ভিডিও দেখতে ক্লিক করুনhttps://youtu.be/uMMoM_O6Sns
প্রাইভেট টিউশন বন্ধ ! নতুন দিশা দেখাচ্ছে বিবেকানন্দ মিশন
গত দু'বছর আগে ক্ষুদিরামনগরে একটি ভাড়া বাড়িতে স্কুলটি চলছিল ১৮ মাসের মাথায় তাদের নতুন জায়গায় নব রূপে সেজে উঠেছে স্…
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
https://youtu.be/uMMoM_O6Sns
প্রাইভেট টিউশন বন্ধ ! নতুন দিশা দেখাচ্ছে বিবেকানন্দ মিশন
গত দু'বছর আগে ক্ষুদিরামনগরে একটি ভাড়া বাড়িতে স্কুলটি চলছিল ১৮ মাসের মাথায় তাদের নতুন জায়গায় নব রূপে সেজে উঠেছে স্কুল গৃহ।
বিবেকানন্দ মিশন সোসাইটি ( একটি ট্রাস্ট রয়েছে) রাজ্যে মোট তিনটি স্কুল রয়েছে, জোকাতে রয়েছে হেড অফিস। আরো একটি স্কুল খোলা হয়েছে বারুইপুরে।
তাদের ট্রাস্টের মধ্য দিয়ে( সিবিএসসি বারুইপুর ও আই সিএস ই দুটি স্কুল হলদিয়া এবং জোকা কলকাতা)
(ICSE 2 school Haldia, joka kolkata CBSE 1 baruipur ) অন্তর্গত তিনটি স্কুল সারা রাজ্যে চলছে এবং মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করছে বলেও জানা যায়।
১৮ মাসের মাথায় ভাড়া বাড়ি ছেড়ে নিজেদের জায়গায় এন্কারেজে গড়ে উঠেছে বিবেকানন্দ মিশন বিদ্যামন্দির । জানাযায় শিশু বিভাগ থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত পঠন-পাঠন করানো হয় বর্তমানে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৯৫০ জন ।স্কুলের শিক্ষক অশিক্ষক কর্মচারী মিলে প্রায় ৭০ জন রয়েছে। জানালেন স্কুলের প্রিন্সিপাল জয়িতা চক্রবর্তী তিনি বলেন স্কুল গ্রাউন্ড এর মধ্যেই ছাত্রছাত্রীদের খেলাধুলার জন্য থাকছে খেলার মাঠ, স্কুলের প্রবেশদ্বারে এক নম্বর গেটের পাশেই থাকবে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি প্রতিষ্ঠিত মন্দির।
নতুন স্কুলের নতুন পরিবেশে এসে ভালো লাগছে বলে জানালেন স্কুলের কচিকাঁচারা। তারা বললেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা পঠন পাঠন যেমন ভালো করান ঠিক তেমনিভাবে সুস্থ পরিবেশে জন্য দরকার স্কুল বিল্ডিং শ্রেণিকক্ষ। তাই স্কুল বিল্ডিংটি খুব ভালো লেগেছে। ত্রিতল বিল্ডিং হয়েছে প্রতিটি ক্লাস রুমের পাশেই রয়েছে বিশুদ্ধ পানীয় জল একোয়াগার্ড ব্যবস্থা।
স্কুলের ছেলেমেয়েদের বহু দূর দুরান্ত থেকে আসে তাদের জন্য রয়েছে বাসের ব্যবস্থা। প্রিন্সিপাল ম্যাডাম বলেন আমরা২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই (একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী) উচ্চ মাধ্যমিক চালু হচ্ছে। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি আগামী ৭ ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে। বিল্ডিংয়ের তার সম্পূর্ণ হয়েছে কেবলমাত্র খেলার মাঠ বাদ দিলে।
তিনি বলেন শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশন করবে না দুঃস্থ ছাত্রছাত্রী পরিবারের কথা মাথায় রেখেই স্কুলের শিক্ষকরা এক্সট্রা টাইম ছাত্রছাত্রীদের পঠন পাঠনের উদ্যোগ নিচ্ছে।
বিবেকানন্দ মিশন নতুন বিল্ডিং এর পথচলা শুরু ।শিল্প সংস্কৃতির শহর শিক্ষার শহর হলদিয়া বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বিবেকানন্দ মিশন টাউনশিপ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে এন্কারেজ কেম্প।
দেখতে দেখতে অনেকটা বছর কেটেছে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে ট্রপার হয়েছে এই স্কুলের ছাত্র ছাত্রছাত্রীরা । ৪ ঠা ফেব্রুয়ারি রবিবার স্কুল বিল্ডিং এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি রামকৃষ্ণ মিশন তমলুক শাখা সম্পাদক মহারাজ এক রুপানন্দ জি, হলদিয়া ডট কমপ্লেক্স ডেপুটি চেয়ারম্যান অমল কুমার মেহেরা উপস্থিত ছিলেন জেনারেল ম্যানেজার হলদিয়া ডর্ক কমপ্লেক্স জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসনিক) প্রভীণ কুমার দাস, হলদিয়া রিফাইনারি ফাস্ট লেডি দোয়েল সান্যাল, জিএম আইওপিপিএল অভীকল পাল, হলদিয়া রিফাইনারি এইচ আর অংশুমান ভট্টাচার্য, কলকাতা থেকে এসেছিলেন বিবেকানন্দ মিশন রেক্টর অর্ণব চন্দ্র, বিবেকানন্দ মিশন ট্রাস্টের বিভিন্ন পদাধিকারী গন এবং বিবেকানন্দ মিশন কলকাতা এবং জোকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাগন আজকের সভায় উপস্থিত ছিলেন। বিবেকানন্দ মিশন রেক্টর অর্ণব চন্দ্র সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন আমরা জোকাতে স্কুলের শিক্ষকদের স্কুলের ছাত্রদের টিউশন করা বন্ধ করেছি আমরা চাইবো সর্বত্র এই একই নিয়ম চালু হবে। ছাত্রছাত্রীদের টিউশনের অভাব বাড়তি স্কুলেই এক ঘন্টা করে দেওয়া হবে।
বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল জয়িতা চক্রবর্তী বলেন এই বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রথম আমাদের পদক্ষেপ স্কুলের শিক্ষকরা স্কুলের ছাত্রদের টিউশন করতে পারবে না । স্কুলের ছাত্ররা টিউশনের যে অভাব স্কুলের মধ্যেই পায় তার জন্য ছুটির পর এক ঘণ্টা করে ক্লাস নেওয়া হবে। তিনি বলেন আগে লাইসেন্সের মাধ্যমে ছিল, বর্তমানে হলদিয়া ডক কমপ্লেস এর কাছ থেকে ৩০ বছরের লিজে ৫৫০০মিটার জায়গার উপরে তৈরি হয়েছে এই বিদ্যালয়। প্রায় ৫২ টি রুম রয়েছে পঠনপাঠনের সাথে সাথে রয়েছে ল্যাবরেটরি , এখানে অঙ্কন, ফিজিক্যাল এডুকেশন, কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে অত্যাধুনিক ক্লাসরুম স্মার্ট ক্লাস এবং বড় লাইব্রেরী রয়েছে। আগামী দিনে আরো নতুন নতুন পাঠ্যক্রম চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।২০ ২২ সালে আইসিএসসি পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে পঞ্চম ট্রপার হয়েছিল শ্রেয়সী সেনগুপ্ত ,এবং 2023 শে ট্রপার হয়েছিলেন সুস্বেতা ভট্টাচার্য তাদেরকে আজ ৩০ হাজার টাকা করে চেক তুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ১০০০ জন এবং শিক্ষক শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মচারী মিলে মোট ৭২ জন রয়েছে।
No comments