বসন্তেও জমজমাট বাগডোগরার পিকনিক স্পটগুলি। রবিবার সকাল থেকেই টিপুখোলা ইকো ট্যুরিজম স্পট ও ট্রি ল্যান্ড, এমএম তরাইয়ে ভালোই ভিড় ছিল। শিলিগুড়ি, নকশালবাড়ি এমনকী উত্তর দিনাজপুর থেকেও বাগডোগরার বনাঞ্চলে পিকনিকে এসেছেন মানুষজন। তিনদ…
বসন্তেও জমজমাট বাগডোগরার পিকনিক স্পটগুলি। রবিবার সকাল থেকেই টিপুখোলা ইকো ট্যুরিজম স্পট ও ট্রি ল্যান্ড, এমএম তরাইয়ে ভালোই ভিড় ছিল। শিলিগুড়ি, নকশালবাড়ি এমনকী উত্তর দিনাজপুর থেকেও বাগডোগরার বনাঞ্চলে পিকনিকে এসেছেন মানুষজন। তিনদিকে পাহাড় আর মাঝদিয়ে বয়ে চলা বালাসনের পাড়ে হইহই করে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলল পিকনিক। শনিবার বৃষ্টিতে শীতের সেকেন্ড ইনিংস শুরু হয়েছে। আর সেই আমেজেই পিকনিকে মজেছেন আমজনতা।
শিলিগুড়ি ও মহকুমা বাসিন্দাদের কাছে বাগডোগরা বনাঞ্চল বরাবর প্রিয় জায়গা। সাধারণত ডিসেম্বর থেকে এটি পিকনিকে হটস্পট হয়ে ওঠে। প্রতিবছর জানুয়ারি পর্যন্ত পিকনিক চলে। এবার শীতের দাপট অব্যাহত থাকায় তা পিকনিকের জন্য নতুন করে সুযোগ করে দিয়েছে অনেককে। বাগডোগরা গোঁসাইপুর নতুনপাড়ার সত্যজিৎ সরকার এসেছিলেন পিকনিকে। বালাসনের পাড়ে বসে ডিম-পাউরুটি ব্রেকফাস্ট খেতে খেতেই বললেন, জানুয়ারিতে অফিসের কাজের চাপে পিকনিকে আসতে পারিনি। তাই ফেব্রুয়ারির মাসেই সপরিবার পিকনিকে এলাম। প্রকৃতির মাঝে বসে এভাবে দিনটা উপভোগ করার থেকে আনন্দের আর কী হতে পারে।
এমএম তরাই পিকনিক স্পটের সম্পাদক বিকাশ তামাংদের কাছে যা আশাব্যঞ্জক। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি এই ভিড় দেখে তিনি বলেন, জানুয়ারির তুলনায় লোকসংখ্য কম। তবুও শ’য়ে শ’য়ে গাড়িতে পিকনিকের দল আসছে। অন্য বছর এই দৃশ্য দেখা যায়নি। আমাদের স্পট সারা বছর খোলা। পরিষেবা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। এদিকে ঝামেলা রুখতে নিয়মিত টহলদারি করছে বাগডোগরা থানার পুলিস। তৎপর পিকনিক স্পট কমিটিও।
No comments