ভিডিও দেখতে ক্লিক করুনhttps://youtu.be/MrmGoqRed1Y
এপিজি স্কুলে আনন্দ আর্ট ওয়ার্কশপের ৩২ তম দিবসহলদিয়া বাড় ঘাসিপুর মৌজায় অবস্থিত এপিজে স্কুল।আনন্দ আর্ট ওয়ার্কশপের ৩২ তম দিবসে ২৬ শে ফেব্রুয়ারি হলদিয়া শিল্প তালুক এলাকা বিভিন…
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
https://youtu.be/MrmGoqRed1Y
এপিজি স্কুলে আনন্দ আর্ট ওয়ার্কশপের ৩২ তম দিবস
হলদিয়া বাড় ঘাসিপুর মৌজায় অবস্থিত এপিজে স্কুল।আনন্দ আর্ট ওয়ার্কশপের ৩২ তম দিবসে ২৬ শে ফেব্রুয়ারি হলদিয়া শিল্প তালুক এলাকা বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে অঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক দেউলপোতা এবং পরানচক গান্ধী আশ্রমে আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীরা অংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। হলদিয়ার বিভিন্ন সরকারি স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা আজকের এই অঙ্কন প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করেন।
সূত্রে জানা যায়, এ পি জে স্কুল পার্ক স্ট্রিট কলকাতা, ভুবনেশ্বর এবং হলদিয়া একই যোগে প্রতি বছরের মতো ২৬ শে ফেব্রুয়ারী দিনটি এপিজে আনন্দ শিশু গ্রন্থাগার এর পক্ষ থেকে আনন্দ আর্ট ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়। জানা যায় স্বর্গীয় আনন্দ পলের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ১৯৯৩ সাল থেকে এই কর্মশালা আয়োজন করা হয়ে আসছে। স্বর্গীয় আনন্দ পল ২৬ শে ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছিলেন তাই জন্মদিনের মান্যতা দিয়ে এই আর্ট গ্যালারি ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়। জানা যায় আনন্দ পল তিনি একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কারণে সকলকে ছেড়ে চলে গেছেন।
এই বছর কর্মশালায় ৩২ তম সংস্করণ উদীয়মান প্রতিবাদের স্বপ্ন পূরণ করার বাস্তবায়িত একটি মঞ্চ। এই বছর আট ওয়ার্কশপের বিষয়বস্তু ছিল "জীবন একটি রামধনু" এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ৯ থেকে ১২ বছর বয়সী প্রায় বারোশো জনের বেশি শিক্ষার্থী । তাদের নিজ নিজ কল্পনা দিয়ে মাটির পাত্র বা হাড়িকে রাঙিয়ে তুলেছিলেন । সামনে দোল উৎসব হুলি পূর্ণিমা আর তার আগেই রঙের মাধ্যমে সমস্ত অন্ধকার ও বাধা কাটিয়ে উঠে নিজেদের শিল্পকলার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। শিশুদের শিল্প-কর্ম যেন নিজের অনুভূতির প্রতীক যা জীবনকে প্রভাবিত করবে অন্ধকার মেঘের আড়ালে একটি রূপালী আস্তরণ রয়েছে প্রতিটি শিশুর মনের মধ্যে তাই সমস্ত প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়ে সূর্য আবার দ্রুত উদিত হবে । কলকাতা ভুবনেশ্বর হলদিয়া এপিজে স্কুলের প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ দিনে মাটির পাত্রে শিশুদের রং তুলির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা শিল্পকর্মের স্বাক্ষর হয়ে থাকল। সমস্ত ক্ষেত্রে নির্বাচিত সেরা তিনটি শিল্পকর্মকে সম্মান ও উপহার সনদ প্রদান করা হয়। সমস্ত অংশগ্রহণকারী কে শিল্পকলার প্রয়োজনীয় সামগ্রী একটি ব্যাগ উপহার দেওয়া হয়।
এপিজি স্কুল সিইও মিঃ ভ্যারিল ব্লাউড তিনি জানান শিল্প সংগীত খেলাধুলা ও নানা শিল্পকলায় নিজেদের নিমজ্জিত করার বহুমুখী সুবিধা গুলি সুষ্ঠুভাবে তুলে ধরতে তিনি জোর দিয়ে বলেন যে এটা কিভাবে শিশুদের কাছে বিভিন্ন প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে ঔষধের মতো সাহায্য করবে।
তিনি প্রাপ্তবয়স্কদের উদ্দেশ্যে বলেন শিশুদের এই শৈল্পিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে, আমাদের এই সৃজনশীল ক্রিয়া-কলাপের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে। তাদের বৃদ্ধি ও বিকাশকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে আমরা শিশুদের বিভিন্ন দিকে উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারি। পুরস্কার বিতরণী সভায় উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রিন্সিপাল মৌসুমী গুপ্তা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ স্কুলের অভিভাবক অভিভাবিকা গন, সভায় সঞ্চালনা করেন পৃথা ঝাস।
No comments