Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সহ-শিক্ষকের হাতে প্রহৃত হলেন প্রধান শিক্ষক

সহ-শিক্ষকের হাতে প্রহৃত হলেন প্রধান শিক্ষক । স্কুলের ছাত্র ছাত্রী, অভিভাবক এবং অন্যান্য শিক্ষকদের সামনেই অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ এবং মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ । বৃহস্পতিবার হলদিয়ার মূক-বধিরদের স্কুল শ্রুতি'তে এই ঘটনা ঘটেছে …

 





সহ-শিক্ষকের হাতে প্রহৃত হলেন প্রধান শিক্ষক । স্কুলের ছাত্র ছাত্রী, অভিভাবক এবং অন্যান্য শিক্ষকদের সামনেই অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ এবং মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ । বৃহস্পতিবার হলদিয়ার মূক-বধিরদের স্কুল শ্রুতি'তে এই ঘটনা ঘটেছে । ঘটনায় দোষী ব্যক্তির শাস্তি এবং নিরাপত্তার চেয়ে স্থানীয় সুতাহাটা থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক জয়দেব দাস । সেই সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসক , হলদিয়া মহকুমা শাসক, জেলা জনশিক্ষা প্রসার অধিকারিক সহ প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে বিহিত চেয়ে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন ।  ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় । জানা গিয়েছে,স্কুলের এক শিক্ষিকাকে অনুপস্থিতির কারণ দর্শাতে বলায় হঠাৎ ওই ইন্সট্রাক্টর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জয়দেব দাসের উপর চড়াও হন । এদিন স্কুল শুরুর সময়ই ওই ঘটনাকে ঘিরে হুলস্থুল কাণ্ড ঘটে । শেষমেশ অভিভাবক ও স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মী পরিস্থিতি সামাল দেন । তারাই স্কুলের ক্রাফ্ট ইন্সট্রাক্টর মারমুখি সেক আনসুদ্দিনের হাত থেকে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করেন । বর্তমানে ১২০জন পড়ুয়া রয়েছে । পড়াশোনার পাশাপাশি খেলা এবং সাংস্কৃতিক চর্চায় স্কুলটির সুনাম রয়েছে এলাকায় । প্রধান শিক্ষক জানান," দীপান্বিতা বাগচি নামে এক শিক্ষিকা গত ৪ ডিসেম্বর বাবা অসুস্থ বলে জানিয়েছিলেন । এরপর তিনি কোনও কিছু না জানিয়ে গত ৫ ও ৬ ডিসেম্বর ছুটি নেন । এজন্য স্কুলের অ্যাটেনডেন্স সিটে তাঁর নামের পাশে 'লিভ উইথআউট ইনফরমেশন' লিখেছিলাম । এই কারণে ক্র্যাফ্ট ইন্সট্রাক্টর সেক আনসুদ্দিন আমার উপর চড়াও হন । ছাত্র ছাত্রী অভিভাবকদের সামনেই কিল, চড়, ঘুঁসি মারেন এবং গালিগালাজ করেছেন । এর আগেও একাধিকবার ওই ইন্সট্রাক্টর স্কুলে গণ্ডগোল পাকিয়েছেন । শেখ আনসুদ্দিনের নামে দল পাকিয়ে স্কুলের পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট করা, ভীতির পরিবেশ তৈরি করা নিয়ে স্কুলের তরফে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে ।"  এই পরিস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন । অভিভাবকরা বলেন, এই ঘটনায় সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি । শেখ আনসুদ্দিন সহ চার-পাঁচজন শিক্ষক শিক্ষিকা সময়মতো স্কুলে আসেন না বলে অভিযোগ । স্কুল থেকে ব্যবসা সহ নানা কারণে যখন তখন তারা বেরিয়ে যান । প্রধান শিক্ষকের ফাঁপরে ফেলার জন্যই এতেই ফাঁকিবাজ শিক্ষকরা চক্রান্ত করছেন বলে অভিযোগ । এ বিষয়ে জেলা জনশিক্ষা আধিকারিক মহুয়া পাত্র জানান, "সেক আনসুদ্দিন সহ চার-পাঁচজন শিক্ষকের নামে ইতিমধ্যেই অভিভাবকদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি । প্রধান শিক্ষককে এভাবে পড়ুয়াদের সামনে মারধরের ঘটনা লজ্জাজনক । এরফলে প্রতিবন্ধী পড়ুয়াদের মনে ভীষণ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় । মহকুমাশাসক ও ওসিকে কড়া পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে ।" মহকুমাশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন বলে জানিয়েছেন ।

No comments