পুরসভাগুলির পরিষেবা ব্যবস্থা অত্যন্ত খারাপ: মমতা বিজ্ঞাপন
আজ, সোমবার নবান্ন সভাঘরে উন্নত পরিষেবার লক্ষ্যে রাজ্যের প্রতিটি পুরসভা, সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন পর্ষদ এবং দপ্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে করেন মমতা। লোকসভা নির্বাচনে বেশ কিছু …
পুরসভাগুলির পরিষেবা ব্যবস্থা অত্যন্ত খারাপ: মমতা
বিজ্ঞাপন
আজ, সোমবার নবান্ন সভাঘরে উন্নত পরিষেবার লক্ষ্যে রাজ্যের প্রতিটি পুরসভা, সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন পর্ষদ এবং দপ্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে করেন মমতা। লোকসভা নির্বাচনে বেশ কিছু পুর এলাকায় ফল নিয়ে একেবারেই খুশি নয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ফলে সোমবারের বৈঠক নিয়ে পারদ চড়তে শুরু করেছে। ফল খারাপের বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিলেন।
সোমবারের বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে নিজ নিজ পুরসভায় বৈঠক সেরেছেন মেয়র-চেয়ারম্যানরা। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই ব্যাখ্যা, হাওড়া এবং বালি পুরসভায় দীর্ঘদিন পুরভোট না হওয়ায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। একই পরিস্থিতি রাজ্যের অন্যান্য পুরসভার বহু ওয়ার্ডের ক্ষেত্রেও। কাউন্সিলারের মৃত্যু হওয়ায় অনেক ওয়ার্ড জনপ্রতিনিধিহীন। কিন্তু উপ নির্বাচন হয়নি। ফলে নিকাশি, পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড, কামারহাটি পুরসভার ১০ ও ৪, দমদম পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলারহীন। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, পুর পরিষেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে পুজোর আগে না হলেও অন্তত এই শীতের মধ্যে এই সমস্ত ওয়ার্ডে উপ নির্বাচন প্রয়োজন। ফলে আজকের বৈঠকে বকেয়া নির্বাচন করানোর বিষয়টিতে মুখ্যমন্ত্রী আলোকপাত করতে পারেন বলেই মত প্রশাসনিক মহলের। একই সঙ্গে, পুর পরিষেবা উন্নয়নে আরও কী কী করণীয় তা নিয়েও দিক নির্দেশ করবেন মমতা। সেই কারণেই মেয়র-চেয়ারম্যানদের পাশাপাশি পুর কমিশনার, জেলাশাসক, উন্নয়ন পর্ষদের সিইও এবং এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারদের বৈঠকে যোগ দিতে বলা হয়েছে। বৈঠকে প্রতিটি পুরসভার রিপোর্ট কার্ড তুলে দেবে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর।
গত ১৩ বছরে রাজ্য সরকার কোষাগার থেকে পুর পরিষেবা খাতে বরাদ্দ করেছে ৩২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তাহলে কেন এমন বেহাল দশা? কেন লোকসভা ভোট রাজ্যের ৬৯টি পুর এলাকায় পিছিয়ে পড়ল তৃণমূল? কেন কলকাতার ৪৬-৪৭টি ওয়ার্ডে নির্বাচনের ফল রাজ্যের শাসকদলের বিপক্ষে গেল? এমনকী কলকাতার দাপুটে মেয়র পারিষদরাও নিজেদের এলাকায় লিড দিতে ব্যর্থ হলেন? নির্বাচন মিটতেই পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে পারফরম্যান্স খারাপ হলে পদ ছাড়া উচিত বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নিরিখে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ফলের পুনরাবৃত্তি চায় না জোরাফুল শিবির। তাই এখন থেকেই রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক দুই ক্ষেত্রেই কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্যের শীর্ষমহল। লোকসভা ভোটের পর থেকে প্রতিটি বৈঠকেই আধিকারিকদের ধরে ধরে কাজের ফাঁক ধরিয়ে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ সভা থেকে
হাওড়া হলদিয়া রানাঘাটে মহকুমা শাসকে শোকজের নির্দেশ।
No comments