Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

'সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী' নম্বরে ফোন, পথশ্রী প্রকল্পে আড়াই কৈাটির স্কিম পেল মহিষাদলের পঞ্চায়েত

'সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী' নম্বরে ফোন, পথশ্রী প্রকল্পে আড়াই কৈাটির স্কিম পেল মহিষাদলের পঞ্চায়েত

 'সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী' ফোন নম্বরে আবেদন জানিয়ে পথশ্রী প্রকল্পে প্রায় আড়াই কোটি টাকার রাস্তার স্কিম পেল মহিষাদলের নাটশাল-১ গ…

 


'সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী' নম্বরে ফোন, পথশ্রী প্রকল্পে আড়াই কৈাটির স্কিম পেল মহিষাদলের পঞ্চায়েত



 'সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী' ফোন নম্বরে আবেদন জানিয়ে পথশ্রী প্রকল্পে প্রায় আড়াই কোটি টাকার রাস্তার স্কিম পেল মহিষাদলের নাটশাল-১ গ্রাম পঞ্চায়েত। হলদিয়া মহকুমায় একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের এত টাকার স্কিম 'উপহার' পাওয়ার নজির আর নেই। এই প্রকল্পে দু'টি বড় রাস্তা সহ ছ'টি রাস্তা তৈরি হবে। সেইসঙ্গে সেচের সুবিধার জন্য ঘাসিমারা নিকাশি খাল সংস্কার করবে গ্রাম পঞ্চায়েত।

একটি ২.৬ কিমি ঢালাই রাস্তার কাজ শুরুর মুখে। গেঁওখালি বাসস্ট্যান্ড থেকে দ্বীপা ডাকারি প্রকল্পের পাশ দিয়ে ভূঁইয়াসুড়া পর্যন্ত রাস্তাটি যাবে। এজন্য খরচ হবে ৯৭ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। হিজলি টাইডাল ক্যানেলের সমান্তরাল ওই রাস্তাটি মৎস্যচক, মধ্য নাটশাল ও উত্তর নাটশাল, তিনটি বুথের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। ওই তিনটি বুথে পঞ্চায়েত ভোটে জিতেছে বিজেপি। হুগলি, রূপনারায়ণ ও দামোদর নদের সংযোগস্থল হওয়ায় গেঁওখালি ত্রিবেণীসঙ্গম পর্যটনকেন্দ্র নামে পরিচিত। পাশেই রয়েছে হেরিটেজ পর্যটনকেন্দ্র পর্তুগিজ খ্রিস্টানপল্লি মিরপুর। পর্তুগিজপাড়া ও আশপাশের গ্রাম গেঁওখালি বাজারের সঙ্গে যুক্ত করতে পথশ্রী- ৩ প্রকল্পে ২৬ লক্ষ টাকা খরচে রাস্তা তৈরি হচ্ছে। এছাড়া, বড়চাঁদপাত্র পুল থেকে স্বপনকুমার ধাড়ার বাড়ি সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত প্রায় এক কিমি ঢালাই রাস্তার কাজ জোরকদমে চলছে। আরও কয়েকটি রাস্তার কাজ হবে।

তৃণমূল পরিচালিত নাটশাল-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শিবপ্রসাদ বেরা বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দলমতনির্বিশেষে সমস্ত এলাকার উন্নয়নে আমরা জোর দিয়েছি। দু'শো বছরেরও বেশি আগে আরাকানের মগ জলদস্যুদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে মহিষাদলের রানি জানকী দেবী পর্তুগিজ গোলন্দাজ নিয়োগ করেন। তাদের বসতির জন্য মীরপুরে নিষ্কর জমি দান করেন। রথা, তেসরা, পেরেইরা পদবিধারী সেই পর্তুগিজরা এখন বাঙালি হয়ে উঠেছেন। ওই এলাকায় ক্যাথলিক ও প্রোটেস্টান্টদের দু'টি গির্জাও রয়েছে। প্রতি বছর ওই পর্তুগিজ খ্রিস্টানপল্লিতে এক সপ্তাহের মেলা বসে। সারা বছরই পর্তুগিজপাড়ায় পর্যটকদের আনাগোনা লেগে রয়েছে। ইদানীং ওই পল্লিতে হোমস্টে চালু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা গেঁওখালি থেকে সরাসরি মীরপুরে যাতায়াতের জন্য রাস্তার আবেদন করেন 'সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী' ফোন নম্বরে। এক ফোনেই বাজিমাত। মাস দুয়েক আগে 'সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী' নম্বরে ফোন করে রাস্তার আবেদন জানান নাটশালের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, ২০ বছর ধরে হাজার চেষ্টা করেও যে কাজ হয়নি, মুখ্যমন্ত্রীকে এক ফোনেই তার সুরাহা হয়েছে। রাতারাতি স্কিম অনুমোদনের পর এখন জোরকদমে কাজ চলছে।

পঞ্চায়েত প্রধান জানান, শিবপ্রসাদ বেরা তিনি বলেন, গেঁওখালিতে পর্যটন বিকাশে জোর দেওয়া হচ্ছে। নষ্ট হয়ে যাওয়া ডাকারি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এলাকার মহিলাদের নিয়ে সমবায় গড়ে ওখানে ডেয়ারি ফার্ম গড়ার জন্য এগোচ্ছি। ওই প্রকল্পের জমির পাশে এক কোটি টাকা খরচে একটি ফ্লাড রেসকিউ সেন্টার গড়ার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

No comments