Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

শ্রীকৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তি থেকে রাধার উৎপত্তি

শ্রীকৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তি থেকে রাধার উৎপত্তিশ্রীকৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তি থেকে রাধার উৎপত্তি। রাধার জন্মদিনটিই রাধাষ্টমী ব্রত হিসাবে পালন করা হয়।  রাধার পিতার নাম বৃষভানু এবং মায়ের নাম কীর্তিদা দেবী। একদিন দু’জনে দেখলেন যমুনা নদীতে…

 



শ্রীকৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তি থেকে রাধার উৎপত্তি

শ্রীকৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তি থেকে রাধার উৎপত্তি। রাধার জন্মদিনটিই রাধাষ্টমী ব্রত হিসাবে পালন করা হয়।  রাধার পিতার নাম বৃষভানু এবং মায়ের নাম কীর্তিদা দেবী। একদিন দু’জনে দেখলেন যমুনা নদীতে একটি সোনার পদ্ম ফুটে আছে। কৌতূহল বশত তাঁরা কাছে গিয়ে দেখেন এক অনিন্দ্যসুন্দর কন্যাশিশু তার উপর ঘুমোচ্ছে। তাকে ঘরে এনে তাঁরা লালনপালন করতে থাকেন। তিনিই হলেন শ্রীরাধিকা। পুরাণে পাই যতদিন না পর্যন্ত রাধা শিশুকৃষ্ণকে দর্শন করেছেন, ততদিন পর্যন্ত তিনি চোখ খোলেননি। 

তাঁর জন্ম নিয়ে পুরাণে একটি কাহিনি আছে। একবার সূর্যদেব দীর্ঘদিন ধরে মন্দার পর্বতে তপস্যায় বসেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে স্বর্গ ও মর্ত্যলোক চির অন্ধকারে আবৃত হয়ে ওঠে। জীবকুল রসাতলে যাওয়ার উপক্রম হয়। সকল দেবতা গিয়ে বিষ্ণুর কাছে প্রার্থনা করে বলেন, ‘অবিলম্বে সূর্যদেবকে উদিত হতে বলুন। নাহলে মর্ত্যলোক বলে আর কিছু থাকবে না।’ বিষ্ণু সূর্যের ধ্যানভঙ্গ করে সব কথা বলেন। সূর্য বলেন, ‘প্রভু, আপনি আমাকে একটি বর দিলেই আমি আমার দায়িত্ব পালন করতে চলে যাব।’ বিষ্ণু বললেন, ‘বেশ বল, কী বর চাও।’ সূর্য বললেন, ‘আমি যেন একটি সুন্দরী কন্যার পিতা হতে পারি এবং সেই কন্যার নাম যেন চিরকাল আপনার সত্তার ও নামের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে।’ বিষ্ণু বললেন, ‘বেশ তাই হবে। আমি দেবকী ও বসুদেবের পুত্র কৃষ্ণরূপে জন্ম নেব এবং তুমি বৃষভানু হিসেবে জন্মগ্রহণ করে রাধা নামের কন্যার পিতা হবে। শুধু তাই নয়, আমি শ্রীরাধিকার প্রতি এবং শ্রীরাধিকা আমার প্রতি এতটাই বশীভূত হবে যে, আমাদের প্রেমগাথা অক্ষয় হয়ে থাকবে। মানুষ আমার নামের আগে তার নাম উচ্চারণ করবে। বলবে, রাধাকৃষ্ণ।’ শ্রীরাধাকে নিয়ে পুরাণে অনেক তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা আছে। পদ্মপুরাণের ব্রহ্মখণ্ডের কয়েকটি শ্লোকের মধ্যে রাধাষ্টমীর তাৎপর্য ও মাহাত্ম্য  ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

No comments