Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চ থেকে আগামী দিনে দীর্ঘস্থায়ী লড়াইয়ের বার্তা দিলেন বাম শিবিরের নতুন ‘ক্যাপ্টেন’ মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়

ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চ থেকে আগামী দিনে দীর্ঘস্থায়ী লড়াইয়ের বার্তা দিলেন বাম শিবিরের নতুন ‘ক্যাপ্টেন’ মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়২০১১ সালে বামেরা রাজ্যপাট হারিয়েছে। তারপর আস্তে আস্তে হারিয়ে গিয়েছে বঙ্গের নির্বাচনী রাজনীতি থেকে। ৩৪ বছর সরক…

 



ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চ থেকে আগামী দিনে দীর্ঘস্থায়ী লড়াইয়ের বার্তা দিলেন বাম শিবিরের নতুন ‘ক্যাপ্টেন’ মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়

২০১১ সালে বামেরা রাজ্যপাট হারিয়েছে। তারপর আস্তে আস্তে হারিয়ে গিয়েছে বঙ্গের নির্বাচনী রাজনীতি থেকে। ৩৪ বছর সরকার চালানো একটি দলের আজ সব সময়ের সঙ্গী ‘শূন্য’ কটাক্ষ। এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর রসদ খুঁজতে রবিবারের বারবেলায় কলকাতার ব্রিগেড ময়দান ছাপিয়ে দিলেন বাম সমর্থকরা। সমাবেশের মঞ্চ থেকে আগামী দিনে দীর্ঘস্থায়ী লড়াইয়ের বার্তা দিলেন বাম শিবিরের নতুন ‘ক্যাপ্টেন’ মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তাঁর ঘোষণা, ‘আমরা জানি, ফিরে আসার এই লড়াই কোনও টি-২০ নয়, টেস্ট ম্যাচ। ধৈর্য ধরে মাঠের দখল নিতে হবে। তারপর জয় নিশ্চিত করতে হবে।’   

যৌবনের আহ্বানে ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছিল সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। সমাবেশে এসেছিলেন সব বয়সের মানুষ। স্বাভাবিকভাবে তরুণ মুখের ভিড় ছিল বেশি। আর পাঁচটা বাম-ব্রিগেডের তুলনায় এবারের ব্রিগেড ছিল অনেকাংশেই আলাদা। রাজ্য সঙ্গীত ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গেয়ে সভার আনুষ্ঠানিক সূচনা, মঞ্চের সামনে উড্ডীন জাতীয় পতাকা, সভার শেষে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ—নতুনত্বের নানা আঙ্গিক খুঁজে পেয়েছে রাজনৈতিক মহলও। বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা হাজির থাকলেও মঞ্চের নীচে বসেই আগাগোড়া সভা শুনেছেন। সাদা পতাকায় লাল তারার সুদৃশ্য মঞ্চ ছিল পুরোপুরি ছাত্র ও যুব নেতৃত্বের দখলে। সভার শেষ বক্তা ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, ‘মীনাক্ষী-ধ্রুবদের নেতৃত্বে সবে ভবিষ্যতের কুঁড়িগুলি প্রস্ফুটিত হচ্ছে। আমরা কেবল মালি হয়ে জল সিঞ্চন করব।’ ভাষণের শেষ দিকে নজরুলের ‘বিদ্রোহী’ কবিতার একাংশ আউড়াতে গিয়ে লাইন ভুলে যান মীনাক্ষী। নিজেই সরলভাবে অকপটে বলেন, ‘ভুলে গিয়েছি।’ সেলিম সেই ‘ভুলের’ রেশ টেনে তাঁর ভাষণ শুরু করেন। 

এ রাজ্যে বামেদের লড়াই যে তৃণমূল-বিজেপি দু’য়ের বিরুদ্ধেই, তা বারবার মনে করিয়ে দিয়েছেন বক্তারা। মীনাক্ষীর কটাক্ষ, ‘বিজেপিকে আমরা চ্যালেঞ্জ করছি। কিছু বিধায়ক এখনও বিধানসভার ভিতরে বিজেপি, বাইরে দিদির কোলে দোল খাচ্ছেন। দম থাকলে তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন করুন স্পিকারের কাছে। হাওয়া টাইট হয়ে যাবে।’ জাতীয় পতাকা দেখিয়ে তাঁর আহ্বান, ‘আমরা তেরঙ্গা রেখেছি। কারণ, বিজেপির হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে। দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, অখণ্ডতা, সার্বভোমত্ব সবই আজ বিপন্ন বিজেপির হাতে। দেশ বাঁচানোর জন্য লড়াইয়ের ময়দানে আসুন।’ 

রাজধানীতে বাম যুবদের এই ‘পেশী আস্ফালন’-কে অপ্রাসঙ্গিক বলে উড়িয়ে দিতে চাইলেও সভায় নজর ছিল তৃণমূল-বিজেপির। দিনের শেষে তারা ‘ঐতিহাসিক’ ব্রিগেডের দাবি উড়িয়ে পাল্টা কটাক্ষে বিঁধেছেন মীনাক্ষীদের। তৃণমূলের মুখপাত্র ডাঃ শান্তনু সেন বলেন, ‘মাঠকে ছোট করে ঘিরে ভিড় দেখানোর চেষ্টা হয়েছে। সিপিএমকে দেখলেই তাদের রক্তাক্ত চেহারাটা মনে পড়ে বাংলার মানুষের।’ বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘সম্পূর্ণ দিশাহীন ব্রিগেড। এখন কাউকে কাউকে মুখ করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু মুখোশের আড়ালে সিপিএমের মুখ কেমন, তা রাজ্যের মানুষ জানে।’ 

No comments