Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

লোকসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যে ৩৫৫ ধারা প্রয়োগের ইঙ্গিতে- রাজ্যপাল

লোকসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যে ৩৫৫ ধারা প্রয়োগের ইঙ্গিতে- রাজ্যপাল
লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হল না। অথচ শুক্রবার সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনাকে প্রাক-নির্বাচনী হিংসা বলে দাগিয়ে দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।…

 


লোকসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যে ৩৫৫ ধারা প্রয়োগের ইঙ্গিতে- রাজ্যপাল


লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হল না। অথচ শুক্রবার সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনাকে প্রাক-নির্বাচনী হিংসা বলে দাগিয়ে দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। শুধু তাই নয়, এই ইস্যুতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকিও দিলেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত ৩৫৫ ধারার দিকে। বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যপাল বুঝিয়ে দিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি শাসনের জন্য আবেদন করে রিপোর্ট তিনি দিতেই পারেন। হুমকির সুরে তাঁর মন্তব্য, ‘সরকার যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, সংবিধান কিন্তু তখন তার নিজের পথে চলবে। এখনই চোখ না খুললে ফল ভুগতে হবে।’ সেই ইঙ্গিত অবশ্য কেন্দ্রের বিজেপির সরকারের তরফ থেকে এসে গিয়েছে সকালেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগে এ নিয়ে বৈঠক হয়। তারপরই ঠিক হয়েছে, বাংলায় যাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের টিম। তবে রাজ্যপালের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর। সি ভি বোসের কাছে নির্দেশ এসেছে, ‘গ্রাউন্ড রিপোর্ট’ পাঠান। তারপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজেই বিষয়টি ব্রিফ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। জয়পুর থেকেই দু’বার বিষয়টির খোঁজ নিয়েছেন মোদি। বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম যে রাজ্যে আসছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করা হয়েছে কেন্দ্রীয় পার্টির তরফে। 

তবে রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এদিন প্রথম মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অন্য একটি মামলার শুনানি চলাকালীন সন্দেশখালির ঘটনা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নজরে আনেন আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। সবটা শোনার পর বিচারপতি বলেন, ‘পুলিস কী করছিল? তারা কি ঘটনাস্থলে যায়নি?’ এরপরই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না, রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে? তদন্তকারী সংস্থা আক্রান্ত হলে কীভাবে তদন্ত হবে?’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, ইডি অফিসারদের সঙ্গে উপস্থিত আধাসেনা কী করছিল? ওদের সঙ্গে কি গুলি-বন্দুক ছিল না?

এই ধরনের মন্তব্যে অবশ্য ক্ষোভের বিস্ফোরণ হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। তারা প্রশ্ন তুলেছে, রাজ্যের সাংবিধানিক শীর্ষ পদ এবং বিচারপতির আসনে বসে এই ধরনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য করা যায় কি? রাজ্যপাল এদিন লাগাতার বলে গিয়েছেন, বাংলায় ‘ব্যানানা রিপাবলিক’ চলছে। এমনকী সন্ধ্যায় সল্টলেকের হাসপাতালে জখম ইডি আধিকারিকদের দেখতে গিয়েও তিনি বলেছেন, ‘এখানে গণতন্ত্র বিপন্ন।’ তার উপর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য। তৃণমূল মুখপাত্র বিশ্বজিৎ দেব বলেন, ‘বিচারপতির আসনে বসে এমন কথা বেমানান। সংবিধানকে তিনি অপমান করেছেন।’ তৃণমূলের বক্তব্য, রাজ্যপাল এবং বিচারপতির মতো ব্যক্তিত্বও যদি এমন মন্তব্য করেন, তাহলে তাঁদের সঙ্গে রাজনীতিকদের ফারাক কোথায়? ঠিক যেভাবে ইস্যুটা ধরে নিয়েছে বিজেপি। দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফা দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, রোহিঙ্গা এবং তৃণমূল মিলে এই হামলা চালিয়েছে। বাংলার মন্ত্রী শশী পাঁজার পাল্টা আক্রমণ, ‘বিজেপির মুখে আইন-শৃঙ্খলার কথা মানায় না। মণিপুর, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশে কী হচ্ছে, সবাই জানে।’

No comments