জুনপুটে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র বা মিসাইল লঞ্চিং প্যাড নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যেই শুরুকাঁথির জুনপুট সমুদ্র উপকূলে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) উদ্যোগে এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎ…
জুনপুটে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র বা মিসাইল লঞ্চিং প্যাড নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু
কাঁথির জুনপুট সমুদ্র উপকূলে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) উদ্যোগে এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র গড়ে উঠতে চলেছে। এই কেন্দ্র গড়ে উঠলে এর প্রভাব কতটা পড়তে পারে, কতটা জমি অধিগ্রহণ করা হতে পারে, সেব্যাপারে স্থানীয় মানুষজনকে অবহিত করুক জেলা প্রশাসন। এমনই দাবি জানাল পূর্ব মেদিনীপুর মৎস্যজীবী ফোরাম। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়ে শুক্রবার জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয় ফোরাম। উল্লেখ্য, জুনপুটে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র বা মিসাইল লঞ্চিং প্যাড নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। তার জন্য চাতাল, ছাউনি থেকে শুরু করে অন্যান্য পরিকাঠামো গড়ার কাজ চলছে। ফোরামের দাবি, জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এটা ঠিক। আবার এটাও ঠিক, এই এলাকার মানুষজন, তাঁদের জীবনযাপন ও জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্র এলাকার মধ্যেই প্রকল্পটি হচ্ছে। অথচ এলাকার জলে, স্থলে, বাতাসে তাঁদের জীবনযাপন বা জীবিকা নির্বাহের উপর এই প্রকল্পের প্রভাব বা অভিঘাত সম্পর্কে স্থানীয় লোকজন সম্পূর্ণ অন্ধকারে রয়েছেন। এই অন্ধকার তাঁদের মনে নানারকম আশঙ্কা ও সংশয় তৈরি করেছে। ফোরামের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস শ্যামল বলেন, জুনপুট মৎস্যখটির ঠিক পাশেই মিসাইল লঞ্চিং প্যাড-এর প্রস্তাবিত স্থানটি অবস্থিত। জুনপুট এই অঞ্চলের প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী মৎস্যখটি। এখানে ছ’হাজারের বেশি মৎস্যজীবী ও মৎস্যকর্মী মাছ ধরে ও শুঁটকি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। মিসাইল লঞ্চিং প্যাড তৈরি করতে কত জমি লাগবে, কীভাবে সেই জমি অধিগ্রহণ করা হবে, এই লঞ্চিং প্যাড তৈরি হলে মৎস্যজীবীদের জীবন-জীবিকার সংস্থান কতদূর বিপন্ন হবে, এই ধরনের প্রশ্ন স্থানীয় মৎস্যজীবীদের মনে প্রকট হয়ে উঠেছে।
No comments