নতুন বৎসরের শুরু তে শ্রমিক অসন্তোষের আঁচ পেল স্ট্যান্ডিং কমিটি হলদিয়ায় একাধিক নতুনবিনিয়োগ পরিকল্পনায় খুশি বিধানসভার শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার হলদিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকের পর একথা জানান কমিটির …
নতুন বৎসরের শুরু তে শ্রমিক অসন্তোষের আঁচ পেল স্ট্যান্ডিং কমিটি
হলদিয়ায় একাধিক নতুনবিনিয়োগ পরিকল্পনায় খুশি বিধানসভার শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার হলদিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকের পর একথা জানান কমিটির চেয়ারম্যান কানাইচন্দ্র মণ্ডল। বুধবার কারখানা ভিজিটের সময় ইমামি ভোজ্যতেল সংস্থা ওই কমিটিকে নয়া বিনিয়োগ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। অন্যদিকে, প্রশাসনিক বৈঠকের সময় হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এইচডিএ) হলদিয়ায় প্রস্তাবিত আইওসির পেট্রকেম প্রকল্প, এজিস সংস্থা ও ক্লোরাইড মেটালের নয়া প্রকল্পের কথা তুলে ধরেছে। বড়সড় বিনিয়োগের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে পরিবেশ, পরিকাঠামো ঠিক রয়েছে কি না, সেবিষয়ে এদিন বৈঠকে খোঁজখবর নেয় স্ট্যান্ডিং কমিটি। দূষণ সংক্রান্ত পরিবেশগত নিষেধাজ্ঞা বা মরিটেরিয়ামের কথা মাথায় রেখে বিষয়টিকে এদিন বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে কমিটি। কারণ, দু'দিন ধরে শিল্পাঞ্চলের সিটিসেন্টার, রানিচক, দুর্গাচক এলাকা ঘুরে কমিটির সদস্যরা রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শ্রমিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতাও সন্তোষজনক নয় বলে জানা গিয়েছে।
এদিন, সকালে হলদিয়ার দুর্গাচকে একটি শিল্প সংস্থায় গিয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে পড়েন। কমিটির চেয়ারম্যানকে সাধুখাঁ, শ্রমদপ্তর, দূষণপর্ষদ সহ একাধিক দপ্তরের ঘেরাও করেন অস্থায়ী কর্মীরা। তাঁদের দাবি, দু'বছর কেটে গেলেও নতুন বেতন চুক্তি হয়নি এখনও। পরে বিষয়টি নিয়ে শ্রম আধিকারিকের সঙ্গে হলদিয়া ভবনে এক বৈঠকে আলোচনা করেন চেয়ারম্যান। বৈঠকে ছিলেন এইচডিএ'র চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার কোন্থাম সুধীর, হলদিয়ার মহকুমাশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায়, হলদিয়ার ফ্যাক্টরি ইন্সপেক্টর দেবায়ন দে, জেলা শিল্প নিগমের জেনারেল ম্যানেজার গৌতম
আধিকারিকরা। এইচডিএ'র সিইও বলেন, ইমামি অ্যাগ্রোটেক তাদের প্রকল্প সম্প্রসারণ করছে। আরও প্রায় ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে নতুন একটি বায়োডিজেল প্ল্যান্ট তৈরি করবে। এজন্য এইচডিএকে আড়াই একর জমি চেয়েছে। ক্লোরাইড মেটাল প্রকল্প বাড়াতে জমি চেয়েছে। কিন্তু ওই কারখানার পাশেই আইওসিকে পেট্রকেম প্রকল্পের জন্য ৮৪ একর জমি দেওয়া হয়েছে। সেজন্য ওদের অন্য জমি দেখান হচ্ছে। এইচডিএ জানিয়েছে, হলদিয়ায় ছোট বড় শিল্প গড়ার জন্য জমির চাহিদা তৈরি হয়েছে নতুন করে। অনেকগুলি অনুমোদনের জন্য রাজ্যের কাছে পাঠানো হয়েছে। স্ট্যান্ডিং কমিটিকে ওই বিষয়টি দ্রুত করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। মহকুমাশাসক বলেন, নিকাশি নিয়ে এইচডিএ, পুরসভা, বন্দর কর্তৃপক্ষ জোরকদমে কাজ শুরু করেছে। স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, হলদিয়ার নিকাশি, পরিবেশ, শ্রমিক সমস্যা নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছিলাম। শিল্প সংস্থাগুলিতে ঘোরার সময় তাদের সমস্যার কিছু কথা জেনেছি। কয়েকটি শিল্প সংস্থা নতুন বিনিয়োগ করছে বলে জানলাম। শ্রমিকদের বেতন সমস্যা নিয়ে একটি অভিযোগ উঠেছিল। তবে আশার কথা, ওই সংস্থার শ্রমিকদের বেতন ১২ হাজার থেকে বেড়ে ১৬ হাজার ৪০০ টাকা হবে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষ অনুমোদন করতে চলেছে। হলদিয়ার ইএসআই হাসপাতাল, ট্রমা সেন্টার নির্মাণের কবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান চেয়ারম্যান। তবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদের আধিকারিকদের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নয় স্ট্যান্ডিং কমিটি। কমিটির সদস্যরা বলেন, হলদিয়ায় ধূলিকণা দূষণের পাশাপাশি কারখানার বর্জ্য দূষণ প্রত্যক্ষ করেছি এইচপিএল লিঙ্ক রোডে যাওয়ার সময়। পরিবেশ দপ্তর উত্তর দিতে পারেনি।
No comments