শুরু ১৪৩১, নতুন বছরে ‘দুর্গাপুজো’ তিনবার!
আজ রবিবার, বাংলা নববর্ষ ১৪৩১। বাঙালির ‘পয়লা বৈশাখ’। নতুন এই বছরে বাংলা তথা বাঙালির আরাধ্যা দেবী দুর্গা তিন তিনবার পূজিত হবেন। বিষয়টি আশ্চর্যের হলেও, পঞ্জিকা সে কথাই বলছে। বছর শুরুর দিন, আ…
শুরু ১৪৩১, নতুন বছরে ‘দুর্গাপুজো’ তিনবার!
আজ রবিবার, বাংলা নববর্ষ ১৪৩১। বাঙালির ‘পয়লা বৈশাখ’। নতুন এই বছরে বাংলা তথা বাঙালির আরাধ্যা দেবী দুর্গা তিন তিনবার পূজিত হবেন। বিষয়টি আশ্চর্যের হলেও, পঞ্জিকা সে কথাই বলছে। বছর শুরুর দিন, আজ তিনি পূজিত হবেন ‘বাসন্তী দুর্গা’ রূপে। যে দিনগুলোর জন্য গোটা বছরের অপেক্ষা, বাঙালির শ্রেষ্ঠ পার্বণ শারদীয়া উৎসবে দেবী পূজিত হবেন মহিষাসুরমর্দিনী দশভুজা রূপে। ২১ চৈত্র ফের দেবীর আরাধনা হবে ‘বাসন্তী দুর্গা’ রূপে। প্রাচ্যবিদ্যা বিশারদদের মতে, বছরে তিনবার দেবী দুর্গার আরাধনা, যা খুব কমই দেখা যায়।
শুধু তিনবার আরাধনাই নয়, শারদীয়া উৎসবে দশভুজার পুজোর দিনক্ষণ নিয়েও এবার পঞ্জিকা ভিন্ন ভিন্ন বিধান দিয়েছে। প্রাচীন পঞ্জিকার সময় অনুসারে, শরৎকালের পুজো এবার তিনদিনের। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে অবশ্য তা চারদিনের। প্রাচীন পঞ্জিকা মতে, ২৪ আশ্বিন (১১ অক্টোবর) মহাষ্টমীর দিন সকাল ৬টা ২৪ মিনিটে শুরু হবে সন্ধি পুজো। শেষ হবে ৭টা ১২ মিনিটে। ২৫ আশ্বিন (১২ অক্টোবর) মহানবমী ও মহাদশমীর পুজো সম্পন্ন হবে একইদিনে। অন্যদিকে বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে, মহাষ্টমীর সন্ধিপুজো শুরু হবে বেলা ১১টা ৪৩ মিনিটে, শেষ হবে ১২টা ৩১ মিনিটে। এই পঞ্জিকা অনুযায়ী, মহানবমী শনিবার হলেও, বিজয়া দশমী তারপর দিন ১৩ অক্টোবর। বাংলার নতুন পঞ্জিকা প্রকাশের সঙ্গেই দেবী দুর্গার আরাধনার দিনক্ষণ নিয়ে পৃথক পৃথক সময়সূচি সামনে আসায়, বিপাকে পড়েছেন গৃহস্থ বাড়ি থেকে শুরু করে বারোয়ারি পুজোর আয়োজক ও পুরোহিতরাও। শেষ হওয়া বাংলা বছরে ‘মল’ মাস থাকায় পুজোর দিনক্ষণে পরিবর্তন হয়েছে। সেই নিরিখে পিছিয়ে এসেছে বাসন্তী দুর্গাপুজো। সেই পুজোই আজ পয়লা বৈশাখে শুরু হচ্ছে। তবে তা হচ্ছে চৈত্র গৌণ চন্দ্রা নক্ষত্র অনুসারে। বাসন্তী দুর্গাপুজোর ষষ্ঠী দিয়েই বছরের পথ চলা শুরু।
অপরদিকে, শাস্ত্রমতে বিধি ও তিথি মেনে দুর্গাপুজো সম্পন্ন করার বিধান রয়েছে। প্রাচীন সর্বভারতীয় প্রাচ্যবিদ্যা আকাদেমির অধ্যক্ষ তথা দুর্গাপুজোর পুরোহিত প্রশিক্ষক ডঃ জয়ন্ত কুশারির মতে, এবারের প্রাচীন পঞ্জিকা মতে তিথির স্বল্পতা রয়েছে। তাই রঘুনন্দনের দুর্গোৎসব তত্ত্ব মেনে এবার দুর্গাপুজোর মহাস্নান সম্পন্ন হবে। কী রয়েছে সেই তত্ত্বে? আলাদা আলাদা না করে সব নদ-নদীর জল একটি ঘটিতে রেখে তাতে মৃত্তিকা ও তেল সংমিশ্রণ করে ‘ওঁ আত্রেয়ী ভারতী গঙ্গা…...’ মন্ত্রে মহাস্নান সম্পন্ন করতে হবে। ডঃ কুশারীর পরামর্শ, সময় স্বল্পতার জন্য এবার সপ্তমী ও অষ্টমীতে ষোড়শ উপাচার আলাদা ভাবে অর্চনা না করে একত্রে দেবীকে নিবেদন করা যাবে। অন্নভোগের ক্ষেত্রে পঞ্চব্যঞ্জনের পরিবর্তে শুধুমাত্র পরমান্ন নিবেদন করেই মায়ের আরাধনা করা যাবে। কিছু বনেদি গৃহস্থ বাড়ি ও পুরনো বারোয়ারি পুজোর আয়োজকরা তিথির স্বল্পতা নিয়ে চিন্তিত। উপায় নির্ধারণে ইতিমধ্যেই শাস্ত্রজ্ঞদের শরণাপন্ন হয়েছেন তাঁরা।
*আরো নিত্য নতুন আপডেট খবর দেখতে
আমাদের whatsapp চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন*
WhatsApp channel link - https://whatsapp.com/channel/0029VaCqqNUGk1FyEgWxaZ2r
No comments