Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

নাকা চেকিংয়ে আবারও লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার

নাকা চেকিংয়ে আবারও লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার

ভোটের মুখে নাকা চেকিংয়ে আবারও লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার হল কোলাঘাটে। শনিবার সন্ধ্যায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ফ্লাইং স্কোয়াড টিম এবং পুলিসের নাকা চেকিং চলাকালীন একটি গাড়ি থেকে নগদ ৬ লক্ষ ৪০ হাজার ২৬০…

 


নাকা চেকিংয়ে আবারও লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার



ভোটের মুখে নাকা চেকিংয়ে আবারও লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার হল কোলাঘাটে। শনিবার সন্ধ্যায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ফ্লাইং স্কোয়াড টিম এবং পুলিসের নাকা চেকিং চলাকালীন একটি গাড়ি থেকে নগদ ৬ লক্ষ ৪০ হাজার ২৬০টাকা উদ্ধার হয়। ওই টাকার স্বপক্ষে কোনও নথি ছিল না। কোলাঘাটের বিডিও-র উপস্থিতিতে নগদ গণনার পর তা সিজ করা হয়। জামশেদপুরের বাসিন্দা মনরাজ সিং লিলুয়া থেকে ওই নগদ অর্থ গাড়িতে নিয়ে ফিরছিলেন। তিনি টাকার স্বপক্ষে কোনও রসিদ দেখাতে না পারায় সবটাই বাজেয়াপ্ত করা হয়। তারপর তাঁকে সিজার লিস্ট ধরানো হয়। 

এর আগে ২১মার্চ একই জায়গায় একটি গাড়ি থেকে নগদ ২০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল ফ্লাইং স্কোয়াড টিম। নিয়ম অনুযায়ী ১০ লক্ষ টাকার বেশি বাজেয়াপ্ত হলে ইনকাম ট্যাক্স বিভাগকে জানাতে হয়। সেইমতো কোলাঘাটের বিডিও অর্ঘ ঘোষ হলদিয়ায় আয়কর দপ্তরের অফিসে জানান। ইনকাম ট্যাক্স বিভাগের অফিসাররা কোলাঘাটে এসে আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সমূহ টাকা বা‌঩জেয়াপ্ত করে। ওই ঘটনার দু’দিনের মাথায় ফের একই জায়গায় গাড়ি থেকে সাড়ে ছ’লক্ষ টাকা উদ্ধার হল। ওই অর্থ সিজ করে প্রশাসন ডিস্ট্রিক্ট ক্যাশ রিলিজ কমিটির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী সিজার লিস্ট পাওয়ার পর টাকার দাবিদারকে জেলাস্তরে ক্যাশ রিলিজ কমিটির কাছে আবেদন জানাতে হবে। ওই কমিটি সাতদিনের মধ্যে শুনানি করবে। আবেদনকারীর বাজেয়াপ্ত হওয়া অর্থের স্বপক্ষে প্রমাণ দিতে পারলে টাকা তিনিই পাবেন। না হলে টাকা বাজেয়াপ্ত করে নেবে প্রশাসন।

শুধু নগদ অর্থ নয়, শনিবার সন্ধ্যায় কোলাঘাট থেকে প্রচুর চোলাই মদ বাজেয়াপ্ত করেছে আবগারি বিভাগের ফ্লাইং স্কোয়াড টিম। কোলাঘাট থানার খাকুরদহ ও কেশাপাটের মাঝে একটি টোটোতে ২৮০লিটার চোলাই মদ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আবগারি দপ্তরের স্পেশাল টিম হানা দেয়। টোটো ছেড়ে পালিয়ে যায় চালক। টোটো সহ বেআইনি মদ বাজেয়াপ্ত করেছে আবগারি বিভাগ। দোল উৎসব উপলক্ষ্যে চোলাই স্টক করা হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের আবগারি সুপার মণীশ শর্মা বলেন, বাজেয়াপ্ত হওয়া মোট সামগ্রীর মূল্য প্রায় ১ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা।

উল্লেখ্য, ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হতেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে ৪৮টি ফ্লাইং স্কোয়াড টিম রাতদিন নজরদারি চালাচ্ছে। ১৬টি বিধানসভা এলাকায় তিনটি করে টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও জেলা পুলিস ২১টি জায়গায় নাকা পয়েন্ট তৈরি করে নজরদারি শুরু করেছে। মূলত ভোটের সময় বেআইনিভাবে অর্থ ও উপহার সামগ্রী সরবরাহ আটকাতে কমিশনের নির্দেশে এই নজরদারি। নগদ ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি নিয়ে যাতায়াত করার সময় উপযুক্ত নথি না থাকলে বাজেয়াপ্ত করবে নজরদারি কমিটি। একইভাবে ১০হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের উপহার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করতে পারে ফ্লাইং স্কোয়াড টিম অথবা পুলিস। 

কমিশনের নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন। তাই তাঁরা উপযুক্ত নথিপত্র ছাড়াই লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে গাড়িতে যাতায়াত করছেন। দু’দিনের মাথায় কোলাঘাটে সাড়ে ২৬ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হল। জেলাশাসককে চেয়ারম্যান করে ডিস্ট্রিক্ট লেভেল ক্যাশ রিলিজ কমিটি গড়া হয়েছে। সেই কমিটি বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

No comments