রাতের না বলা কথা- কবি
এই ঘুম না আসা রাতের কথা আমরা কিছুতেই কাউকে বোঝাতে পারি না। বোঝাতে পারি না ঠিক ওই সময়ে আমাদের কতোটা অসহায় লাগে, বুক ছিড়ে কতোটা দুঃখ এসে বাসা বাঁধে।এসময় হঠাৎ মন খারাপ হয়ে যায়। কেহএসে উঁকি দেয়। জোঁকের মতো আটক…
রাতের না বলা কথা- কবি
এই ঘুম না আসা রাতের কথা আমরা কিছুতেই কাউকে বোঝাতে পারি না। বোঝাতে পারি না ঠিক ওই সময়ে আমাদের কতোটা অসহায় লাগে, বুক ছিড়ে কতোটা দুঃখ এসে বাসা বাঁধে।
এসময় হঠাৎ মন খারাপ হয়ে যায়। কেহএসে উঁকি দেয়। জোঁকের মতো আটকে থাকে এবং হৃদয়ের সুখগুলো শুষে নেয় যতটা পারে। এতে মুহূর্তেই দম বন্ধ হয়ে আসে। দেয়ালগুলো যেন একটু একটু করে আগাতে আগাতে চেপে ধরে চারদিক থেকে। মাথার পাশের টেবিলটার উপর রাখা টেবিল ঘড়িটার টিক টিক শব্দ, সিলিং এর সাথে ঝুলতে থাকা ফ্যানের ভনভন শব্দ খুউব বিশ্রীভাবে কানে এসে লাগে। যা অস্বস্তিটা বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুনে।
গলা শুকিয়ে যায়। ঢকঢক করে পুরো বোতলের জল শেষ করে ফেললেও তৃষ্ণা যেন কমে না কিছুতেই। ঘামতে থাকে শরীর অনবরত। যেন ঘামের সাথে সবটুকু শক্তি বেরিয়ে যাবে একটু একটু করে। চোখদুটো জ্বলতে থাকে জল গড়িয়ে না পড়ার শোকে।
রাত আরো গভীর হয়। ফোনের স্ক্রিনে সময় এগিয়ে চলে কিন্তু ঘুম আর আসে না। তারপর এক সময় পাখিরা জেগে ওঠে। টের পাওয়া যায় ভোর হচ্ছে। রাতের ঘুটঘুটে মেঘেরা ফ্লামিঙ্গো পাখির গোলাপি পালকের রঙ নিজের গায়ে মেখে নেয় সূর্যের উপস্থিতিতে। তারপর পুব আকাশটা সূর্যের রক্তিম আলোতে ছেয়ে যায় এবং এক সময় রাতের সবটুকু অন্ধকার গিলে ফেলে। শুধু গিলে ফেলতে পারে না আমাদের ভেতরের অন্ধকার নামক মন খারাপকে। যা আমরা জিয়িয়ে রাখি পরবর্তী রাতে যাপন করার জন্য।
কতোটা অসহায় আমরা, তাই না? সূর্য, যে কি না সমস্ত অন্ধকার শুষে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে, সেও আমাদের ভেতরের অন্ধাকরের কাছে মাথা নুইয়ে ক্ষমা চেয়ে নেয় কারণ ওসব অন্ধকারের মুক্তি সেও দিতে পারে না। তাই তো ভেতরের অন্ধকার থেকেই যায় বুকে অতি সাধারণে।
No comments