Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

(ডিআরডিও) বেশকিছু পরীক্ষার জন্য ৩০ মে পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা

(ডিআরডিও) বেশকিছু পরীক্ষার জন্য ৩০ মে পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা
ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) বেশকিছু পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের মৎস্যযান…




(ডিআরডিও) বেশকিছু পরীক্ষার জন্য ৩০ মে পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা


ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) বেশকিছু পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের মৎস্যযান নিয়ে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করল মৎস্যদপ্তর। এদিন থেকে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ন সমুদ্র উপকূলে একাধিক পরীক্ষা শুরু করেছে ডিআরডিও। সেই কারণে কাঁথির উপকূলে দীঘা থেকে খেজুরি পর্যন্ত ৪০টি মৎস্যখটি, মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির কাছে জেলা সহ মৎস্য অধিকর্তার (সামুদ্রিক) তরফে সেই মর্মে নোটিস পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে, উল্লিখিত দিনগুলিতে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা এবং দুপুর দুটো থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত কোনওভাবেই মৎস্যজীবীরা যেন সামুদ্রিক মৎস্যযান নিয়ে মৎস্যশিকারে না নামেন। জুনপুটে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র তৈরির প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দা ও মৎস্যজীবীরা অনেকদিন ধরেই আন্দোলন করছেন। তার মধ্যে এই নোটিস ঘিরে মৎস্যজীবী এবং মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তাঁরা গোটা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। সংশ্লিষ্ট মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশার চাঁদিপুর ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে বিশেষ পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হবে। আকাশপথে সমুদ্রের বেশ কয়েকটি জায়গায় পর্যবেক্ষণ চালানো হবে, যে জায়গাগুলিকে ডিআরডিও ‘ডেঞ্জার জোন’ বা বিপদসঙ্কুল এলাকা বলে চিহ্নিত করেছে। সেই সময়ে দুর্ঘটনা এড়াতে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, ওই দিনগুলিতে মৎস্যযানগুলির জিপিএস অবশ্যই সক্রিয় রাখতে হবে। উল্লেখ করা স্থান ও সময়ে ওই জায়গাগুলিতে কোনওভাবেই মাছ ধরার জাল নিয়ে যাওয়া যাবে না। বিপদসঙ্কুল স্থানগুলি চিহ্ন দিয়ে ‘পয়েন্ট আউট’ করে ওই নোটিসে দেওয়া হয়েছে। ওই দিনগুলিতে মৎস্যজীবীদের ও মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। 

দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের সভাপতি দেবাশিস শ্যামল বলেন, আমরা জুনপুটে মিসাইল উৎক্ষেপণ কেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত সঠিক নয় বলে প্রথম থেকেই বলে আসছি। উপকূল এলাকায় বেশিরভাগই ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী। ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য পরীক্ষা এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য মৎস্যজীবীদের রুটিরুজিতে টান পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। দেশের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করা হোক, আমাদের এটাই মূল দাবি। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, এনিয়ে ভয়ের কিছু নেই। জেলা সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) জয়ন্তকুমার প্রধান বলেন, এমনিতেই আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত ব্যান পিরিয়ড রয়েছে এবং সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ। তবু এই ক’টা দিন মৎস্যজীবীরা যাতে সমুদ্রে না যান, তার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে। তবে মৎস্যজীবীদের অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।

No comments