Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

এক সপ্তাহ পরে রাশিয়া থেকে হলদিয়ার মৃত শ্রমিকের দেহ এল

এক সপ্তাহ পরে রাশিয়া থেকে হলদিয়ার মৃত শ্রমিকের দেহ এল ভবানীপুর থানা অন্তর্গত যে ছেলেটি রাশিয়ায় গিয়ে মারা গিয়েছিল উজবেকিস্তানে। ছেলেটির নাম সাইফুদ্দিন মাইতির দেহ আজ ২৭ শে ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ তার বাড়িত…

 




এক সপ্তাহ পরে রাশিয়া থেকে হলদিয়ার মৃত শ্রমিকের দেহ এল 

ভবানীপুর থানা অন্তর্গত যে ছেলেটি রাশিয়ায় গিয়ে মারা গিয়েছিল উজবেকিস্তানে। ছেলেটির নাম সাইফুদ্দিন মাইতির দেহ আজ ২৭ শে ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ তার বাড়িতে পৌঁছালো।  সাইফুদ্দিন মাইতি বাবার সঙ্গে সমবেদনা পোষন করেন মহিষাদল বিধানসভার বিধায়ক তিলোক চক্রবর্তী , ভবানীপুর থানার অফিস ইনচার্জ ইমরান মোল্লা। হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক( বিডিও)শুভঙ্কর মজুমদার  ছিলেন ডিআইবি সিভিক আরিফ বিল্লা।

প্রসঙ্গত, উজবেকিস্তানে তুষার ঝড়ে হলদিয়ার অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে উজবেকিস্তানের ওয়ার্কশপের তুষার ঝড়ের নিচে চাপা পড়ে হলদিয়ার এক পরিযায়ী শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  মৃত শ্রমিকের নাম সাইফুদ্দিন মাইতি (২৯)।  তাঁর বাড়ি হলদিয়ার ভবানীপুর থানার রাজনগর গ্রামে।  তার স্ত্রী ও এক সন্তান রয়েছে।  তিন ভাইবোনের মধ্যে সাইফুদ্দিন ছিলেন পরিবারের বড় ছেলে।  সাইফুদ্দিন ও তার এক প্রতিবেশী বন্ধু প্রায় চার মাস আগে উজবেকিস্তানে একসঙ্গে কাজ করার কথা ছিল।  বন্ধুরা বেঁচে গেলেও সাইফুদ্দিন মারা যায়।  এ খবর জানাজানি হলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।  স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ শ্রেণী পাস করার পর তিনি ফিটার হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন।  উজবেকিস্তানের বাগনান থেকে একজন এজেন্টের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিল।  তিনি এন্টার ইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটি ভারতীয় কোম্পানির অধীনে এটি করতেন।  ২০ শে ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ অঞ্চলের ওলমালায়েক প্রবল তুষার ঝড়ে কয়েকটি টিনের চালা ধসে পড়ে।  হলদিয়ার শিবরামনগর গ্রামের পরিমল পট্টনায়েক নামে এক যুবক।

 এলাকায় কাজে গিয়েছিল।  তিনি সেদিন হোয়াটসঅ্যাপ কলে বলেছিলেন যে দুর্ঘটনার সময় তিনি ডিউটিতে ছিলেন না।  সাইফুদ্দিন কাজে গিয়েছিল।  দুর্ঘটনার সময় তারা স্টোর রুমে গিয়েছিল।  দুর্ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।  দুর্ঘটনার সময় তাপমাত্রা ছিল শূন্যের নিচে।  মৃতদের মধ্যে কাঁথির রামনগরের এক পরিযায়ী শ্রমিকও মারা গেছেন।  সাইফুদ্দিনের প্রতিবেশী শেখ আবদুস সাত্তার বলেন, ছেলেটি খুবই সক্রিয় ও হাসিখুশি।  গত সাত-আট বছর ধরে তিনি কখনো বিভিন্ন রাজ্যে কখনো বিদেশে চাকরি করতেন।  এমন মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না।

No comments