Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

June 21, 2025

Weather Location

Breaking News:

রেশন দুর্নীতির তদন্তে এবার ইডির নজরে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর পরিবার

রেশন দুর্নীতির তদন্তে এবার ইডির নজরে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর পরিবাররেশন দুর্নীতির তদন্তে এবার ইডির নজরে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর পরিবার। মা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, ভাই, শ্যালক সহ পরিবারের আ…

 

রেশন দুর্নীতির তদন্তে এবার ইডির নজরে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর পরিবার

রেশন দুর্নীতির তদন্তে এবার ইডির নজরে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর পরিবার। মা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, ভাই, শ্যালক সহ পরিবারের আটজনের নামে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র খুলেছিলেন তিনি। এগুলির মাধ্যমে  হাওলার মাধ্যমে আসা টাকা বিদেশি মুদ্রায় বদল করেছেন তিনি। মূলত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতেই পরিবারের সদস্যদের নামে দু’-তিনটি সংস্থা খোলা হয়েছিল। আদালতে জমা দেওয়া রিমান্ড কপিতে এমনটাই দাবি করেছে ইডি। এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে জ্যোতিপ্রিয়র দু’ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশে ও দুবাইয়ে গিয়েছে বলে খবর। এছাড়াও শাহজাহান সহ অন্যান্যদের বিপুল পরিমাণ টাকা ডলার বা ইউরোতে বদল করা হয়েছে। এই অবৈধ কারবারের বিষয়ে পরিবারের সদস্যরা জানতেন। নগদ টাকা শঙ্কর ব্যাঙ্কে পাঠাতেন পরিবারের সদস্য বা ঘনিষ্ঠদের দিয়ে। স্থানীয় ব্যাঙ্ককর্মীদের একাংশ নথি ছাড়াই বিপুল টাকা জমার ব্যাপারে তাঁকে সাহায্য করে বলে অভিযোগ। সেই ব্যাঙ্ককর্মীদের নামও হাতে এসেছে তদন্তকারী সংস্থার। শঙ্করের পরিবারের আট সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে বলে খবর। সেই টাকা কোথায় কোথায় গিয়েছে, তাঁদের জেরা করে জানতে চান অফিসাররা। 

ইডি তদন্তে নেমে জেনেছে, শঙ্কর আঢ্য কয়েক হাজার ভুয়ো রেশন কার্ড তৈরি করেছিলেন। পুর চেয়ারম্যান থাকাকালীন তিনি বহু জাল বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি করেছিলেন। পরে সেগুলি দিয়েই বানানো হয় ভুয়ো রেশন কার্ড। তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পরিকল্পনা করেই তিনি তা করেছিলেন বলে দাবি করেছে এজেন্সি। তদন্তে জানা গিয়েছে, নিজের পরিচিতদের রেশনের ডিলারশিপ ও ডিস্ট্রিবিউটরশিপ পাইয়ে দিয়েছিলেন শঙ্কর। লাইসেন্স পেলেও রেশন দোকান তৈরি হয়নি। অথচ সেখানে গ্রাহক হিসেবে কয়েক হাজার ব্যক্তির নাম ছিল। খাতায়-কলমে তাঁদের নামে ইস্যু হওয়া বস্তা বস্তা রেশন চলে যেত শঙ্করের কাছে। সেগুলি পাচার হয়ে যেত বাংলাদেশে। এর পেমেন্ট আসত হাওলা মারফত। ইডির দাবি, এই টাকার একটা ভাগ পেতেন জ্যোতিপ্রিয়। ওই টাকা মন্ত্রীকে ডলারে পরিবর্তন করে দিতেন শঙ্কর। যদিও ইডি’র জেরায় প্রাক্তন চেয়ারম্যান দাবি করেছেন, তাঁর ব্যবসা বৈধ উপায়ে চলে। এই সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে আছে।    

এদিকে, ৯০০ কোটি টাকার একটা বড় অংশ বাকিবুর রহমান পাঠিয়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় (বালু) মল্লিকের কাছে। বাকিবুর জেরায় এই তথ্য দিয়েছেন বলে আদালতে জমা দেওয়া রিমান্ড কপিতে উল্লেখ করেছে ইডি। এর পরিমাণ ৬০০ কোটি টাকা। নগদে আসা এই টাকা শঙ্কর আঢ্য বিদেশি মুদ্রায় পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন বলে তথ্য পেয়েছে এজেন্সি।

No comments