ঠিকাদার সংস্থার আশ্বাস পেতেই বিক্ষোভ উঠে যাওয়ায় স্বাভাবিক অবস্থা বন্দরে
অচলাবস্থা কেটে যাওয়ায় স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। শনিবার ১০ ই ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বিক্ষোভ ওঠার পর বন্ধ হয়ে যাওয়া ২, ৮, ১…
ঠিকাদার সংস্থার আশ্বাস পেতেই বিক্ষোভ উঠে যাওয়ায় স্বাভাবিক অবস্থা বন্দরে
অচলাবস্থা কেটে যাওয়ায় স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। শনিবার ১০ ই ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বিক্ষোভ ওঠার পর বন্ধ হয়ে যাওয়া ২, ৮, ১৩ নম্বর বার্থে কাজ শুরু হয়। তবে বিক্ষোভ সাময়িক উঠলেও ফের শ্রমিক বিক্ষোভের আশঙ্কায় বন্দর কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন। এভাবে নিয়মিত বন্দরে বিশৃঙ্খলা তৈরি হলে রেকর্ড পরিমাণ কার্গো পরিবহণের লক্ষ্যমাত্রা আদৌ পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে তাঁরা সংশয়ে রয়েছেন। বন্দরে শ্রমিকদের মধ্যে নেতৃত্বহীনতার অভাবেই বারবার বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ। বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান অমলকুমার মেহেরা বলেন, শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছি। বন্দর সম্পর্কে শিল্প সংস্থা ও বিদেশি সংস্থার কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য,গত শনিবার দুপুর থেকে হলদিয়া বন্দরে রিপ্লে অ্যান্ড কোম্পানি স্টিভেডরিং অ্যান্ড হ্যান্ডেলিং প্রাইভেট লিমিটেডের শ্রমিকরা পিএফ নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে বসেন। শ্রমিকদের বেতন থেকে পিএফের টাকা কেটে নেওয়া ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। বন্দরের তিনটি বার্থে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। রাজ্যের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে বন্দর থেকে ট্রাকে করে পণ্য পরিবহণ করা হয়। ট্রাকে এবং ডাম্পারে লোডিংয়ের কাজ থমকে যায়। বিক্ষোভ তুলতে সন্ধ্যায় রিপ্লের তরফে একটি চিঠি ইস্যু করে আগামী ১৬ অথবা ১৭ তারিখ মালিকের সঙ্গে মিটিংয়ের আশ্বাস দেয়। রাত ৮নাগাদ কাজ শুরু হলেও ফের শ্রমিকরা
দ্বিমত হয়। ফলে ফের কাজ বন্ধ হয়। এরপর শ্রমিকদের বোঝাতে আইএনটিটিইউসির নেতারা এলেও তাঁদের কোনও কথাই শোনেনি শ্রমিকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (ট্রাফিক) অভয়কুমার মহাপাত্র শ্রমিকদের সঙ্গে দফায় দফায় মিটিং শুরু করেন। বন্দরের বার্থে গিয়ে তিনি শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর বন্দরের তরফে রিপ্লের শ্রমিকদের একটি চিঠি দেওয়া হয়। এধরনের ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন। জানা গিয়েছে, বন্দরের ওই শ্রমিকরা কোনও ইউনিয়ন নেতাকে মানতে চায়নি বলেই ওই চিঠিতে 'ওয়ার্কমেন অব রিপ্লে গ্রুপ' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার অভয় মহাপাত্রের সই করা চিঠিতে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তারপরই শ্রমিকরা কাজে যোগ দেন। শ্রমিকরা বলেন, রিপ্লের মালিক সরাসরি কথা বলুক। কোনও ইউনিয়ন নেতার মধ্যস্থতার দরকার নেই।
শ্রমিক বিশৃঙ্খলার ঘটনায় শাসকদলের এক প্রভাবশালী নেতার দিকে আঙুল তুলেছে সবপক্ষ। আইএনটিটিইউসির জেলা নেতৃত্ব ওই নেতার আচরণে ক্ষুব্ধ বলে জানা গিয়েছে। হলদিয়ার তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ভোটের মুখে বিজেপি বন্দরে উসকানি দিচ্ছে। কেউ কেউ আড়াল থেকে ক্ষমতা দখলের জন্য শ্রমিকদের ব্যবহার করছে। বিজেপির বন্দরের নেতা প্রদীপ বিজলী বলেন, বন্দরে তৃণমূলের শ্রমিকদের উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণেই বারবার বিশৃঙ্খলা ঘটছে। সূত্রে জানা যায় বন্দরের শ্রমিকের গেট পাশ থাকা সত্ত্বেও কাজে যোগদান করতে পারছে না। একটি ঠিকাদার সংস্থা বন্দরের পুরাতন শ্রমিকদের গেট পাশ তৈরি করার জন্য আবেদন করেছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু তাদের গেট পাস অন্য একটি সংস্থা রেনুয়াল করছে কিন্তু কাজ দিচ্ছে না। এ নিউ শ্রমিকদের মধ্যে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে।
No comments