১৮০০ মিটার জিও সিনথেটিক সিট দিয়ে প্রাচীর গড়ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ
পরিবেশ সুরক্ষায় এবার নড়েচড়ে বসলো হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ । বন্দরের জেনারেল কার্গো বার্থের (জিসি বার্থ)পূর্ব এবং পশ্চিমে জিও সিনথেটিক সিট দিয়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিট…
১৮০০ মিটার জিও সিনথেটিক সিট দিয়ে প্রাচীর গড়ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ
পরিবেশ সুরক্ষায় এবার নড়েচড়ে বসলো হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ । বন্দরের জেনারেল কার্গো বার্থের (জিসি বার্থ)পূর্ব এবং পশ্চিমে জিও সিনথেটিক সিট দিয়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার লম্বা এলাকা ঘিরে ফেলা হচ্ছে । বন্দর এলাকায় রাখা বিভিন্ন পণ্য থেকে ধূলো বাতাসে মিশে যাতে বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য এই প্রাচীর গড়ে তোলা হয়েছে । সেই সুবাদে বন্দরের মূল্যবান পণ্য সুরক্ষা ব্যবস্থাও শক্তিশালী হলো ।
হলদিয়া বন্দরে রয়েছে ১৪ টি বার্থ । সেগুলির মধ্যে জিসি বার্থ এবং পাশাপাশি এলাকাতেই বেশি পরিমাণ পণ্য মজুত করা হয়ে থাকে । লাইমস্টোন, কয়লা, ম্যাঙ্গানিজ সহ বিভিন্ন পণ্য পাহাড়ের আদলে স্তূপ হয়ে থাকে । সেগুলির থেকে ধূলো সহজে বাতাসে মিশে যায় । ছড়িয়ে পড়ে পাশাপাশি এলাকায় । এই সমস্যা যতটা সম্ভব দূর করতে তৎপর হয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ । জিসি বার্থের পশ্চিম দিকে প্রথম পর্বে ১৮০০ মিটার জিও সিনথেটিক সিট দিয়ে প্রাচীর গড়া হচ্ছে । প্রথমে ইটের দেওয়াল । তার ওপর লোহার কাঠামো তৈরি করে জিও সিন্থেটিক সিট বসানো হয়েছে । তিনতলা বাড়ির উচ্চতা সমান ১৮০০ মিটার লম্বা প্রাচীরের কাজ প্রাথমিক পর্বে গড়ে তোলা হচ্ছে । পরবর্তী পর্যায়ে জিসির বার্থের পূর্ব দিকে আরো ৩ কিলোমিটার লম্বা এমনই সিন্থেটিক প্রাচীর গড়ে তোলা হবে । পরিবেশ সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই বন্দরের তরফে হলদিয়া টাউনশিপে আগেই প্রায় চার কোটি টাকা খরচে গড়ে তোলা হয়েছে ১ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প । তারফলে প্রাকৃতিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুতের ব্যবহার দৃষ্টান্ত গড়েছে । সম্ভব হয়েছে বিদ্যুতের খরচ কমানো । আগামী দিনে বন্দরের তরফে আরো ২ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে হলদিয়ার রানিচক এলাকায় । পরিবেশ সুরক্ষার এই পদক্ষেপে জিও সিন্থেটিক সিটের প্রাচীর বন্দরের নবতম সংযোজন । হলদিয়া বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান অমল কুমার মেহেরা জানিয়েছেন," ধুলোবালির মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ ঠেকাতে হলদিয়া বন্দরে জিও সিন্থেটিক সিটের উঁচু প্রাচীর গড়ে দেওয়া হচ্ছে । প্রথম পর্যায়ে ১৮০০ মিটারের কাজ হচ্ছে । পরবর্তী পর্যায় হবে আরো তিন কিলোমিটার লম্বা এমন প্রাচীর । তার ফলে আশা করি বন্দর এলাকায় থাকা বিভিন্ন পণ্য থেকে ধূলো বাতাসে মিশে বেশি দূর ছড়িয়ে করবে না । পরিবেশ সুরক্ষা ভাবনায় আমরা সিওয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরি করছি । সেই সঙ্গে চলতি মরশুমে বন্দর এলাকায় ১০ হাজার চারা গাছ রোপন করব আমরা ।" সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রায় ৫ কিলোমিটার লম্বা এই জিও সিন্থেটিক সিটের প্রাচীর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে ডেপুটি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন । ৫৫ বছরের বেশি প্রাচীন এই বন্দরে পরিবেশ সুরক্ষায় এমন অভিনব পদক্ষেপে খুশি এলাকার মানুষজন
No comments