বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ২২জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল
ময়নার গোড়ামহালে বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ২২জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল। গোড়ামহালের বুথ সভাপতি তথা নির্বাচন কম…
বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ২২জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল
ময়নার গোড়ামহালে বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ২২জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল। গোড়ামহালের বুথ সভাপতি তথা নির্বাচন কমিটির কনভেনার স্বপন ভৌমিক, আড়ংকিয়ারানার পঞ্চায়েত সদস্য শেখ নজিবুর রহমান সহ বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত একাধিক নেতার নাম রয়েছে। ময়নার পাশাপাশি ভগবানপুর-১ ব্লকেরও পাঁচ তৃণমূল নেতা-কর্মীকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২০১৮সালে খুন হওয়া নান্টু প্রধানের ভাই পিন্টু প্রধানের নামও রয়েছে। শনিবার তমলুক লোকসভার বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, বিধায়ক অশোক দিন্দা এবং পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক বামদেব গুছাইত প্রমুখ মৃত দীনবন্ধু মিদ্যার বাড়িতে যান। শুক্রবার ওই বিজেপি কর্মীর দেহ ময়নাতদন্ত হয়েছে। সোমবার সেই রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা পড়বে। রিপোর্টে পরিবার অখুশি হলে কমান্ড হাসপাতালে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের আর্জি জানাবে। আপাতত দেহ তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।
মৃত দীনবন্ধুর কাকা গৌতম মিদ্যা বিজেপির বুথ কমিটির সহ সভাপতি। যদিও ১৮বছর ৩মাস বয়সি ওই যুবক রাজনীতির সঙ্গে সেভাবে যুক্ত ছিলেন না। তাছাড়া এর আগে ভোটার তালিকায় নাম ছিল না। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দীনবন্ধুর সঙ্গে এক যুবতীর প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক ছিল। তা নিয়ে টানাপোড়েন থেকেই অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান। মৃত যুবকের মোবাইল থেকে এনিয়ে পরিষ্কার তথ্য আসতে পারে বলে মনে করছে পুলিস। যদিও ভোটের মুখে দীনবন্ধুর মৃত্যুকে রাজনৈতিক খুন বলে প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া হয়ে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। ময়নার বাকচা এবং কেলেঘাই নদীর উল্টো পাড়ে ভগবানপুর-১ ব্লকের মহম্মদপুর-১ পঞ্চায়েতের ২২জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে।
ময়না ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি চন্দন মণ্ডল বলেন, প্রণয়ঘটিত কারণ থেকে একটা অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। গোড়ামহাল এলাকায় আমাদের সংগঠন দুর্বল। বিশেষ করে গতবছর বিজয় ভুঁইয়া খুনের ঘটনার পর আমাদের কর্মীরা ওই এলাকায় কোণঠাসা। মৃত ওই যুবক সেভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। অথচ তাঁর মৃত্যু নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে বিজেপি। ময়না এবং ভগবানপুর দু’টি বিধানসভা এলাকার আমাদের ভোট কাণ্ডারীদের নামে এফআইআর করা হয়েছে। এর থেকেই প্রমাণ হয়, ভোটের মুখে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের চাপে রাখতে ভগবানপুরের নেতা-কর্মীদেরও নাম নেওয়া হয়েছে।
বিজেপির বাকচা অঞ্চল কনভেনার উত্তম সিংহ বলেন, গোড়ামহালে আমাদের সংগঠনকে দুর্বল করতে গত বছর বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে খুন করা হয়েছিল। বোমা, বন্দুকের সাহায্যে সেই খুনের ঘটনায় সম্প্রতি হাইকোর্ট এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ভোটের মুখে আরও একটি খুন করে ওরা এলাকায় ঘুরে দাঁড়ানোর প্ল্যান করেছিল। এটি পুরোপুরি রাজনৈতিক খুন। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব।
No comments