Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

নির্বাচন মিটলেই কি নতুন কাউকে রাজ্যপাল করে পাঠানো হবে পশ্চিমবঙ্গে?

নির্বাচন মিটলেই কি নতুন কাউকে রাজ্যপাল করে পাঠানো হবে পশ্চিমবঙ্গে? নির্বাচন মিটলেই কি নতুন কাউকে রাজ্যপাল করে পাঠানো হবে পশ্চিমবঙ্গে? শ্লীলতাহানি কাণ্ড নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের মধ্যে এই জল্পনাই আচমকা জোরালো হয়ে উঠেছে। একদিকে…

 


নির্বাচন মিটলেই কি নতুন কাউকে রাজ্যপাল করে পাঠানো হবে পশ্চিমবঙ্গে? 

নির্বাচন মিটলেই কি নতুন কাউকে রাজ্যপাল করে পাঠানো হবে পশ্চিমবঙ্গে? শ্লীলতাহানি কাণ্ড নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের মধ্যে এই জল্পনাই আচমকা জোরালো হয়ে উঠেছে। একদিকে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে রাজ্য পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজভবনের অস্থায়ী কর্মী, আর অন্যদিকে গোটা ব্যাপারটাকেই রাজনৈতিক অভিসন্ধি বলে তোপ দেগে চলেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। শ্লীলতাহানির অভিযোগ সামনে আসার পর আচমকা তাঁর কেরল যাত্রা, আর তারপর প্রশাসনের শীর্ষ মহলে নানাবিধ কানাঘুষো। চর্চা বাড়ছে রাজ্যপালের ভবিষ্যৎ নিয়ে। 

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ‘নির্যাতিতা’ হেয়ার স্ট্রিট থানার দ্বারস্থ হয়েছেন ২ মে। সূত্রের খবর, তবে তার আগে থেকেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল বদলের বিষয় নিয়ে দিল্লির সংশ্লিষ্ট মহলে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে। জুন মাসে ভোট মিটতেই এ রাজ্যে নতুন কাউকে দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হতে পারে বলে আলোচনায় উঠে এসেছিল বলে দাবি করেছে সূত্রটি। সংবিধানের ১৫৬ ধারা অনুযায়ী, একজন রাজ্যপালের মেয়াদ পাঁচ বছরের। ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে সি ভি আনন্দ বোসকে নিযুক্ত করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাজ্যের ২২তম রাজ্যপাল হিসেবে তিনি দায়িত্ব নেন ২৩ নভেম্বর। আগামী জুন মাসে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের পদে অন্য কেউ বসলে, দু’বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই রাজ্যপাল হিসেবে মেয়াদ শেষ হতে পারে বোসের। যদিও রাতে রাজভবন সূত্রে জানানো হয়েছে, এমন কোনও বিষয় এখনও তাদের জানা নেই।

২ মে রাতে রাজভবনে রাত্রিবাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফলে তার আসার একদিন আগে থেকেই রাজভবন কার্যত ছিল এসপিজির কড়া নজরদারিতে। আর তাই প্রধানমন্ত্রীর রাজভবনে আসার কয়েক ঘণ্টা আগে উঠে আসা শ্লীলতাহানির এই অভিযোগ নিয়ে যথেষ্টই ওয়াকিবহাল সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা এই কমান্ডোরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রভাবশালী পুলিসকর্তা জানিয়েছেন, ‘এই সব ক্ষেত্রে কনফিডেন্সিয়াল রিপোর্ট জমা পড়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। ফলে এবারও যে ব্যতিক্রম হয়েছে, এমন ভাবার কারণ নেই।’ আরও একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সাধারণত খোশমেজাজেই রাজভবনের কর্মীদের হাল হকিকত জিজ্ঞেস করেন। মূলত ডিনারের সময় উপস্থিত কর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতা সারেন তিনি। প্রশ্ন করেন, তাঁরা কেমন আছেন, কিংবা কোনও সমস্যা আছে কি না। তবে এবার এমনটা হয়নি। একেবারে দরকারি কিছু কথা ছাড়া কারও সঙ্গে মোদি বাক্যালাপে যাননি বলেই সূত্রের খবর। তাহলে কি রাজভবনে বসে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংক্রান্ত কনফিডেন্সিয়াল রিপোর্ট পাওয়ার পরেই স্টাফদের সঙ্গে বেশি খোলামেলা হননি মোদি? এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে নানা মহলে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজভবন যে কেন্দ্র এবং বিজেপির দ্বারা পরিচালিত, তা মানুষের কাছে কার্যত প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে রাজভবনের মতো প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে চারদিকে এই ধরনের আলোচনা বিজেপির জন্যও যথেষ্ট বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেটা মোটেও ভালোভাবে নিচ্ছেন না মোদি-শাহ। বাংলায় জনসভা করতে এসে মোদি এই ঘটনার পক্ষে বা বিপক্ষে—টুঁ শব্দটিও করেননি। লোকসভা নির্বাচন পর্বের মাঝে এই ঘটনা ঘটায় আরও সতর্ক হয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রের শীর্ষ নেতারা। গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে, ভোটের ফলাফলে এর প্রভাব পড়বে না তো?

No comments