Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

২০২০ সালের উম-পুনের মতো ভয়ানক "রেমাল"?

২০২০ সালের উম-পুনের মতো ভয়ানক  "রেমাল"?
ব্যবধান ঠিক ৪ বছর ৬ দিনের। উম-পুনের পর ফের ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হতে চলেছে দুই বাংলার উপকূল। নাম রেমাল। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আজ, রবিবার গভীর রাতে এই তীব্র ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়বে। স…

 


২০২০ সালের উম-পুনের মতো ভয়ানক  "রেমাল"?


ব্যবধান ঠিক ৪ বছর ৬ দিনের। উম-পুনের পর ফের ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হতে চলেছে দুই বাংলার উপকূল। নাম রেমাল। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আজ, রবিবার গভীর রাতে এই তীব্র ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়বে। স্থান? পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের বরিশাল ডিভিশনের খেপুপাড়ার মধ্যবর্তী অংশ। যার প্রভাব ইতিমধ্যে পড়তে শুরু করেছে উপকূলে। কুলতলি, কাকদ্বীপে শনিবার সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। শহরের বিভিন্ন জায়গাতেও ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে। 

শনিবার সন্ধ্যায় প্রতি ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছিল রেমাল। তখন তার অবস্থান সাগর থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্বে  ৩৫০ কিলোমিটার দূরে ও ক্যানিং থেকে ৩৯০ কিলোমিটার দূরে। ইতিমধ্যেই তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া রেমাল আজ, সকালে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ‘ল্যান্ডফল’-এর সময় ঝোড়ো হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এরপর এটি মূলত বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে উত্তরে অগ্রসর হবে। এর প্রভাবে প্রথমে দক্ষিণবঙ্গ ও পরে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই দুর্যোগের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দপ্তর। সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে দুই ২৪ পরগনা সহ দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায়। ওই দুই জেলায় কোথাও অতি ভারী বৃষ্টির (২৪ ঘণ্টায় ২০০ মিমির বেশি) সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। 

উপকূলবর্তী পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ঝড়ের মাত্রা কম হলেও বৃষ্টি প্রায় একই রকম হবে। উপকূল এলাকায় এক মিটার জলোচ্ছ্বাস হওয়ায় নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে। একই সঙ্গে লাল সতর্কতা থাকছে পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি ও কলকাতায়। কলকাতার কয়েকটি জায়গায় ঘণ্টায় ২০০ মিমি পর্যন্ত বৃষ্টির আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দপ্তর। এখানে কোথাও কোথাও ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সোমনাথ দত্ত ও আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস বলেন, ‘২০২০ সালের উম-পুনের মতো ভয়ানক হবে না রেমাল। তবে আইলার সমকক্ষ হতে চলেছে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’

তবে তাতে থোড়াই কেয়ার বাঙালির। তারা মজে ‘সাইক্লোন ট্যুরিজমে’। শনিবার রাতে দীঘার জমজমাট সমুদ্রসৈকত অন্তত সে কথাই বলছে। গার্ডওয়ালের সিঁড়িতে বসে জন্মদিনের কেক কাটতে কাটতে একজন মজাচ্ছলে বলেই দিলেন, ‘ঝড়কে ভয় পাব কেন? জীবন বিমা করা আছে তো।’


ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় " রেমাল " !

১। ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন বাড়ির ভিতর থেকে কচিকাঁচা বাচ্চাদের নিয়ে বাড়ির বাহিরে বেরোবেন না।

২ । মোবাইল, ইমারজেন্সি লাইট চার্জ দিয়ে রাখুন।

৩। নিজেদের বাড়ির জলে রিজার্ভারে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পূর্ণ জল তুলে রাখুন।

৪। মাটিতে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারে হাত দিবেন না।

৫। বাড়ির আশেপাশে যদি কোন স্কুল থাকে প্রয়োজন হলে সেখানেই রাত্রিতে আশ্রয় নিন।

৬। প্রাথমিক চিকিৎসার (First Aid) জন্য ঔষধ দোকান থেকে কিছু ঔষধপত্র পরিবারের জন্য কিনে রাখুন।

৭।  যে কোনো সমস্যার সমাধানের জন্য বা ইনফরমেশন দেওয়ার জন্য স্থানীয় ব্লক প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে রাখুন।

সাইক্লোন রেমাল এর জন্য সরকারের দেওয়া হেল্পলাইন নম্বর গুলো

কলকাতা- ৯৪৩২৬১০৪২৮, ৯৪৩২৬ ১০৪২৯

দক্ষিণ ২৪ পরগনা- ১৮০০৫৩২৫৩২৮

হাওড়া - ৬২৯২২৩২৮৭০

উত্তর ২৪ পরগনা ৯০৭৩৯৪০০৫৮, ৯০৭৩৯৩৬৩২৩, ৯০৭৩৯৪০০৩৯

হুগলি - ৮১০০ ১০৬ ০৪১

পূর্ব মেদিনীপুর - ৯০৭৩৯ ৩৯৮০৪

নদিয়া - ০৩৪৭২-২৫২১০৬, ৭৫৪৮৯৭৫৩০৩

মালদা - ০৩৫১২ ২৫২০৫৮, ০৩৫১২ ২৫৩ ০৫৬



No comments