Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে নিজের প্রথম পক্ষের ছেলেকে খুন ?

সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে নিজের প্রথম পক্ষের ছেলেকে খুন?
সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে নিজের প্রথম পক্ষের ছেলেকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে বাবা ও সৎ মায়ের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম শেখ সাহিক রহমান(২২)। তাঁর বাড়ি হলদিয়ার দুর্গাচক থানার ভাগ্যবন্ত…

 



সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে নিজের প্রথম পক্ষের ছেলেকে খুন?


সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে নিজের প্রথম পক্ষের ছেলেকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে বাবা ও সৎ মায়ের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম শেখ সাহিক রহমান(২২)। তাঁর বাড়ি হলদিয়ার দুর্গাচক থানার ভাগ্যবন্তপুরে। দুর্গাচক থানায় এই মর্মে রবিবার সন্ধে নাগাদ অভিযোগ জানিয়েছেন মৃতের মা সহরবানু বিবি। শনিবার গভীর রাতে সাহিক রহমানের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। সাহিকের মৃত্যুর খবর জানাজানি হওয়ার পরই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযোগ, সাহিকের উপর দীর্ঘদিন ধরে তার বাবা ও পরিবারের লোকজন অত্যাচার চালাচ্ছিল। সেজন্য তিনি বাড়ির বাইরে থাকতেন। কয়েকদিন আগে অসুস্থ মেয়েকে দেখতে বাড়ি ফিরে ছিলেন। তারপরই শনিবার রাতে বাড়িতে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। হলদিয়ার এসডিপিও অরিন্দম অধিকারী বলেন, দুর্গাচক এলাকায় এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মৃতের মা পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিস নিয়মমাফিক তদন্ত শুরু করেছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। পুলিস জানিয়েছে, সহরবানু বিবির সঙ্গে শেখ মহম্মদ শরিফ ওরফে বাপির বিয়ে হয়েছিল তেইশ বছর আগে। কিছুদিন পর তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। সহরবানু বিবি তাঁর একমাত্র পুত্র সাহিক রহমানকে নিয়ে দীর্ঘদিন আলাদা থাকতেন। বছর তিনেক আগে সাহিক বিয়ের পর পৈত্রিক ভিটেতে থাকতে শুরু করেন। সাহিকের মা সহরবানু বলেন, পৈত্রিক ভিটেতে ছেলে ফিরতেই তার উপর অত্যাচার শুরু করে পূর্বতন স্বামী। কারণ সাহিককে কোনও জমি ও সম্পত্তির ভাগ দেবে না। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে মেরে ওর পা ভেঙে দিয়েছিল। মাস তিনেক আগে সাহিক বাড়ি ছেড়ে কাজের জন্য বাইরে চলে যায়। সপ্তাহখানেক আগে ওর মেয়ে অসুস্থ বলে বাড়ি ফিরেছিল। শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ সাহিকের বাবা ফোন করে মৃত্যুর খবর জানায়। সাহিকের মায়ের অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে পরিকল্পনা করে মেরে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে প্রচার করা হয় আত্মহত্যা বলে। আত্মহত্যা করেছে বলে খবর দিয়ে মৃতদেহ হাসপাতালে দিয়ে আসে। সেখানে গিয়ে পরিবারের কাউকে দেখতে পাননি বলে অভিযোগ করেছেন পুলিসকে।

No comments