ভিডিও দেখতে ক্লিক করুনhttps://youtu.be/ExKRDsxVgys
৩২ পাউন্ড কেক কেটে হলদিয়ায় রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিবস উদযাপন
২৪ শে ডিসেম্বর রবিবার হলদিয়ায় রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ডঃ প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষের ১৩২তম জন্মদিবস উদযাপন করা হল…
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
https://youtu.be/ExKRDsxVgys
৩২ পাউন্ড কেক কেটে হলদিয়ায় রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিবস উদযাপন
২৪ শে ডিসেম্বর রবিবার হলদিয়ায় রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ডঃ প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষের ১৩২তম জন্মদিবস উদযাপন করা হল।
প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ স্মারক কমিটির উদ্যোগে এদিন ব্রজলালচকে হলদিয়া গেট সংলগ্ন গান্ধীমূর্তির পাশে প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠান হয়।
সুসজ্জিত র্যালি করে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তিতে মাল্য দানের পর এদিন ৩২ পাউন্ড কেক কেটে এবং ১৩২টি মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোচনা, আবৃত্তি ও নাচ-গানের মাধ্যমে জন্মদিন উদযাপন করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ৩২ পাউন্ড কেক দিয়েছেন বিদ্যুৎ বেকারীর কর্ণধার অতনু দাস , সংগীত পরিবেশন করেন সারদার স্মৃতি কয়ার। জন্মদিনের মঞ্চে অঙ্কন প্রতিযোগিতা পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। জাতীয় শিক্ষক ডঃ সুজনকুমার বালা ডঃ প্রফুল্ল ঘোষ সম্মলিত একটি কুইজের বই প্রকাশ করা হয়। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষের ধ্বংসপ্রাপ্ত লোকভারতী প্রকল্প নতুন করে সংরক্ষণের জন্য স্মারকলিপি দিয়েছি। ওই প্রকল্প এলাকার জমি ক্রমশ বেদখল হচ্ছে। সরকারের কাছে সেই জমিতে সরকারি শিক্ষা প্রকল্প গড়ে তোলার আবেদন করেছি। হলদিয়ার (তৎকালীন সুতাহাটা) বাড়বাসুদেবপুরে ৮৪ একর জমিতে তিনি প্রকল্প গড়ে তোলেন। ওই প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি শিক্ষাকেন্দ্র, বিজ্ঞান গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তোলেন। একসময় বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুও এসেছিলেন ওই লোকভারতীতে। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৌমিতা ঘোড়ই প্রধান, শিশু ও নারী কর্মাধ্যক্ষ ভবানী জানা, স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনা বেরা, জেলা পরিষদ সদস্য ভবতোষ পাত্র, ও শান্তি বারিক মন্ডল, সাংবাদিক শ্যামল সেন অচিন্ত্য বেরা, গোলাম রহমান, সুপ্তি বেরা , সান্তনা শেঠ, কবিতা মন্ডল প্রামানিক, পৃথ্বীশ মিশ্র, স্বাথী চক্রবর্তী চন্দ্রানী মিদ্দা, অরূপ মাইতি, প্রসেনজিৎ ভৌমিক, জয়ন্ত শেঠ, শেখ আলাউদ্দিন, শেখ নূর হোসেন, প্রশান্ত মণ্ডল , অমূল্যচরন পাল,ও রবীন্দ্রনাথ মাইতি, সুরজিৎ মান্না সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দেন স্থানীয় মুক্ত পথিক ক্লাবে সকল সদস্য ও সদস্যা, এ ছাড়াও শতাধিক পড়ুয়া ও হলদিয়ার বাসিন্দারা উপস্থিত ছিল। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্মারক কমিটির অন্যতম সদস্য হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ আলোক রঞ্জন দাস। সংস্থার মূল উদ্যোক্তা দুর্গাপদ মিশ্র বলেন আমাদের তিনটি দাবি সরকার বাহাদুরের কাছে রেখেছি লিখিতভাবে হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতির কাছেও দেওয়া হয়েছিল এবং রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে গত ৪ঠা এপ্রিল আমরা দীঘায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রেসক্লাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্মারকলিপি তুলে দিয়েছিলাম। সেই স্মারকলিপিতে নির্দিষ্ট কয়েকটি দাবি ছিল। ১)বালুহাটা থেকে কুকড়াহাটি পর্যন্ত ডক্টর প্রফুল্ল ঘোষ সরণী হিসেবে ঘোষণা করা। ২) ঘোষের মোড় তার নিজের আবাস বাড়িতে পূর্ণাবয় মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা। ৩) ঘোষের মোড়ে আবাস বাড়িতে কোন কৃষি বিদ্যালয় অথবা কারিগরি বুনিয়াদি শিক্ষা ব্যবস্থা তার নামেই নামাঙ্কিত করা, অথবা ঐ জায়গাটিকে রাজ্য সরকার হেরিটেজ ঘোষণা করুক। ১৯৫০ সাল থেকে বর্তমান চলতি বৎসরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নাম এবং তাদের ছবিসহ ৮ গ্যালারিতে রাখা হচ্ছে কিন্তু ১৯৪৭ সালের পর থেকে যারা যারা রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছিলেন তাদের ছবি এবং নাম ওই আর্ট গ্যালারিতে রাখার দাবি করলেন। নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতা আন্দোলনের ভারতবর্ষের সাথে রাজ্যের ভূমিকা কি অবস্থা ছিল তা তুলে ধরার জন্য ওই আর্ট গ্যালারিতে স্বাধীনতার পরবর্তীকালে যারা রাজ্যের ক্ষমতায় ছিলেন তাদের নাম এবং ছবি সহ রাখা দরকার নতুন প্রজন্মের জন্য। সে জন্যই বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন আজকের এই সভা থেকে।
No comments