Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

দিব্যাঙ্গদের জন্য আলাদা দপ্তরের দাবি নেই কোন সংগঠন অবহেলিত দিব্যাঙ্গনরা

দিব্যাঙ্গদের জন্য আলাদা দপ্তরের দাবি নেই কোন সংগঠন অবহেলিত দিব্যাঙ্গনরা
বিশেষভাবে সক্ষম বা দিব্যাঙ্গদের জন্য আলাদা একটি দপ্তর বা ডাইরেক্টরেট গড়ার দাবিতে সরব হয়েছে রাজ্যের প্রতিবন্ধী সংগঠনগুলি। একইসঙ্গে অফিস, আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা…

 




দিব্যাঙ্গদের জন্য আলাদা দপ্তরের দাবি নেই কোন সংগঠন অবহেলিত দিব্যাঙ্গনরা


বিশেষভাবে সক্ষম বা দিব্যাঙ্গদের জন্য আলাদা একটি দপ্তর বা ডাইরেক্টরেট গড়ার দাবিতে সরব হয়েছে রাজ্যের প্রতিবন্ধী সংগঠনগুলি। একইসঙ্গে অফিস, আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাস, অডিটোরিয়াম, অনষ্ঠান মঞ্চ সহ বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে দিব্যাঙ্গদের উপযোগী মুক্তাঙ্গণ পরিকাঠামো বা বেরিয়ার ফ্রি এনভায়ণমেন্ট তৈরি করতে হবে। সমাজের মূল স্রোতে ফেরাতে প্রতিবন্ধী পড়ুয়াদের জন্য সম্মিলিত শিক্ষা ব্যবস্থা বা ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশন লাগু করা দরকার। ৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে এই দাবিগুলি নিয়ে পথে নামেন প্রতিবন্ধীরা। এদিন জেলা প্রশাসন ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশন আশ্রম, হলদিয়ার যৌথ উদ্যোগে দুর্গাচকে বড় আকারে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর, মহকুমা হাসপাতাল, জনশিক্ষা প্রসার ও বনদপ্তর এই অনুষ্ঠানে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে। প্রতিবন্ধীদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে আইওসি, হলদিয়া এনার্জি, বন্দর কর্তৃপক্ষ, ইন্দোরামা সহ একাধিক শিল্প সংস্থা। দুর্গাচকের কুমারচন্দ্র জানা অডিটোরিয়াম

চত্বরে হলদিয়া মহকুমার প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি মিলন প্রাঙ্গণ তৈরি হয়েছে। সচেতনতা, স্বাস্থ্য শিবিরের পাশাপাশি এক জানালা পদ্ধতিতে প্রতিবন্ধীদের সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা, আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রশিক্ষণ, কাজের সন্ধান, পুনর্বাসন

প্রভৃতি বিষয়ে পরামর্শ দেবেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ও অধিকার সুরক্ষা সমিতি, রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর মতো সংগঠনগুলি ২০ দফা দাবিতে সরব হয়েছে। প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ও অধিকার রক্ষা সমিতির পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক যোগেশ সামস্ত বলেন, সমাজকল্যাণ দপ্তর প্রতিবন্ধীদের বিষয় দেখভাল কবে।

অনেকে বিপাকে পড়ছেন।এই দাবি এবং সমস্যাগুলি নিয়েই এবারদুর্গাচকে বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসের অনুষ্ঠানে। জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্যদপ্তর, চিকিৎসক, শিল্প সংস্থার কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞদের মুখোমুখি কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন প্রতিবন্ধীরা। ৩রা ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় দিব্যাঙ্গদের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয়। বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত হয় প্রতিবন্ধী ও তাদের পরিবারের বিনা ব্যয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির হয়। হলদিয়ার বিসি রায় হাসপাতাল, ডেন্টাল কলেজ এবিষয়ে সহায়তা করছে। এদের জন্য স্বরোজগার মেলা ও কর্মশালার আয়োজন করা হয়। স্বাস্থ্যদপ্তর ও মহকুমা হাসপাতালের সহায়তায় প্রতিবন্ধীদের শনাক্তকরণ শিবির ও পরিচয়পত্র দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলাশাসক তানবীর আফজল।

প্রতিবন্ধীদের ক্যাটাগরির সংখ্যা ৭ থেকে বেড়ে ২১ হওয়ায় সারা রাজ্যে প্রতিবন্ধীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এদের দেখভালের জন্য পারসন্স উইথ ডিসাবিলিটি অ্যাক্ট ২০১৬-র ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে প্রতি রাজ্যে পৃথক ডাইরেক্টরেট গড়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও পশ্চিমবঙ্গে তা এখনও হয়নি। তিনি বলেন, পিডব্লুডির গাইডলাইনে প্রতিবন্ধীদের জন্য বেরিয়ার ফ্রি এনভায়রনমেন্ট গড়ার নির্দেশিকা থাকলেও ঠিকমতো মানা হয় না। প্রতিবন্ধীদের অভিযোগ, তাদের সার্টিফিকেট নবীকরণের সময় আগের মেডিকেল বোর্ডের ডিসেবিলিটি সার্টিফিকেটের পার্সেন্টেজ অনেক ক্ষেত্রে পরিবর্তিত হচ্ছে। 

রামকৃষ্ণ সারদা মিশন আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক স্বামী বিবেকাত্মানন্দ মহারাজ বলেন, জেলা প্রশাসন, শিল্প সংস্থা ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহায়তায় প্রতিবন্ধীদের অ সহায়ক সরঞ্জাম, শীতবস্ত্র ও ফলের চারা বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিবন্ধীদের মূল স্রোতে ফেরাতে মিশন কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করেছে। সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে হলদিয়ায় একটি প্রতিবন্ধী সহায়তা কেন্দ্র গড়ে উঠলে মিশন সহযোগিতা করবে।

No comments