকানদাররা বেআইনিভাবে সরকারি জায়গা দখল করে ব্যবসা করছে । আবার সরকারকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে উন্নয়ন কাজ ব্যাহত করছে । এটা বরদাস্ত করা যাবে না । চৈতন্যপুর বাজার কমিটির সম্পাদক প্রদীপ বক্সী জানিয়েছেন," চৈতন্যপুর বাজার এলাকা সহ পারিপার্শ্বিক পরিবেশের উন্নয়ন হোক আমরা চাই । সেক্ষেত্রে স্থানীয় দোকানদার থেকে মানুষজন সকলের পরিবেশ সচেতনতা দরকার । উন্নয়ন কাজে তারা সহযোগিতা করবেন এটাই আশা করব ।" সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পার্থ বটব্যাল জানিয়েছেন,"কিছু ব্যবসায়ী সরকারি জায়গায় বসে সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করছেন । তাদের জন্যই চৈতন্যপুর মোড়ের বেশ কিছু অংশে নিকাসি ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না । এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি । আশা করি নিশ্চিত সমাধান হবে ।" চৈতন্যপুর-কুকড়াহাটি রাজ্য সড়কের যেটুকু অংশে দোকানদারদের অন্যায় আবদার ছিল তার ধোপেডিকছে না । হাইকোর্টেও তারা হেরে গিয়েছেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে । হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ এবং ডিভিশন বেঞ্চ ওই বেআইনি দখলদারদের হটিয়ে দেওয়া নির্দেশ দিয়েছে । সে নির্দেশের পরেও আইনি প্রক্রিয়ায় বিষয়টি এখন হলদিয়া মহকুমা এবং জেলা প্রশাসনের হাতের মুঠোয় রয়েছে বলে জানা গিয়েছে । রাজ্য সরকারের পিডব্লিউডি (রোডস) বিভাগের চৈতন্যপুর শাখার ইঞ্জিনিয়ার নারায়ণচন্দ্র মাইতি জানিয়েছেন,"যে সমস্ত দোকানদাররা সরকারি রাস্তা উন্নয়ন  কাজে বাধা দিয়েছিলেন , হাইকোর্ট তাদেরকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে । কিন্তু প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি এখন স্থানীয় পি ডব্লিউ ডি ,ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর এবং হলদিয়া মহকুমা শাসকের অধীনে রয়েছে । সেকশন- থ্রি অনুযায়ী তারা আমাদেরকে রিপোর্ট দেবেন । তার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে ।" এ বিষয়ে ২৮ জুন হলদিয়া মহকুমা শাসকের দপ্তরে চূড়ান্ত শুনানি হবে । আর সেই শুনানির ভিত্তিতেই পদক্ষেপ করতে চলেছে প্রশাসন ।  কুকড়াহাটি সড়ক পথের চৈতন্যপুর মোড় সংলগ্ন ১৩০০ মিটার রাস্তা উন্নয়ন এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা ।

No comments