হলদিয়াতে র্যাগিংয়ের 'প্রতিবাদ' করে 'আক্রান্ত' দুই ছাত্র
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের ঘটনা ও ছাত্রমৃত্যুর স্মৃতি এখনও যথেষ্ট টাটকা। ঘটনার একাধিক অভিযুক্ত এখনও আটক। রাজ্য রাজনীতি এবং জনমানসে আলোড়ন ফেলেছিল সেই…
হলদিয়াতে র্যাগিংয়ের 'প্রতিবাদ' করে 'আক্রান্ত' দুই ছাত্র
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের ঘটনা ও ছাত্রমৃত্যুর স্মৃতি এখনও যথেষ্ট টাটকা। ঘটনার একাধিক অভিযুক্ত এখনও আটক। রাজ্য রাজনীতি এবং জনমানসে আলোড়ন ফেলেছিল সেই র্যাগিং এবং ছাত্রের মৃত্যু। কিন্তু তার পরেও যে অনেকের হুঁশ ফেরেনি তার প্রমাণ মিলল হলদিয়ায় এক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ঘটনায়।
গত ২৯ নভেম্বর ওই কলেজে র্যাগিংয়ের প্রতিবাদ করায় দুই ছাত্রকে বেধড়ক মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাদের মধ্যে চতুর্থ বর্ষের এ ছাএকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথা ফেটেছে ও হাত ভেঙে গিয়েছে। অভিযুক্ত দ্বিতীয় বর্ষের দুই ছাত্রকে সাসপেন্ড করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। গত ১ ডিসেম্বর কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ মাইতি হলদিয়া থানায় এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্ত দুই ছাত্রের বিবেক কুমার যাদব এবং জয়েশদীপ মিশ্র। তারা যথাক্রমে বিহারের ঔরাঙ্গবাদ ও বেগুসারির বাসিন্দা। অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের তল্লাশি চলছে।
অভিযোগ, গত ২৯ নভেম্বর দুপুরে আফতাব হোসেন নামের কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র বিবেক কুমার যাদব। এর প্রতিবাদ করে চতুর্থ বর্ষের দুই ছাত্র অনুপম শাসমলও নাসিম পাহলোয়ান। অভিযোগ, এর পরই তাদের উপর চড়াও হয় বিবেক কুমার ও জয়েশদীপ নামে দুই ছাত্র। শুরু হয় মার।
পালতে গিয়ে পড়ে যায় নাসিম। সে সময় তাকে উইকেট ও লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ছুটে গিয়ে ঘটনার ব্যাপারে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানায় অনুপম। কলেজের কর্মীরা ছুটে এসে আহত নাসিমকে উদ্ধার করে হলদিয়ার বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার ভূঁইয়ারবাড়ি বাইপাস এলাকার বাসিন্দা নাসিম। তার বাবা সৈয়দ পাহলোয়ানের দাবি, “র্যাগিংয়ের প্রতিবাদ করে আক্রান্ত হয়েছে আমার ছেলে। ওকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি এ ব্যাপারে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি।"
আক্রান্ত দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অনুপম শাসমল বলেন, "দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্ররা প্রথম বর্ষের একটি ছাত্রকে র্যাগিং করছে শুনে প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলাম। তখনই দ্বিতীয় বর্ষের বেশ কিছু ছাত্র আমাদের ঘিরে ধরে মারধর করে।" কলেজ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
No comments