গ্রাম পঞ্চায়েত পৌরসভা লোকসভা বিধানসভা ভোট এক সঙ্গে ওয়ান নেশান
২০২৯ সালের লোকসভা ভোট থেকেই শুরু হয়ে যেতে পারে ‘ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন’। তবে ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন প্রথা হতে চলেছে আক্ষরিক অর্থেই ওয়ান। এতদিন মনে করা হচ্ছিল, লোকসভা…
গ্রাম পঞ্চায়েত পৌরসভা লোকসভা বিধানসভা ভোট এক সঙ্গে ওয়ান নেশান
২০২৯ সালের লোকসভা ভোট থেকেই শুরু হয়ে যেতে পারে ‘ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন’। তবে ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন প্রথা হতে চলেছে আক্ষরিক অর্থেই ওয়ান। এতদিন মনে করা হচ্ছিল, লোকসভা এবং বিধানসভা ভোট একসঙ্গে করারই পরিকল্পনা। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে দেশের তাবৎ জনপ্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনকেই ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশনের আওতায় নিয়ে আসার ইচ্ছা মোদি সরকারের। অর্থাৎ পুরসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনও হবে লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের সঙ্গে। বুধবার রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি বৈঠকে করে আইন কমিশনের সঙ্গে। সেখানেই এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আইন কমিশনের সুপারিশ ও প্রস্তাব, ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সর্বশেষ সময়সীমা হিসেবে ধার্য করা হোক। অর্থাৎ ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের পর যত বিধানসভা, পুরসভা, পঞ্চায়েত ভোট হবে, সেগুলির মাধ্যমে গঠিত বোর্ড অথবা সরকারের মেয়াদ কমিয়ে অথবা বাড়িয়ে এমনভাবে ধার্য করা হোক, যাতে প্রত্যেক নির্বাচনই ২০২৯ সালের লোকসভা ভোটের সঙ্গেই করে ফেলা যায়।
এই বৈঠকের পর ইতিমধ্যেই ৬টি জাতীয় দল এবং ৩৩টি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে কোবিন্দ কমিটি। তাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। একইভাবে রাজনৈতিক দলগুলিকে ডাকা হবে বৈঠকে। ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন নিয়ে মোদি সরকার এতটাই উদগ্রীব যে, আইন কমিশন চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার আগেই তৈরি হয়েছে নতুন কমিটি। যার নেতৃত্বে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এখন দুই কমিটিই পাশাপাশি খতিয়ে দেখছে এই সম্ভাবনা। সুতরাং ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন যে কার্যকর হবেই—এই আভাস এখন থেকেই পাওয়া যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, কোবিন্দ কমিটি আইন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছে, যে বিধানসভাগুলির মেয়াদ সমাপ্ত হয়ে যাবে ২০২৯ সালের আগে অথবা যাদের মেয়াদ আরও বেশিদিন থাকবে, সেই সব ক্ষেত্রে করণীয় কী? ৬ মাসের বেশি কোনও রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে রাখা যাবে না সাধারণ নিয়মে। সেক্ষেত্রে একঝাঁক রাজ্য ২০২৯ সাল আসার আগে পর্যন্ত লাগাতার রাষ্ট্রপতি শাসন অর্থাৎ সোজা কথায়, কেন্দ্রীয় সরকারের শাসনে থাকবে। সুতরাং সংবিধান সংশোধন করা প্রয়োজন। নয়া আইন প্রণয়ণের সম্ভাবনাও আইন কমিশন খতিয়ে দেখছে।
No comments