Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সংবাদমাধ্যমের উপর নজরদারিতে নেমে পড়ল জাতীয় নির্বাচন কমিশন

সংবাদমাধ্যমের উপর নজরদারিতে নেমে পড়ল জাতীয় নির্বাচন কমিশন
রাজনৈতিক টানাপোড়েন থেকে প্রশাসনিক তৎপরতা—সবই তুঙ্গে। সাফ বোঝা যাচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজতে আর বেশি দেরি নেই। কিন্তু তার স্বাভাবিক আঁচ বাড়িয়ে চব্বিশের ভোট ঘোষণা…

 

সংবাদমাধ্যমের উপর নজরদারিতে নেমে পড়ল জাতীয় নির্বাচন কমিশন


রাজনৈতিক টানাপোড়েন থেকে প্রশাসনিক তৎপরতা—সবই তুঙ্গে। সাফ বোঝা যাচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজতে আর বেশি দেরি নেই। কিন্তু তার স্বাভাবিক আঁচ বাড়িয়ে চব্বিশের ভোট ঘোষণার অনেক আগেই সংবাদমাধ্যমের উপর নজরদারিতে নেমে পড়ল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বুধবার ১০ ই জানুয়ারি জারি হয়েছে নির্দেশনামা। তাতে সর্বস্তরের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর হাতে পেতে সক্রিয় হতে বলা হয়েছে সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে (সিইও)। নির্দেশ স্পষ্ট, এদিন থেকেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সংবাদমাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত ভোট সংক্রান্ত যাবতীয় খবরের কপি নয়াদিল্লিতে কমিশনের সদর দপ্তরে পাঠাতে হবে। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এই প্রথম নির্বাচন ঘোষণার এত আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হল। 

কিন্তু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ঠিক কোন কোন খবরের নাগাল পেতে চাইছে কমিশন? এবিষয়েও সিইও অফিসগুলিকে একটি গাইডলাইন পাঠানো হয়েছে। মোট সাতটি বিষয়ের উপর জোর দিয়েছে কমিশন। সেই সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হলে তৎক্ষণাৎ তা সদর দপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে। সেগুলির মধ্যে প্রথমেই রয়েছে আইনশৃঙ্খলা জনিত খবরের প্রসঙ্গ। এছাড়াও ভোটার তালিকা, ইভিএম, নির্বাচন পরিচালনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির মন্তব্য-মতামত সংক্রান্ত খবর, ভুয়ো খবর বা পেইড নিউজকে এই তালিকায় রেখেছে কমিশন। ভোট সংক্রান্ত অন্য কোনও সংবাদ থাকলে সেটিও পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে শুধু প্রথম সারির কিংবা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নয়,  সোশ্যাল মিডিয়া বা ইউটিউব চ্যানেলগুলিতে প্রচারিত খবরেরও এবার নাগাল পেতে চাইছে কমিশন। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবরের নিয়ন্ত্রণ পেতে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিল কমিশন। এবার তারা আরও সতর্ক।

পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এহেন নির্দেশ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। সূত্রের খবর, সন্দেশখালির ঘটনার পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর যাচাই করছে কমিশন। এমনকী বিষয়টি নিয়ে এরাজ্যের সিইও অফিসের কাছ থেকে কয়েক দফায় খোঁজখবরও নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশে। সূত্রের খবর, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ অথবা পরের মাসের প্রথম সপ্তাহেই এরাজ্যে আসবে তারা।

No comments