ভিডিও দেখতে ক্লিক করুনhttps://youtu.be/8lwG6da-3pE
শতবর্ষ উদযাপন হলদিয়া হাই স্কুল উচ্চ মাধ্যমিক১৯২৪ সালে ৭ই জানুয়ারি দেভোগ্রামে প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বীজ প্রোথিত হয়েছিল স্কুলটি ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পঠন-পাঠন শুরু হয়। সেই সময…
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
https://youtu.be/8lwG6da-3pE
শতবর্ষ উদযাপন হলদিয়া হাই স্কুল উচ্চ মাধ্যমিক
১৯২৪ সালে ৭ই জানুয়ারি দেভোগ্রামে প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বীজ প্রোথিত হয়েছিল স্কুলটি ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পঠন-পাঠন শুরু হয়। সেই সময় স্কুলের জায়গা দিয়েছিলেন দীনবন্ধু ত্রিপাঠির ছেলে শ্যামাচরণ ত্রিপাঠির প্রায় তিন বিঘা জায়গাতে সেই বীজ রোপণ করেছিলেন। দেভোগগ্রামের ভূমি পুত্র শ্যামাচরণ ত্রিপাঠি দুই পোপুএ অরুপ ও অনুপ প্রথম ঐ স্কুলের ছাত্র ছিলেন। অনুপ ত্রিপাঠী বাল্য জীবনের স্মৃতি তর্পণ করলেন। তিনি বলেন প্রথমে বিদ্যালয়টির নাম ছিল দেভোগ প্রাথমিক বিদ্যালয় পরে দেভোগ হাই স্কুল নাম হয়। বিদ্যালয়টি ১৯২৫ সালে হলদিয়ার দেভোগ গ্রামের দূরদর্শী, বিশিষ্ট এবং শিক্ষিত শ্যামাচরণ ত্রিপাঠ প্রতিষ্ঠিত করেছিল।
বিদ্যালয়টি ১৯৬৭ সালে 'দেভোগ উচ্চ বিদ্যালয়' হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে। শিল্পায়নের জন্য দেভোগ গ্রামে জমি অধিগ্রহণের ফলে বিদ্যালয়টি তার বর্তমান স্থানে, দুর্গাচকে স্থানান্তরিত হয় এবং "হলদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়" হিসাবে পুনঃনামকরণ করা হয়। ২০০৪ সালে স্কুলটি কলা ও বিজ্ঞান সহ উচ্চ মাধ্যমিক (10+2) স্তরে উন্নীত হয়।
সেই বীজে গাছ এখন ফুলে ফলে মহী রূপে পরিণত হয়েছে। নিয়মের কালের গতিতে সেই জায়গাটি বহু ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হয়েছে সেই জায়গা থেকে বিদ্যালয়টি চলে গেছে হলদিয়া দুর্গাচাকে। সময় সাথে সাথে শরীরের ছাপ ফেলতে পারেনি বরং তাকে করে তুলেছে আরো মহিমান্বিত বলিয়ান ও কর্মচঞ্চল বহু শত সহস্র ছাত্রছাত্রী অভিভাবক অভিভাবিকা শিক্ষক-শিক্ষিকা নিরলস প্রচেষ্টায় ও ঐকান্তিক শুভ কামনায় অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ। এই প্রতিষ্ঠানটি শতবর্ষের পদার্পণ শুরু হল। ৭ থেকে ৯ জানুয়ারি ২০২৪ শতবর্ষ উদযাপনের শুভ সূচনা ঘটল হলদিয়া হাই স্কুল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
শতবর্ষ উদযাপনের শুরুতেই বিভিন্ন মনিষীদের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এবং বর্ণাঢ শোভাযাত্রা সারা দুর্গাচক এলাকায় পরিক্রমা করে এবং মঞ্চে আগত অতিথি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন অধ্যক্ষ রামকৃষ্ণ মঠ লালগড় স্বামী দেববরানন্দ, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসক তানভির আফজাল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সম্মানীয় প্রধান শিক্ষক মহাশয়ের হাত ধরেই আট এন্ড সায়েন্স গ্যালারি উদ্বোধন হয়। বিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশিত হয় আবৃত্তি শাস্ত্রীয় সংগীতানুষ্ঠান এছাড়াও নাটক পরিবেশিত হয়। শতবর্ষ অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান পুরুলিয়া ছৌ নিত্য । স্বামী বিবেকানন্দ মঞ্চ এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মঞ্চ এবং কবিগুরু মঞ্চ তিনটি মঞ্চে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং দ্বিতীয় দিনে আলোচনা সভা এবং প্রাক্তনীদের সম্মেলন।
সুস্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচক আলোচনা সভা হয় উপস্থিত ছিলেন ডঃ গোপাল পাত্র এসিস্ট্যান্ট প্রফেসার ডিপার্টমেন্ট অফ লাইফ স্টক প্রোডাক্ট টেকনোলজি ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ অ্যানিমেল এন্ড ফিসারি সায়েন্স উপস্থিত ছিলেন প্রশান্ত বৈদিক ইন্সপেক্টর অফিসার মুর্শিদাবাদ গভমেন্ট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল। জানালেন স্কুলের শতবর্ষ উদযাপন কমিটির সাংস্কৃত বিভাগের কনভেনার মিঠুন ভট্টাচার্যএবং স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোজ দাস তিনি বলেন বর্তমানে প্রায় ১৪০০ শিক্ষার্থী নিয়ে বিদ্যালয়টি চলছে। তাদের মধ্যে প্রায় ৫৫% ছাত্রী। বেশিরভাগ ছাত্রই সমাজের দুর্বল অংশ থেকে আসে যেমন S.C., S.T., OBC এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং তাদের মধ্যে অনেকেই প্রথম প্রজন্মের শিক্ষার্থী। মজার বিষয় হল, ছাত্রদের উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টা- আমাদের শিক্ষকদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে এবং টেকসই সাফল্যের পথ প্রশস্ত করতে সাহায্য করে।পরিসংখ্যান:টিচিং স্টাফ: ৩৩ জন অশিক্ষক কর্মচারীঃ ০৪ জন ছাত্র সংখ্যা -৬৪৯ ছাত্রী ৭০৩ এস সি ৪৪৩ এস টি ০৮সংখ্যালঘু: ১২৩ ওবিসি ২২ বিপিএল ৩৯।
শতবর্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে শতবর্ষের ফলক জানালেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোজ দাস। স্কুলের প্রথম ভূমিদাতা শ্যামাচরণ ত্রিপাঠির পূএ অমলেশ ত্রিপাঠী ও ঋষিকেশ ত্রিপাঠি । শ্যামাচরণ ত্রিপাঠীর পোপুত্র অনুপ ত্রিপাঠী বলেন শতবর্ষ উদযাপিত হয়েছে ঠিক। কিন্তু ভূমি দাতাদের স্মরণ করা খুবই দরকার। তাহলে নতুন প্রজন্ম জানবে কি করে কাদের দ্বারা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
No comments