উড়িষ্যায় প্রথম বিজেপি সরকার গঠন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীঅষ্টাদশ লোকসভা এবং কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আজ উড়িষ্যাতে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রথম সরকার গঠন করলো। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ভারতের…
উড়িষ্যায় প্রথম বিজেপি সরকার গঠন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
অষ্টাদশ লোকসভা এবং কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আজ উড়িষ্যাতে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রথম সরকার গঠন করলো। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মুখ্যমন্ত্রী হলেন মহন চরম মাঝি অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ওড়িশায় প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। কিন্তু ৪ জুন ফল ঘোষণার পর থেকেই জল্পনা বাড়ছিল নবীন পট্টনায়েকের পর মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন। অবশেষে কেওনঝড়ের চারবারের বিধায়ক ও দলের আদিবাসী মুখ মোহনচরণ মাঝিকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিল বিজেপি। মঙ্গলবার রাজনাথ সিং, অশ্বিনী বৈষ্ণব. জুয়েল ওরামের মতো বিজেপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভুবনেশ্বরে রাজ্য সদর দপ্তরে দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানেই মোহনের নামে সিলমোহর পড়ে। উপ মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন পাটনাগড়ের ছয়বারের বিধায়ক কনকবর্ধন সিং দেও ও নিমাপাড়ার বিধায়ক প্রভাতী পারিদা। আজ, বুধবারই তিনজন শপথ নেবেন। জনতা ময়দানে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক উপস্থিত থাকবেন। এবার ওড়িশায় বিধানসভা নির্বাচনের পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনেও ভালো ফল করেছে। বিজেপি সূত্রে খবর, জনতা ময়দানে যাওয়ার পথে রোড শো করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
৫২ বছরের মোহনের ওড়িশার বাইরে তেমন পরিচিতি না থাকলেও রাজ্য রাজনীতিতে তিনি যথেষ্ট অভিজ্ঞ মুখ। এতদিন তিনি ওড়িশা বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ কেওনঝড়ের ‘ফায়ার ব্র্যান্ড’ আদিবাসী নেতা হিসেবেও পরিচিত রয়েছে মোহনের। বিজেপির অন্দরে তিনি আরএসএসের লোক হিসেবেই পরিচিত। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির রণনীতি নির্ধারণেও অন্যতম ভূমিকা নিয়েছিলেন মোহন। এই সব কারণেই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির হলেও গত বছর বিধানসভায় স্পিকারকে লক্ষ্য করে সেদ্ধ না হওয়া ডাল ছুড়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মোহন। মিড-ডে মিলের ডাল নিয়ে ৭০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল বিজেপি। যদিও মোহন দাবি করেছিলেন, তাঁরা স্পিকারকে ডাল দেখাচ্ছিলেন।
অন্যদিকে, উপ মুখ্যমন্ত্রী কনকবর্ধন বোলাঙ্গিরের রাজপরিবারের সদস্য। তবে তিনিও পোড়খাওয়া রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। ওড়িশায় বিজেপি ও বিজেডির জোট থাকাকালীন ২০০৯ সাল পর্যন্ত টানা নয় বছর তিনি নবীন পট্টনায়েকের সরকারে মন্ত্রীও ছিলেন। অন্যদিকে, প্রভাতী তুলনায় রাজনীতিতে নতুন হলেও মহিলা মুখ হিসেবে তাঁকে উপ মুখ্যমন্ত্রী করা হল বলে মনে করা হচ্ছে।
No comments