ভিডিও দেখতে ক্লিক করুনhttps://youtu.be/U72QGtj0X7M
৭০ বছর পরে স্কুলের ভূমিদাতার স্মৃতির উদ্দেশ্যে মেধাবৃত্তি পরীক্ষানারী শিক্ষা আন্দালনের প্রসারে এগিয়ে এসেছিলেন অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার নক্ষত্র বর্ণ পরিচয়ের স্রষ্টা পন্ডিত ঈশ্বরচ…
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
https://youtu.be/U72QGtj0X7M
৭০ বছর পরে স্কুলের ভূমিদাতার স্মৃতির উদ্দেশ্যে মেধাবৃত্তি পরীক্ষা
নারী শিক্ষা আন্দালনের প্রসারে এগিয়ে এসেছিলেন অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার নক্ষত্র বর্ণ পরিচয়ের স্রষ্টা পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
সেই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আজ থেকে প্রায় ৭০ বছর পূর্বে নিজের গ্রামের মেয়েদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার নিজের গ্রামে বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার জন্য বর্তমান পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অভিভক্ত সুতাহাটা থানার প্রত্যন্ত শোলাট গ্রামে এগিয়ে এসেছিলেন স্বর্গিয়া মুক্তাকেশী সিনহা।
সেই সময় গ্রামের শিক্ষা-প্রসার না থাকলেও নিজের বাড়িতে ছাত্রীদের এবং শিক্ষিকাদের রেখে বেতন দিয়ে পড়াশোনার মান উন্নয়ন করার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন তিনি ও তার সুযোগ্য পুত্র প্রয়াত ডাক্তার কালিপদ সিনহা।
বর্তমানে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার নেতৃত্বে এই স্কুলের উন্নয়নের শিক্ষানুরাগী বৃন্দদের নিয়ে গঠিত হয়েছে "হলদিয়া এডুকেশন ডেভেলাপমেন্ট কমিটি"
এই কমিটির পরিচালনায় ৮ অক্টোবর রবিবার গ্রামের পাশাপাশি প্রায় দশটি গ্রামের ১৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি ২৫১ জন ছাত্রছাত্রী এই মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
স্কুলে শুধু পড়াশোনা নয় খেলাধুলো শরীর চর্চা যোগা আবৃত্তি ড্রয়িং নাচ গান এবং বিভিন্ন ধরনের সামাজিক প্রকল্পের সাথে এই বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষিকা বৃন্দ যুক্ত আছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শোভনা প্রধান বলেন আজ থেকে প্রায় ৭০ বছর পূর্বে ১৯৫৪ সালে প্রয়াত মুক্তাকেশী সিনহার নারী শিক্ষা প্রসারের জন্য বিদ্যালয় ভবন (শোলাট মহেন্দ্র বালিকা বিদ্যাভবন) তৈরি করতে ভূমি দান করেছিলেন এবং সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন ।
আজ মুক্তাকেশী দেবীকে শ্রদ্ধা জানাতে এবং তার আদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের এই ছোট্ট প্রয়াস। এখনো পর্যন্ত গ্রাম বাংলার মেয়েরা শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে।যেখানে বর্তমান রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছেন মেয়েদের শিক্ষার প্রসারে যেমন কন্যাশ্রী শিক্ষাশ্রী মেধাশ্রী সবুজ সাথী প্রভৃতি।
স্কুলের সহশিক্ষিকা করবী সরকার বলেন দেখতে দেখতে এই স্কুল ৭০ বছর পূর্ণ করতে চলল। এই এলাকার ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনোর অগ্রগতি ঘটানোর জন্য এই মেধা পরীক্ষা। আগামী দিনে এই পরীক্ষা যাতে আরো বিস্তার লাভ করে তার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
স্কুলের ইংরেজি শিক্ষিকা অলকা বর্মন বলেন স্কুলের বিভিন্ন উন্নয়ন হয়েছে আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার চেষ্টায়। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন এবং শিল্পাঞ্চলের কর্মকর্তাদের কাছে প্রধান শিক্ষিকার আবেদনের ফলে স্কুলটির ধীরে ধীরে অনেক উন্নতি হচ্ছে।
এই মেধা পরীক্ষা এই এলাকার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আরও বেশি করে পড়াশোনার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করবে এই আশা নিয়েই এই মেধা পরীক্ষা করানো হচ্ছে হলদিয়া এডুকেশন ডেভলপমেন্ট কমিটির উদ্যোগে। জানালেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শোভানা প্রধান।
No comments