বিবেকানন্দ মিশন নতুন স্কুল বিল্ডিং এর পথচলা শুরু । সংস্কৃতির শহর শিক্ষার শহর হলদিয়া বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বিবেকানন্দ মিশন টাউনশিপ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে এন্কারেজ কেম্প।দেখতে দেখতে অনেকটা বছর কেটেছে। মাধ্যমিক পরীক্ষায…
বিবেকানন্দ মিশন নতুন স্কুল বিল্ডিং এর পথচলা শুরু । সংস্কৃতির শহর শিক্ষার শহর হলদিয়া বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বিবেকানন্দ মিশন টাউনশিপ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে এন্কারেজ কেম্প।
দেখতে দেখতে অনেকটা বছর কেটেছে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে ট্রপার হয়েছে এই স্কুলের ছাত্র ছাত্রছাত্রীরা । ৪ ঠা ফেব্রুয়ারি রবিবার স্কুল বিল্ডিং এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি রামকৃষ্ণ মিশন তমলুক শাখা সম্পাদক মহারাজ এক রুপানন্দ জি, তিনি বলেন ছাত্রদের পড়াশোনাতে মনোনিবেশ করতে হবে, তার জন্য অভিভাবকদের হতে হবে দায়িত্বশীল। সুন্দর পরিবেশের সাথেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং নিয়ম-কানুন মেনে চলা শুরু থেকেই ছাত্রদের মনোযোগ করাতে হবে। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্কুলের ঘোষি প্রশংসাও করলেন তমলুক শাখা সম্পাদক রামকৃষ্ণ মিশন একরূপানন্দ জি মহারাজ।
হলদিয়া ডট কমপ্লেক্স ডেপুটি চেয়ারম্যান অমল কুমার মেহেরা উপস্থিত ছিলেন জেনারেল ম্যানেজার হলদিয়া ডর্ক কমপ্লেক্স জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসনিক) প্রভীণ কুমার দাস, হলদিয়া রিফাইনারি ফাস্ট লেডি দোয়েল সান্যাল, জিএম আইওপিপিএল অভীকল পাল, হলদিয়া রিফাইনারি এইচ আর অংশুমান ভট্টাচার্য, কলকাতা থেকে এসেছিলেন বিবেকানন্দ মিশন রেক্টর অর্ণব চন্দ্র, বিবেকানন্দ মিশন ট্রাস্টের বিভিন্ন পদাধিকারী গন এবং বিবেকানন্দ মিশন কলকাতা এবং জোকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাগন আজকের সভায় উপস্থিত ছিলেন। বিবেকানন্দ মিশন রেক্টর অর্ণব চন্দ্র সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন আমরা জোকাতে স্কুলের শিক্ষকদের স্কুলের ছাত্রদের টিউশন করা বন্ধ করেছি আমরা চাইবো সর্বত্র এই একই নিয়ম চালু হবে। ছাত্রছাত্রীদের টিউশনের অভাব বাড়তি স্কুলেই এক ঘন্টা করে দেওয়া হবে।
বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল জয়িতা চক্রবর্তী বলেন এই বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রথম আমাদের পদক্ষেপ স্কুলের শিক্ষকরা স্কুলের ছাত্রদের টিউশন করতে পারবে না । স্কুলের ছাত্ররা টিউশনের যে অভাব স্কুলের মধ্যেই পায় তার জন্য ছুটির পর এক ঘণ্টা করে ক্লাস নেওয়া হবে। তিনি বলেন আগে লাইসেন্সের মাধ্যমে ছিল, বর্তমানে হলদিয়া ডক কমপ্লেস এর কাছ থেকে ৩০ বছরের লিজে ৫৫০০মিটার জায়গার উপরে তৈরি হয়েছে এই বিদ্যালয়। প্রায় ৫২ টি রুম রয়েছে পঠনপাঠনের সাথে সাথে রয়েছে ল্যাবরেটরি , এখানে অঙ্কন, ফিজিক্যাল এডুকেশন, কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে অত্যাধুনিক ক্লাসরুম স্মার্ট ক্লাস এবং বড় লাইব্রেরী রয়েছে। আগামী দিনে আরো নতুন নতুন পাঠ্যক্রম চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।২০ ২২ সালে আইসিএসসি পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে পঞ্চম ট্রপার হয়েছিল শ্রেয়সী সেনগুপ্ত ,এবং 2023 শে ট্রপার হয়েছিলেন সুস্বেতা ভট্টাচার্য তাদেরকে আজ ৩০ হাজার টাকা করে চেক তুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ১০০০ জন এবং শিক্ষক শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মচারী মিলে মোট ৭২ জন রয়েছে।
No comments